কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / দ্বিতীয় সংখ্যা / ১২৯

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / দ্বিতীয় সংখ্যা / ১২৯

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

চিত্তরঞ্জন হীরা

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৪


জলজ্যোৎস্নায় তিন বিন্দু

 

(১)

 

মনপুরার তান শিশিরে লাগে।

লেগে যাওয়া টিলা ও তার দুহাত লিখছে

বিন্দু বিন্দু আত্মহত্যার খোলা চিঠিকে।

সম্বোধনে জমা হচ্ছে স্তব্ধতা।

 

চলাচলের বন্দরে জ্বলে উঠলো

সার সার নিঃসঙ্গ।

একছিটে পাতার সন্ধ্যায়

হাওয়াজোড়া

আমাদের অপেক্ষা শেখায়।

 

তান থেকে শিশির থেকে

দিনের ঊর্ধ্বাংশে

ইচ্ছের অপূর্ণ

ভাঙছে।

ভেঙে যাওয়ার একই খেলা

একই বর্তমান।

মাঝে মাঝে

চোখ-আয়নায় ভেসে ওঠে

ডুব-অভ্যাসগুলো।

 

অবশ্য সভ্যতা এতকিছু পারে না।

 

(২)

 

ব্যক্তিগত কয়েকটি ব্যাসার্ধ

ঝরে পড়ার আগে

আমাদের পুরনো

বর্গক্ষেত্রের কথা বলে।

চারপাশে তখন বৃত্তাকার

                    অফুরন্ত।

 

একঝাঁক উপুড় করা শূন্য

লাফিয়ে নরম বিসর্গে পড়লো

বিন্দু থেকে একপর্দা নিবিড় ভরা

বনজ নিঃশ্বাসের ভেতর।

 

পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে

নিরর্থের কান্না

তার চেয়ে বেশি গুঞ্জন।

একা থাকার অপরূপ

দুলে দুলে গাইছে বিস্ময়।

অনির্বাণ বলছে –

এতো তাপ কোথা থেকে এলো!

 

(৩)

 

অসংখ্য নির্গুণের ধুন

মেপে মেপে

এই দীনহীন যৌথ পরিহাস

জমে ছিল আশ্রয়ের তাঁবুতে।

 

পাঁকে ফুসলিয়ে নদী

সাঁকোর ঝুমঝুম

       পেরোবার আগে

         ধর্নামঞ্চের কিছু গান।

কিছু কিছু হাওয়াবদলের দৃশ্যে

             শূন্য বারুদের ধ্বনি।

তবুও কেউ কেউ শুনতে চায়

                        রোদের কাহিনি।

 

আমাদের দেখাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

আর দেখার দুপাশে জলের আদল

ওখানেই বিষাদ ও তার

                 ছায়া পড়ে আছে…

 

                     

 

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন