কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১২০


বেলাছোটোর ক্যাকোফোনি

 

(৩০)  

 

তাৎপর্যপূর্ণ এই যতিচিহ্ন। এই হলুদের প্রাধান্য। তৃতীয় কেহ নাই। অপরে কেবল অপরের দিকে। শূন্যেই ঘরবাড়ি। শুরুতে ছিল না কোন পতাকার রঙ। নৌকায় চোখ আঁকা, অনন্তে যায়। রাজহাঁস যায় তাঁর সবটুকু শ্বেতবর্ণ সহ।  

 

(৩১)  

 

প্রাসঙ্গিকতার আখ্যানে কোন কাস্তে ছিল না। গর্ভ ছিল। আর দরজার ছায়া, অজস্র। আখ্যানের উপস্থাপন ছিল না, প্রস্তুতি ছিল। ফিসফিস, সামুদ্রিক নহে, সমুদ্রের ভোর। আমরা তো সেই মৃত্যু দেখি নাই। কেবল এক আলো, সাদাকালোর সম্ভাবনা। অধিকতর শব্দ। পাঠে আরো কিছু ভয়ংকর ছিল। অভ্যস্ত হইতে হইতে ঘর শূন্য। ভূত এখন অবলীলায় আসে। পুনরায় ফিসফিস, পনেরো ইন টু দুশো আঙুল ওঠে, উঠিতেই থাকে। ঘরে তো আর গোপন নাই। জানালায়। আসি। অনুকরণের বরফ আসিতে থাকেঝুরঝুর, কালো, পৃথুল। চেয়ার শব্দ করে। চেয়ারটা হাসে। কৌতুকে দুলিতে থাকে। প্রকৃতই তো কোনদিন আসিবে না সে। দেয়ালে আঁক কষি। একদিন দেয়াল পূর্ণ হইবে। আমাকেই করিতে হইবে, এমন কিছু নির্দেশ রঙিন পুস্তকে তো ছিল না।   

 

(৩২)

 

দিনকে দিন তা মুছে দিচ্ছে। আলোকে অশেষ। রম্বসের একটা কোণ থেকে শুরু করেছি। দৌড়। ছুঁয়ে যাচ্ছি খাঁজসব। কি বিচিত্র সব ছবি! মাকড়সার সাদাকালো চালচিত্র। রমণের, ক্ষুধার। আশনাই আঁকিতে আঁকিতে চমৎকার বেতন। চেয়ার দুলিতেছে। ছায়া-ও। আমি জানি। সে আসিবে, জানি আমি। অন্ধকার ক্রমে আরো অন্ধকার। শেষ চুমুকে শেষ হইল, শাটারের স্পিড সঠিক ছিল না। ফলত বালিকার অশ্রুটুকু ছায়ায়। বাকি সবটুকু অশ্লীল আলো। কেহ কথা বলিতেছিল।  

 

(৩৩)  

 

কে আড়াল করিতেছে! কাহাকে! নদীর অপলক জল। খুঁজিতেছে। দু বেলার অন্ন আসিতেছে। মোটরবাহিত। নিজেকে কখনো ওজন করি নাই। পৌষ মাস। সম্ভাবনা এবং সংগ্রহের ফুল আজ ডালিমে দেখিয়াছি। টব হইতে নিরপেক্ষ একখানি হলুদ উঠিয়া আসিল। সামান্য কালোসহ। আমাকে এতখানি অবহেলা! হাসিলাম। কালো তবে আছে! ছবি শুরু করিলাম। আলো আঁকিতে। অতঃপর পথ। দেখিতে দেখিতে পুনরায় হাস্য আমাকে গ্রাস করিল। তুলিসমেত।  


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন