প্রতিবেশী সাহিত্য
শুভা’র কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
কবি
পরিচিতিঃ জন্ম ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪, অলিগড়, উত্তরপ্রদেশে। একজন বিশিষ্ট
কবি, শিক্ষাবিদ এবং সমালোচক। জেএনইউ থেকে হিন্দিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার পর, তিনি অধ্যাপনা করেছেন রোহতক,
হরিয়ানায়। সমসাময়িক হিন্দি কবিতার তিনি অন্যতম বিশিষ্ট কবি। তাঁর কয়েকটি কবিতার
বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে স্বনামধন্য কর্মী এবং একটিভিস্ট।
নারীরা
নারীরা মাটির খেলনা তৈরি করে
মাটির চুলা
আর ঝাঁপি তৈরি করে
নারীরা মাটি দিয়ে ঘর লেপে
মাটি রঙের শাড়ি পড়ে
আর মাটির মতো গভীর হয়
নারীরা ইচ্ছে তৈরি করে
আর মাটিতে পুঁতে দেয়
নারীদের ইচ্ছেগুলো
দীর্ঘ সময় নেয় ফলপ্রসূ হতে।
নারীর হাতে ন্যায়
অন্তত নারী পশুর মত
নিজের বাচ্চাকে ভালোবাসে
ও তাকে রক্ষাও করে
যদি পুরুষ সংসার ছেড়ে চলে যায়
বাচ্চা মায়ের সঙ্গে থাকে
যদি মা ছেড়ে চলে যায়
বাচ্চা একলা থাকে
নারী তার সন্তানের জন্য
অনেক কিছু চায়
একটি চতুর দাসীর মত
বাচ্চাকে মালিকদের থেকে রক্ষা করে
সে তিরিয়া চরিত্রও রচনা করে
যখন কোনোই আশা আর বাকি থাকে না
নারী তিরিয়া চরিত্র ছেড়ে
বাচ্চার রক্ষা করে
সে চালাকি ছেড়ে
ন্যায়ের তলোয়ার তোলে
নারীর হাতে ন্যায় বিচার
তার সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয়
সব কিছুর গ্যারান্টি থাকে সব কিছু নিশ্চিত।
নারী ছাড়া জীবন
নারীরা জগৎকে ভয় যায়
কিন্ত জাগতিকের মত জীবন যাপন করে
সে বাইরে ও ঘরের
মালিকদের চাকর
ওরা কাঁদে
তিরস্কার করে
অভিশাপ দেয়
মার খায়
আর মরেও যায়
বাচ্চারা তখন ভবঘুরে হয়ে যায়
বুড়ো অসহায় হয়ে
পুরুষেরা অনাথ হয়ে যায়
পুরুষেরা নিজের বাড়িতেই চোরের মত থাকে
আর খুব দুঃখের সঙ্গে নিজের থালা নিজেই ঘষে মাজে।
নারীরা কাজ করে
চিত্রকর, রাজনীতিবিদ, দার্শনিকদের জগতের বাইরে
মালিকদের জগতের বাইরে
পিতাদের জগতের বাইরে
নারীরা অনেক কাজ করে
ওরা শিশুকে ষাঁড়ের মত শক্তিশালী
তরুণ করে তোলে
আটাকে রুটিতে
কাপড়কে পোশাকে
আর সুতোকে কাপড়ে পরিণত করে তোলে
তারা ধ্বংসস্তুপকে
বাড়িতে পরিণত করে দেয়
ওরা মাটি দিয়ে কালো চুলাকে
চকচক করে দেয়
এবং সব কিছুকে সুন্দর করে তোলে
ওরা বেশ কথা বলে
আবার ওরাই কুসংস্কারকে জন্ম দেয়
ওরাই গল্প ও লোকগীতি তৈরি করে
আবার ওরা বাইরের জগতের মানুষ দেখলেই
চুপ হয়ে যায়।
অধ্যাপিকা শুভার কবিতার সাথে পরিচিত হতে পেরে খুব ভালো লাগলো!
উত্তরমুছুন_ সমরেন্দ্র বিশ্বাস।