এলকোহলিক
কিচ্ছু কথা হয়নি আমাদের মধ্যে
সামনে সুইমিংপুল
তার পেছন থেকে দানবীয় সমুদ্র
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল।
ঝলসানো রাত্রিতে রয়্যাল টিউলিপের সব রাস্তা
পাতালের দিকে গেছে।
আমরা প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁড়ে পাওয়া
সভ্যতার মতো
মাথা তুলেছি।
কোনো কথাকে সুযোগ দিইনি
আমাদের রিপ্রেজেন্ট করার-
কোনো নেশাগামী প্রলাপ...
দুজনেই ডান হাতে উঁচিয়ে ধরেছি দু’পেগ জ্যাক
ড্যানিয়েল।
গ্লাসগুলো ঠুকোঠুকি করে বলেছে-
‘উল্লাস’!
উড্ডয়ন
আকাশে উঠলে দেখা যায়
জুঁইফুলের মতো
মেঘগুলো, পৃথিবীর মধ্যবর্তী বাসিন্দা,
বিছিয়ে আছে ভূমিতে।
আবার ভূমি থেকে মনে হয়
কোনো উড়ন্ত হাতি
যার শূর খসে যাচ্ছে ক্রমশ।
একটা নির্দিষ্ট উচ্চতার পর
বাড়ি-ঘর যাবতীয় ঠিকানা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডট
মাত্র।
নদী-সমুদ্র শীর্ণ সাপ, বিষহীন।
পাহাড়-সমুদ্র সব ব্লার।
একটা অপ্রচল মাত্রার পর ভার নেই
দৃশ্যের, যৌনতার।
মেঘের অসীম স্থাপত্যে নিজে
একটা দর্পণ হয়ে যাই-
যেখানে সমস্ত প্রতিবিম্ব ডট ডট
ডট ডট।
পথবাড়ি
অপেক্ষাহীন এই বিষাক্ত জগতে
নিজেকে মনে হবে একটা ব্ল্যাক ম্যাজিক
প্রতিস্থাপিত হতে চাওয়া
কোনো অসম্ভবের পিঠে।
রাত্রির পিছু নিতে থাকা মর্ষকামী অভিজ্ঞতায়।
সূর্য থেকে ছিনিয়ে আনার সময়
একটুকরো আগুন ছিটকে পড়েছিল ভূমিতে
যা দাবানল ঘটিয়ে চলছে বেসামাল।
অপেক্ষাপূর্ণ এই সন্দেহজনক পৃথিবীতে।
তুমি নীল ধোঁয়া নও
দূরভাষ যন্ত্র থেকে ভেসে আসা কোনো
মন্ত্রমুগ্ধতা নও,
অস্থানে বেঁকে যাওয়া পথ-
পদক্ষেপের আলোয় জ্বলজ্বলে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন