কবিতার কালিমাটি ১২০ |
কথার নির্মাণ থেকে
মনে মনে কথা বলতে থাকি
মনে মনে অনুপম ঐশ্বর্যের পথে
নিজেকে নিয়ে যাই
আজ সব বৃক্ষগুলি নাচে
আজ সব সর্বংসহ হৃদয়
ঈশ্বরের হাসি দেখতে পায়
আগুনে পোড়ে না হাত
দয়ার সীমানায় মেঘ
বৃষ্টি দিতে আসে—
ঘুম ভেঙে গেলে জেগে দেখি
নক্ষত্ররা অসম্ভব সৌরভে
পুলকে পুলকে চেয়ে আছে
আর আজন্ম দুঃখের দোকানে
সুখীফুল বিক্রি করে নতুন আলোর
মনে মনে কথা বলতে থাকি
কথার নির্মাণ থেকে
গড়াতে থাকে
আমাদের শিল্প ভবিষ্যৎ।
কার হরিণছায়া পড়ে আছে
জলে?
ফুটকি ফুটকি ফুলে ঘোর
মায়া
চুম্বন ভেসে উঠছে কালের
বাতাসে
মাতৃত্ব আজ ফণিমনসার
গাছ
সহজিয়া মরুর মাটিতে বেড়ে
ওঠে
দিনান্তে পাখির ভিড়ে
মা উড়ে যায়
আঁচল খুলে খুলে অপত্যচাবির
ঘুম নামে
দরোজা খুলে যায় লীন অভিমান
বালিশের তুলোয় জমা মেঘে
কান্না লেগে যায়
আমরা জাগি বেঁচে থাকার
ভ্রমে
মা আসে, শ্রীরামকৃষ্ণ
দেব, মা আসে
ঘরে ঘরে আরতির মাতৃমন্দির
অদ্ভুত পরিত্রাণে চেয়ে
থাকে জন্ম আমাদের
তোমার জানালায় চাঁদ এসে উঁকি দেয়
তোমার দরজা খোলে সূর্য
তোমার মাথাভর্তি নক্ষত্রফুল
ফোটে
একটি নারীজন্ম পার করে
দাও তুমি
আমার আকাঙ্ক্ষাগুলি এবর্ষায়
নির্মাণ করেনি নৌকা
কী করে পার হবে এপার ওপার
যুগ ?
সাঁতারবিহীন প্রবল জোয়ারে
ভেসে যাবে সম্পর্ক
তুমি আকাশের ওপারে আকাশ
সাজাবে
ডমরুধর এসে বসবে তোমার
আকাশে
নিত্য পদ্ম ফুটে উঠবে
রাশি রাশি
পূজায় আনন্দ প্রাণ ভরে
যাবে
তুমি বিছানা পাতবে অনন্ত
শয়ন ঘরে
একটি পৃথিবীর ভেতর আর
একটি পৃথিবী জন্ম নেবে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন