কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

পৃথা রায়চৌধুরী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৩


দ্য স্ম্যাশ শট

নিভন্ত চুল্লি থেকে বহু কর্ষণে চুঁয়ে আসে ফোঁটা দুই। যে কোর্টে ম্যাচে সর্বেসর্বা দাঁড়িয়ে দেখে, মরণোন্মুখ কলাক্ষেত্র, সেই কোর্টেই সপাং সপাং মারে টুটে আসে পুংকেশর। উদ্ভিদবিজ্ঞান পড়তে বসে চলে যাই দেহতত্ত্বে। একেই পাপ বলো?


যাকে ঈশ্বরজ্ঞানে বারংবার বলে চলেছো, সোজা রাখো দণ্ড, ফিরিয়ে দাও অহং, তার অক্ষম দণ্ড লজ্জায় রাখে স্বয়ং কালপুত্রকে।


কারাগৃহের দিশা থেকে ছুটে চলা কোন রাক্ষুসে তীর, গ্রাস হয়েছে সামান্য সন্ধ্যাতারার। মাতৃদত্ত নামে বারবার ডেকে বুঝে নেওয়া পরিচয় হেঁকে ওঠে, নিজেকেও খেতে পারি আঁধার বিনাশার্থে।


হে জয়ী, তুমি কিন্তু কথা দিয়েছো নিভন্তকে, আহা! তোমার আদর ছোঁয়ায় জ্বালিয়ে দেবে পুরনো সোনামনের ওম।

 

দ্য অ্যাবর্টেড চাইল্ড


যে পুকুরে চোখ রাখো বসুন্ধরা, ভেসে থাকে লোভী তরোয়ালের কারসাজি। কন্যাভ্রূণ আঁকড়ানো হাতের বলয় ঢুকে যাচ্ছে মন্ত্রখাঁচায়, ভ্রূণের চতুর্মাসিক তেজ গোপন রেখে ছুটে চলে পুণ্য পুরুষেরা... ‘চল বাঁচবি!’

কলিপুত্র, আয়নার স্বীকারোক্তি, এই আমিই কুয়ালসডা বল তুমি। সাদা কালোর দ্বিধায় তোমাকে জেনে নিক মাতৃগর্ভের নিষেকযন্ত্র, আগত যোনি-স্তনের তেজ।

খাট বড়ো বালাই রাহগীর! খাটেই পেতে চাইলে তুমুল তেজ! তোমার দৃষ্টির নিক্ষেপযানে ভৈরোঁসুরের কালকন্যা। পিছিয়ে যাবার কৌশলে এগিয়ে গেছে যোজনজন্ম... দয়াময়ী।


রক্ত দেখো শুধু, নাড়ি দেখেছো? নিষেকযন্ত্র, পিতা হবার বীজমন্ত্র শিখতে পারোনি আজও।

 

কুয়াশাআঁচ


পাকা অলিভের ঝোড়া নিয়ে আসা বিকেলকে

বসিয়ে এসেছি সোফাকভারের অতিনাটুকে কারুকার্যে, বেজে যাচ্ছে দেহাতি পাঠশালার ঢং ঢং বাসমতী ঘন্টা।


যে লোকটা হেঁকে যায় শীতের ওম, তার সাইকেলের বাস্কেটে তুলতুলে বিকেল। সেখানে আয়েস করে জাঁকিয়ে বসেছে ঝিরিঝিরি চিঠি গান। এযাবৎ আমার ক’টা স্বরলিপি তোমার বেশুমার নহবতে ধরা আছে, তা সুরশুমারীতে উজ্জ্বল।


অলিগলি ভরা রাজপথের স্রোতে সামান্য আলসে ব্যস্ততা... তোমাকে হারিয়ে পাবার। সব কালো তারার সাথে তুমি এখনো খুঁজে ফেরো পৃথা'র নাড়ির টান অথবা, কর্মযোগ।


ওই দেখা যাচ্ছে আমি-পুতুল... তারা গাছের গোড়া থেকে আমাকে তুলে নিয়ে বসিয়ে দিয়েছে সিঁদুরে পায়ের আদর আসনে, শবসাধকের দল। স্থলপদ্মের ভোরে ধোঁয়াবৃত তোমার ওপর ছড়িয়ে দিচ্ছি মিহি ঝুরোহাসি।

 

 


4 কমেন্টস্:

  1. সত্যি বলতে কি , কবিতা কমই বুঝি, তাই বলে পড়িনা , এমন তো নয়। পৃথার কবিতা স্ব- ভাবে ক্রমপরিণতির দিকে -- একথা অনস্বীকার্য। কবির মন ছোট্ট কোন ভাবের আনাচ কানাচে মাথা খুঁড়ছে প্রকাশের আলোয় বার হবার জন্যে, এটুকু বুঝতে অ- বোদ্ধা পাঠকেরও অসুবিধা হয়না বোধকরি / তাছাড়া কবির শব্দজ্ঞান/শব্দচয়ন গুণবত্তার পরিচয় রাখে বৈকি।অতি সাধারণ পাঠক হিসেবে আমি তৃপ্ত এবং আনন্দিত। সাহিত্যের যে কোনও পর্যায় ঈশ্বর দর্শন ঘটে,কবিমনের আনন্দে। কবিতাই বুঝি বা বিশ্বসাহিত্যে সর্বপ্রথম ঘটনা, যা মানুষকে পরিশীলিত করেছিল/ পৃথার অগ্রগতি কামনা করি।

    উত্তরমুছুন
  2. পুংকেশর, নিষেক -- mAne jAnA chhilonA. Stock of words bArAnor jonyo dhonyobAd. EirOkombhAbe lekhA AmAr scope-er bAire, but always happy to read your words as a much better alternative. :-)

    উত্তরমুছুন