কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

সন্তর্পণ ভৌমিক

 

কবিতার কালিমাটি ১২০


স্থির প্রত্মতত্ত্ব

 

কে জানে কীভাবে হেঁটে গেলে

তোমাদের জীবনের শেষ কিনারায়

                ঠাঁই পেয়ে যাব

                       কোনো এক ক্লান্ত দাওয়ায়

 অবিরল ভ্রান্তিগুলো

                তারপর গোনা হোক

                লেখা হোক

                         পড়ে যাওয়া বর্ষার স্থির ধূলিপাঠে

 

যে দেশ উবেছে আগে

তার পলি লেগে আছে

                 কথা ও হাড়ের প্রত্মকায়

                

কারো হৃদি পিঞ্জরে

কোন বা প্রলাপ থাকে

অত্যাচার, অনাহার, লজ্জা, অপমান

 

কী প্রকার দুঃখ আছে মস্তিষ্কে তোমার

কোনোদিন কোনো এক গবেষক এসে

শীতল কোমল হাত যদি বুকে রাখে

চমকে উঠো না যেন, মনে ধর

                   বিষাক্ত অশান্ত রাত পার হলো এই

                   বমন, রমণ গেছে উড়ে

                             দেবদূত হাত ধরে যেই।

 

 

জলছাপ

 

প্রতিরাতে জীবনের জলছবি আঁকি

                যারা বা যাদের

যারা শুষ্ক হয়ে গেছে

যারা হেঁটে যায় অতিদূর সিক্ত বসনে, তাহারা

আমার বিপদ দেখে ছবি হয়ে গেছে

 

আমি অত্যধিক ভ্রান্তি নিয়ে

ভেসে গেছি অনন্ত প্লাবন প্রতি

                   কেননা যমজ ছিল

                   এই পথ, এই ধূলি

                   কিংবা মিহি এক দুপুরের রোদ

 

উত্তপ্ত শ্মশানে গেছি সবাইকে নিয়ে

অথচ সবাই আজ আমার বিপদ দেখে ছবি হয়ে গেছে।

 

 

গৃহত্যাগী

 

যার প্রতি ক্রোধ আসে

তিনি আজ কবর পেরিয়ে

জরাজীর্ণ কোনো এক সাগরের পাশে

উবু হয়ে দীক্ষা নেন সহিংস্র হবার

 

তার শাপ ঘুরে ফিরে আসে

তার শ্বাস বারুদ প্রমাণ

তার পাল অমলধবল

তার ছুরি শাণিত প্রবল

 

দিন আসে অতএব স্থাণুর জারকে

অতএব উপদ্রুত পাহাড়ের কাছে

ধীর ও স্থির হই, নতজানু বোধ ফিরে আসে।


2 কমেন্টস্: