কবিতার কালিমাটি ১২০ |
তৃতীয় নেত্র অথবা জননতন্ত্রের মাংসাশী
ঠোঁট
কেলভিন স্কেলের
জলে ডোবানো নগ্ন মানচিত্র থেকে যে সমুদ্র ঝুলে থাকে লম্ব বৃত্তাকার পা নিয়ে, তার ভেতর
কাল্পনিক মানুষেরা বৃশ্চিক রূপক চিত্রের অযুত গুণফল টেনে বের করছে তৃতীয় পুরুষের তৃতীয়
নেত্র থেকে
আমি কসাইয়ের
মত কাটাকাটা মাংসখণ্ড থেকে ১১জন স্বয়ম্ভু পুত্রদের নিয়ে মির্জাপুরের ধাতব দাঁত থেকে
বের করিয়ে আনছি কালো কংক্রিটের আবছায়া অন্ধকার রাত পোশাক গায়ে দিয়ে, রাতের বেলায়
সকলে চেরা চেরা মাংসাশী ঠোঁট নিয়েই ঘুমোতে যায়,
আমি শুধু সরলরৈখিক
আলোর নিচে দাঁড়িয়ে বক্ররেখার সমানুপাত চিহ্নটির জননতন্ত্রকে বর্গমূল করে চলি রক্তাক্ত
ধর্মগ্রন্থীর ভেতর বসে
প্রতিটি পুরোহিত
সারথির মতো দেখতে নয়
ঘোড়াটি বিশুদ্ধ
লিখি আম খাওয়ার পর ঘুম ভুলে গেছে
প্রতিদিন ভূগোল
নির্ণয় করে চলি আমার পাজামা থেকে বিশুদ্ধ রক্ত ঝরে পড়া সংক্রমিত আকাশমনির চারা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে অসংখ্য
স্তম্ভমূল ঈশ্বর ও আমরা দুই হাত জড়ো করে মাধবচক
থেকেই ফিরে এলাম
দরজার পরকীয়া অথবা শ্বেতাঙ্গ বৈষ্ণব
পাখিগুলো
আমাদের দাঁতে
কোন মাংসল গন্ধ ছিল না বলে থক থক করে জমে উঠছে গর্ভকেশরের তৃতীয় পালক
আজকাল অসমাঙ্গের
মতো পরকীয়া থাকে না বলে আমি শুধু গোপন অন্ধকারের প্রতিটি দরজা জানালা খুলে অশৌচ পালন
করি দশ দিন নরকুন্ডে যাওয়ার আগে, মেটাফেজ একটি গলিত পাচনতন্ত্রের নাম
দরজার ভেতর
একমুখী নারীরা ঘুমালেই আরো রাত রঙিন না হয়ে
বৈষ্ণবীর মতো শ্বেতাঙ্গ হয়ে যায়
মাঠে ধান বীজ
অঙ্কুরিত হচ্ছে ঘর্মাক্ত জরায়ুর জীবন্ত বীর্য মেখে প্রতিটি আলপথের নিচে একটি ত্রিভুজ
রঙের সহবাস পরিচ্ছদ লুকিয়ে আছে অযৌন ভ্রুণের মতো
পৃথিবীর সব
লিচু ফলেরা একসাথে পেকে যাওয়া গর্ভকেশর ছেড়ে বেরিয়ে আসছে, আমি জিভ দিয়ে চেটে খেতে
খেতে ডলফিন হয়ে গেছি
আগুন বলয়ের
ভেতর লিচু ফলকেই দোষারোপ করছে অবৈধ বীর্যপাতের জন্য, রঙিন পালক আর কিছু নয় আমার কোন
এক পূর্বজন্মের হঠাৎ মৃত্যুর তারিখটি এগিয়ে আসার প্রাচীন ভাষা মাত্র
ম্যালিগনেন্সি
হরিণটি খোলস ফেলে গেছে নাঙ্গল কাটার উপাদান মাঠের কাছে রক্ত সঞ্চালন তথ্যটি শিখে নেওয়ার
পর,
বাবলা গাছের
নিচে সকলের মৃত্যু পরবর্তী ব্যবচ্ছেদ করছে
প্রায় উলঙ্গ মনসা ঠাকুরের অ্যাবস্ট্র্যাক্ট নোনা অবয়ব বাবলা গাছের তলায় প্রতিটি
সুর এভাবে কাপড় খুলে রেখে জলে ভিজতে থাকে
বিলিয়মান ঘোড়ার শ্বাসকষ্ট ও গ্রানাইট
ফুলের চাষাবাদ
আমি শুধু ধনুকের
জায়মান পরাবৃত্ত ভেঙে আসা এক ব্রহ্মপুত্র, বিলীয়মান পুরুষেরা নগ্ন ঘোড়াদের চালাতে
পারত বলেই গ্রানাইট ফুলেদের চাষাবাদ করছি সালফিউরিক বাগানের নিচে,
সবাই সপুষ্পক
রাতকে নিজের কবরের ভেতর ঢুকিয়ে দেয় আমি শুধু মৃত অলংকারদের নিয়ে দরজার চৌকাঠে ঝুলে
থাকি
পুরুষের ডান
হাতের নিচে জমে থাকা প্রলয় কথা ঠিক গন্ধরাজ ফুলের মতো, রাতের বেলায় দীর্ঘশ্বাস কষ্টের
নিচে এক শিথিল অসুখ লুকানো থাকে,
ব্রহ্মতালু
খুঁজে বেড়ায় কক্সিস সুপুরুষ, আজ প্রত্নকথা খুঁজবেন
সাদা রঙের কোনো
দোকান থেকে নিষিদ্ধ ওষুধের ৮৩টা মেয়ের মতো
এক একটা পিরাপিটাম
নদী থ্রম্বাশ রঙের অশৌচ রক্তস্রোত ঠেলে নামিয়ে দেয় অথচ একটি আলজামার্স মানুষ ধারালো
দাঁত নিয়ে সারাদিন পাতাবাহারির চারা লাগিয়ে গেছে মৃত্যু নামক একটি খনিজের ভেতর
অসংখ্য স্থানাঙ্ক
জ্যামিতিক বৃন্তগুলোকে পুঁতে দিয়ে গেছে অস্থিসন্ধিতে, রজনীগন্ধার ফুল থেকে এক একটা
নৌকা নিয়ে রাতের অন্ধকারের কসাইটি জেগে উঠবে আবার দ্বিখন্ডিত মাংসাশী খন্ডনের জন্য
আজ বিশুদ্ধ
পূর্ণিমার রাত্রিতে কোন এক কাঠের শিল্পী ঈশ্বরীর পাগুলো খোদাই করবেন নিমকাঠ দিয়ে
প্রত্ন শহরের
আমার জিভে ভূমিক্ষয়ের আবহবিকার চলছে
শব্দভাণ্ডার এতই সমৃদ্ধ যে,আমাদের যারা কবিতার খরাগ্রস্ত তাদের বিশেষ উপকারে আসবে মনে করছি
উত্তরমুছুনভালো লাগলো
উত্তরমুছুন