কবিতার কালিমাটি ১১৯ |
একটি আত্মহত্যা ও সম্পৃক্ত সূর্যালোক
এখন আত্মহত্যা সূর্যের পাতার সাথে ঘিরে রাখে
গৃহস্থালির চর্যাপদ। খুব করে বলেও পাশ দিয়ে
ছুটে যাওয়া কোন নদীর জলে তেজস্ক্রিয় ঘৃণা
মেশাতে পারিনি। শরীরের শীতলতা ক্রমাগত
নুয়ে পড়া ঝড়ের ডালের হাতে সম্পৃক্ততার
গাঁটছড়া বাঁধে। দুটো
পুরোহিত ডেকেছি,
তবে চুপ থাকে। শরীরে মমির
হাজিরাখাতায়
আগুন জ্বালানোর আগেই দেখি পুড়ে ছাই
সকালের ধান। দূত হয়ে এইমাত্র খবর
দিতে যাবার কথা, তার
আগেই ঘরের বাইরে
স্তুপাকৃত ক্ষোভ একপা এগিয়ে দিল।
মাঝরাস্তা ভুল রাস্তা হলে পিছিয়েই কয়েকটা পা,
ঝুড়ি নামছে রাতভোর চুরির আগে।
অবান্তর শূন্যতাবোধ
এই যে পাশ ফেরা, অবান্তর শূন্যতা বোধ,
ঘ্রাণ থেকে মুছেও মোছে না রক্তের উল্কাপাত।
ফেলে আসা ছাই
যদিও নিউক্লিয় ঝড়ের সহবাস।
অপেক্ষার কারাগারেও নিহত মানুষ তবু সব
কাঁচাপাকা
দাড়ির ছবি তোলে।
এ পর্যন্ত যে ধানক্ষেত ঋতুস্রাব স্রোতের পাশে
একা দাঁড়িয়ে আরেকটা পাশ কাটানো গলির
অপেক্ষায় তার সাথে সব গাণিতিক সম্পর্কের
যোগবিয়োগ ও রুটোভার।
ডিমনেশিয়ার
সন্ধে হাওয়া দু’পাশের কানে লাগলেও
এই যে রাস্তা তাতে ভাগ হবার সব সম্ভাবনা আপাতত শূন্য।
বোবাস্বপ্ন
এ আমার মাঝরাস্তা, হঠাৎ নিরুদ্দেশ,
হাওয়া সঙ্গী
বিনা টিকিটের জরিমানা ভ্রমণ। এ আমার
অসুখ
ঠোঁটে ব্যথা অথচ এক আকাশ চুমুর চুম্বক।
এ আমার ঘোরানো গাড়ি ঢুকে যাচ্ছি সচেতন
অসুখ শরীরে, আমার পিছনে কেউ কেউ ঢেউ
তোলে,
সেকি রাগ, নাকি ঘৃণা ছোঁয়ানো বালিশ?
এ আমি পথভোলা অথবা আনাড়ি চালক।
এ আমার দু’হাত বাড়ানো জিব খেতে চাই
অনন্ত নিঃশ্বাস।
তুই আয় থালা বাটি পাতা আছে, শুধু ভাগ
করে যোগফল দেব।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন