প্রণব বসুরায়
কাকে বলো
বাঁ হাতে কাপ ধরে চা-এ চুমুক দিই
দু’হাতে সাপটে ধরে উষ্ণতা নিই শুষে
দু’হাতে সাপটে ধরে উষ্ণতা নিই শুষে
কাপের কফির রং ক্রমশ বদলায়
দুধ সহযোগে... আমরাও বাহির দেখি
চারকোণা শার্সি পেরিয়ে
একে যদি সুখ ব’লো – দিব্যিই আছি
একে যদি মায়া ব’লো - ভ্রম ব'লো কাকে!
আনাচ কানাচ
ভাবো, এক লুপ্ত নগরী, বসে আছি—
তোমাদের হাতে গাঁইতি, শাবল, লম্বা ফিতে
কোমল আঘাতে প্রত্নচিহ্ন ফুটে উঠছে, আর
তোমাদের উল্লাস - ছবি হয়ে।
তোমাদের হাতে গাঁইতি, শাবল, লম্বা ফিতে
কোমল আঘাতে প্রত্নচিহ্ন ফুটে উঠছে, আর
তোমাদের উল্লাস - ছবি হয়ে।
এফোঁড় ওফোঁড় সেলাই হয়ে যাচ্ছে
পাথরের ভাঙা কাপ ও পিরিচ, মোমদানি
রাত্রি হলে চলে যাবে তোমরা বিপুল মদিরায়
আর আমি খুঁজে দেখবো আনাচ কানাচ
পাথরের ভাঙা কাপ ও পিরিচ, মোমদানি
রাত্রি হলে চলে যাবে তোমরা বিপুল মদিরায়
আর আমি খুঁজে দেখবো আনাচ কানাচ
ফেরে না
যন্ত্রণাহীন প্রসবের মতো দিন কেটে যায়
কেটে যায় তোষক ও কুর্শিবদ্ধ সময়ের চতুষ্কোণ
সঞ্চয় কমে এলে কৃপণ হওয়াই কাম্য, জেনেও
চোখ যায় স্রোতস্বিনীর তরঙ্গমালায়
কচুরিপানায় কাক বিন-আয়াসে কতদূর যায়
তাও দেখার
অন্তরঙ্গে দাহ, তাও মুখে মাখা মোমের পালিশ
যন্ত্রণাহীন প্রসবের পরে গর্ভ পুনরায় ভরে
যাওয়া দিন ফেরে না কখনও
কেটে যায় তোষক ও কুর্শিবদ্ধ সময়ের চতুষ্কোণ
সঞ্চয় কমে এলে কৃপণ হওয়াই কাম্য, জেনেও
চোখ যায় স্রোতস্বিনীর তরঙ্গমালায়
কচুরিপানায় কাক বিন-আয়াসে কতদূর যায়
তাও দেখার
অন্তরঙ্গে দাহ, তাও মুখে মাখা মোমের পালিশ
যন্ত্রণাহীন প্রসবের পরে গর্ভ পুনরায় ভরে
যাওয়া দিন ফেরে না কখনও
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন