ডেল্টা। একটা বদ্বীপের মতোই দেখতে লাগছে ঘটনাটা,
তির্যক কিংবা যাহোক একটা কিছু অ্যাঙ্গেলে।
উঁকি দিতে ইচ্ছা করছে না - একটুও। তাও… আগ বাড়িয়ে দিলাম। কলকাতা বইমেলার ট্যাগে
কোনো কোয়ালিটি মার্কার বালাই নেই। তাই পাঠক থেকে লেখকের ‘আগ’-এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ
নজরে পড়ল না। বহুদিন পর এত বইয়ের মাঝে ঢুকলে শব্দের সাথে শব্দের বেমালুম
ধাক্কাগুলো বড্ড বিরক্তিকর মনে হয়। স্ক্যান মেশিনে ফেলে দেখছি বিস্ফোরক
সিম্ফনিগুলো যদি একটু এড়িয়ে চলতে পারি। এসব কাণ্ডের মধ্যেই ধাক্কা খেলাম সদ্য
বিবাহিত কবিতার সাথে। আগ বাড়িয়ে চোখ মিচকে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘জোরদার?’ ম্লেচ্ছ নজরে
এক ঝলক দিয়ে বেচারি পাশ কাটিয়ে গেল। গেল তো গেল, বয়েই গেল… এখানে গঙ্গা থুড়ি হুগলী
নদী নামক বৃহদাকার ইয়ে বেশ ক্ষমতাময়ী -
ভাসিয়ে এবং খসিয়ে দেওয়ায়। তাই বেশি আমল না দিয়ে ল্যাম্পপোস্টের পাশ দিয়ে এগোলাম
যেদিকে দু’চোখ যায়, আর তক্ষুনি অনধিকার প্রবেশ - আগ বাড়িয়ে তুলে ফেললাম লোরকা! আমি
নিজের বাড়ির হিসুখানায় যেখানে স্কোয়াট করায় বিশ্বাসী সেখানে এসব কী কচ্ছি, অ্যাঁ!
মনে পড়ল একটু আগেই সুলভ হিসুখানার বাইরে
দেখা হল কার্ট কোবেনের সাথে। বেচারার এক হাতে লাইট সিগারেট অন্য হাতে লাইটার।
বুঝতে পারছে না হিসু কোন হাতে করবে। তাই আগ বাড়িয়ে…! ওটা কোন লেভেলের আঁতলামি সেটা
কোবেন বোঝাবার আগেই ফায়ার ব্রিগেড জ্ঞান ঝেড়ে দিল - ‘আগ কে এক চিঙ্গারি সে…’! সে
যাইহোক হতাশাগ্রস্তের মতো বসে আছেন ভদ্রলোক সামনে লোরকা! নাহ বাপু, এ তল্লাট ছাড়াই
বাঞ্ছনীয়। নয় তো যে কোনো মুহূর্তে গাঁজার কল্কে বা কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোকা বোতল
জাপটে ধরে বলতে পারি, ‘ওগো তোমরা বুকুস্কি-কে বোলো আমায় যেন একটা প্রেমের গল্প
লিখেই প্রপোজ করে…’
বাই দ্য ওয়ে।
‘আনন্দ’ বা ‘দে’-র পাঠকের মতো আমি ভিড় করে লাইন
দিলাম যেখানে ভূতের গল্পের বই কিনলেই দশ
টাকায় মিলছে হাওয়ায় পেন ভাসিয়ে টেনে টেনে অটোগ্রাফ। আগ বাড়িয়ে বললাম, একটা ইয়ে
মানে সেলফি নিতাম স্যার… কিন্তু ধাক্কা
ধাক্কিতে সে আর হল কই! তবে হ্যাঁ, বইমেলায় এসে আমি একখানা বই শেষমেশ কিনেছি! এবার একটু গুগলি পাকোড়া আর কফি!
আহ…
এই মাত্তর নতুন নিয়ম ধরিয়ে দিল কেউ!
আবার নিয়ম! আমি কিন্তু এবার অনশনে বসবো বলে দিচ্ছি!
গলাটা খুব শুকিয়ে গেছে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন