কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

প্রণব বসুরায়

 

কবিতার কালিমাটি ১২০


বোকা বোকা

 

যখন যাচ্ছিলাম দক্ষিণে -- ঘন মেঘ ডেকে নিচ্ছিলো,

তাকে আর ফেরাতে পারিনি...

তারপর খুব বৃষ্টি হ'লো নগরে বন্দরে

একটু উষ্ণতার জন্যে সর্বাঙ্গ ভিজে চুপচুপ...

তুমিও কী এরকম ভাবো, বোকা বোকা?

তুমিও কী বোকা বোকা ভেজো নন্দন বাগানে!

 

রাতের সেলাইকল মুহূর্তে ব'লে দেয়

বড়িশার দিকে আজ ভেজা ভেজা হাওয়া

'ঝরো ঝরো বরিষে শ্রাবণ ধারা' শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনে বাজে।

 

তাই, বুঝে নিতে হয়

এ কাপড় আমার জন্যে নয়!

 

হিমানী-উষ্ণতা

 

হিমানী-উষ্ণতায় রাত নেমে আসে উপত্যকা জুড়ে

ল্যাম্পপোষ্টগুলি বড় বেমানান লাগে সেই চরাচরে,

কিছুটা উপদ্রবও;

হিম-কথার কিছু অশ্রাব্য থাকে এর ফলে।

তবু দুই চোখে উষ্ণতার ওম লেগে যায়

ঘোর লাগে, বোঝা যায় তুচ্ছ শরীরে...

 

শরীর তো একদলা জড় বস্তু, দেওয়া যায়

এখানে সেখানে, কেউ কিছু চুরি করে নেয়

 

ঝলমল নদীজল যে চিঠি দিয়েছে গোপনে

তাও কিছু অপরাধী নয়, লোকলাজ নয়;

জবাবী লেখা নীচে স্বাক্ষর নিয়ে সতত ধাবিত

 

গথিক গির্জা থেকে স্লেজ গাড়ি চেপে

ঠিক এ সময়ে দু’একটি শিশু নেমে আসে

 

শ্যাডো

 

বলপেনের কালি শুকিয়েছে, জানি

তাও সাদা পাতায় ঘষে যাচ্ছি, দ্যাখো...

তেমন শক্তি নেই -- তাও

মস্তিষ্কের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে

সবুজ ইচ্ছেগুলি -- তাদের

কলাপাতায় চাপা দিয়ে রাখাই বিধেয়

 

আসল খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে চলে গেছে

ঘন্টা বাজতেই। ফাঁকা টেন্ট...

ঝুপসি আলোয় স্কোরবোর্ডে শূন্য দেখতে দেখতে

শুধু আমি একা একা শ্যাডো করে যাই

 

 

 

 

 

 

 


2 কমেন্টস্: