বেজন্মা
আজ নৈশব্দের সাক্ষী শুধু সফেদ ঢেউ
যাকে ছুঁতে চেয়েছিলাম
পারিনি কোনদিন;
বিষন্নতা দিগন্তরেখায় পরিশ্রান্ত,
আকাশ মিশেছে বালুকাবেলায়
সেও ছুঁতে পারেনি
সাগরের অশান্ত রূপ
থাক এসব কথা,
আমার দুদন্ড সময় -
জাবর কাটা শব্দের দ্যোতনা, অঙ্গীকার,
ব্যাথা বেদনা
সব কাগজে চাপা পড়ে জমছে
স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে
কবিতায় পান্ডুলিপি হবার আশায়
আর আমি লিখে যাই কাগজে
তার জন্মের পরিচয়।
সন্ধিক্ষনে
এখনো আটকে আছে লোকটা
ছেলেবেলার দোলাচলে...
রাস্তা চলায় কতো চরাই-উৎরাই
আসা যাওয়া,
অথচ তর্জনী এখনো কপালে
স্মৃতির হিমঘরে
ছাড়পত্রের আশায়।
জানি
শ্রাবনের বৃষ্টি ধুয়ে দিয়ে যাবে
জিহ্বায় হড়কানো ক্ষুধা,
অভিশাপ, নষ্ট চরিত্র,
উদ্ভ্রান্ত শব্দ, নগ্ন সেক্সপিয়ার
সূর্যের রূপটান, সবকিছু।
অথচ দেখো -
এখনো আটকে আছে লোকটা
স্মৃতি বিলাসের স্বপ্নে
উদ্দাম বালিয়ারীর হাওয়ায়;
আমি কিন্তু ওই লোকটা না।
আমরাই পুরুষ
পরিখার কাছাকাছি এসে -
পিছিয়ে
যাই,
নিকষ কালো অন্ধকারের শরীরে ...
মন বলে - ওদিকে যাস নে,
ওদের অন্তর্বাসে লুকিয়ে থাকে
বিষাদভেজা ঝরাপাতার
কাহিনি,
নিয়ন আলোয় বরফকুচির আবদার;
ফেরিওয়ালা ওরা,
শরীরের বাসায় লুকিয়ে রাখে অস্তিনের সাপ ...
তবু যাবার আগে
কিনে
নিই বেল ফুলের মালা
দেখে
নিই চারিদিকটা একবার ,
আর ফেরার সময় -
মুখটা মুছে নিই সভ্যতা আর সাম্যবাদের আলোয়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন