কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আয়না


একটা করে দিন পেরোলে পিছন দিকের ঢেউ
মাথার সমান আছড়ে পরে
জাপটে ধরে
ছাড়তে গিয়েও নখ চালিয়ে যায়
বালির দানায় পা কেটেছি কেউ দেখেনি হায়
রক্তে নোনা জল মিশেছে হিসেব মতো
ভরাট হবে সময় নিয়ে
নানান ওষুধপত্র দিয়ে সেসব ক্ষত।

হিংসে করার কারণ আছে কারণ আছে অশ্রদ্ধারও
সবাই যদি ভাসতে পারে,
গড্ডলিকা স্রোতের তোড়ে
তুমিই কেবল একলা কী আর বাঁচতে পারো
নেই ক্ষমা নেই ভদ্র হবা নেই তো কোনো পুরস্কারও  
তবুও যদি থাকবে ভালো
কাটব গলা খুব ধারালো
ছুড়ির খোঁচায় দূরত্বটাই বাড়িয়ে দেব ধড়ের সঙ্গে
আর কি কিছু বলবে তুমি এই প্রসঙ্গে?

একটা যুক্তি চাইতে পারো কেনই এসব কী প্রয়োজন?
তাই না?
আমিই তোমার বন্ধু ছিলাম সময় নিয়ে-
বাধ্য হলাম শত্রু হতে
কোনোই কারণ নেই আদতে
বলছি সেটাও বুক ঠুকিয়ে,
লাভ হবে না মুখ লুকিয়ে,
যাও এখুনি আবার যদি দেখবে তাকে আয়নায়।


সিঁড়ি

গুনে গুনে একুশ গজ।
এদিকে সাদা প্যান্ট আর কালো জ্যাকেট
ওদিকে নীলচে সাইডব্যাগ আর আকাশি চাদর।
ঘূর্ণির কেন্দ্রে সবকিছু স্থির থাকে,
শান্ত শিষ্ট সাজানো গোছানো।
ঘূর্ণি এগোয় আর চার পাশের সব গিলে খায়।
পরোয়া করে না কে কী বলল তার।

হঠাৎ কোথা থেকে কিছুটা ধুলো ছড়িয়ে  গেলে 
কেন্দ্রের দিকে।
নিমেষে গতি স্থি ভেঙে পড়ল ঝড়ের আকাশ-
প্রমাণ অহংকার।
কেউ বলল সামলে থাক কেউ বলল পালিয়ে আয়।

চোখের সামনে আবার সেই একুশ গজ,
একজন রাস্তা পেরোতে জানে আর একজন ভয় পায়।

একজন সাবধান হতে জানে, সে রাস্তা পেরোল;
একজন  হাত ধরতে ভয় পায় সে সিঁড়িতে হোঁচট খেল।


মৃত্যু-

তোকে নিয়ে কত কিছুই তো লিখি,
মুহূর্ত দিন, বছর...

এভাবে চলতে পারাটাই একটা স্বপ্ন
যদিশব্দের মতো দুর্বল নয়।
এই ঝগড়া, এই অভিমান, কথা না বলা
তারপর ক্ষমা চেয়ে নেব।
জানিস কেন

হয়তো একদিন এভাবেই
জানালা দিয়ে ডাকবে কেউ
আমি তোকে জল দিতে গঙ্গায় আসব
কিংবা আমায় জল দিতে তোকে আসতে দেওয়া হবে না।


ফেলে আসা প্রেম

ভালোবাসো কতটা
বোঝানোর চেষ্টা কেন এখনো!
রাশি রাশি ফুলের তোড়ায়
তাকে পাবে না তুমি।
চায়ের হোটেলে বসে
কাটা কেকের মাছি তাড়িও।

দেখবে রোজ তোমার মানিব্যাগ
দ্রুত বেরিয়ে আসবে মহান হতে।
কেউ তাকাবে না।
চায়ের কাপ বেজায় বেহায়া,
তোমার প্রেমিকার ঠোঁটের স্বাদে
রঙিন হয়ে উঠবে।

একদিন বুঝবে এভাবে নয়
এভাবে হয় না
হতে পারে না

কোনো ফুটপাথের শেষে
আটকে যাওয়া বৃদ্ধকে হাত
বাড়িয়ে তুলে নেবে,
তারপর প্রেয়সীর হাত
ধরে দেখবে তার হর্ষিত রোমকূপ।

চোখের দিকে তাকিও না
মুঠো মুঠো প্রাক্তন প্রেমিকা  
পথ আটকাবে তোমার।

জবাবদিহি করতে পারবে কি












1 কমেন্টস্: