কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

সাগরিকা ঘোষ

শূন্যতাজাত


ভিতর ভিতর গল্প বাড়ে
আর গল্পে বাড়ে অবক্ষয়
পার হয়ে আসা রাস্তাগুলো
তোমারও নয় আমারও নয়

ফেলে আসা লুডোর বোর্ড
টিফিন কৌটোয় পালটে যাক
যেমন করে সোডা পালটায়
বোর্নভিটা আর দুধের গ্লাস

যে জানালা খোলা হয়নি সেই জানালাদের পক্ষ থেকে
যে সব রাস্তায় ঢোকার আগেই জীবন মোড় নিয়েছে অন্য দিকে
সেই অপেক্ষারত রাস্তাদের পক্ষ থেকে,
যেসব কবিতা লিখব ভেবে রোজ-রোজ লিখতে থাকি
নতুন কোনো শব্দচিতা
সেই আগুনমাখা সাদা পাতাদের পক্ষ থেকে
শীতের দুপুরের মতোন চুপ করে চলে যাব


পার্কস্ট্রিট এবং


পার্কস্ট্রিটে, উৎসবে আমরা ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাচ্ছি
খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া সিগ্রেট
আমাদের কি কখনও আগুন হাতে নিয়ে
একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকার,
অবকাশ গ্রাহ্য করবে?
বেশ, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে, কিংবা ওই পাড়ায় ঢোকার মুখেই
যে চায়ের দোকানটা আছে,
ওখানে দুদিকের বেঞ্চ দুটোতে বসে...
দুটো শিকারী বিড়ালের মতোন
মেপে নিতে দেবে নখের ধার? গোঁফের ফেনায় লেগে থাকা
দুধ চেখে নিতে নিতে
আমরা ফিল্টার টিপে ধ’রে
কাউন্টারে কাতরতা ভাগ করে নিয়ে দুজনেই

ধীরেসুস্থে হাঁটা লাগাতাম বো ব্যারাকের দিকে
আনকোরা কোনো  
টাটকা শরীরের খোঁজে


শিকার...

দাঁত নখ জড়ো করে রাত বসে আছে
ওত পেতে বসে থাকলে
তিন দিন না খেতে পাওয়া নেড়ি কুকুরটাকেও বাঘের বাচ্চা মনে হয়,
কাছে না ডাকলে

এরপর
দীর্ঘতম রাত্রি এসে ঘোমটা সরায়
অপেক্ষার রাত থাকে না কারণ সব রাত ভোর হয়
ঘোর... ঘনঘোর অমানিশা রাত্রি ডাকনামে শীৎকার ছুঁড়ে দেয়...

ছিঁড়ে যাওয়া কালো ওড়নাকে তখন ছেঁড়া লাগে, বাতিল টুপির মতোন

রাজকুমার টুপি মাথায় পরে না...






3 কমেন্টস্: