ঝুরোকবিতা সিরিজ
(৬৬)
তোমাকে আমি দেখিনি
কোনোদিনই
অথচ মাটিতে পা রেখে
উদ্ভিদের মতো
যখন ছায়া ছড়ালে
নক্ষত্রের মুখে
মনে হয়েছিল তোমাকে আমি
চিনি বহুদিন
আর কুয়াশা থেকে তুমি যখন
নেমে এসেছিলে পাখিপাড়ায়
ডুব সাঁতারে ফেরি
করেছিলে কমলার কোয়া
তোমার ডিম্বাণুতে আমি
তখন নিষিক্ত করেছিলাম
আমার শুক্রাণুর উল্লাস
(৬৭)
কেমন আছ তুমি
অ্যাকো্রিয়ামের স্নিগ্ধমাছ
কবে যে হারালে হায়
মহাসাগরের মালিকানা
তুমি না হয় আর একটু সবুর
কর বেহালাবাদক
রোদের হাত পা বেয়ে নেমে
যাচ্ছে পালতোলা মেঘ
আর তো নেই কোনো নাভির
কারসাজি
সক্রেটিসের জন্য কোনো
ব্যাপক ব্যস্ততা
বৃষ্টি এলে দরজায় দাঁড়াব
আমি
একথা মনে রেখো তুমি
অ্যাকো্রিয়ামের স্নিগ্ধমাছ
(৬৮)
এই নদীই একদিন পাখি হয়ে
উড়ে যাবে দল্মায়
মেয়েরা হাততালি দেবে
ছেলেরা বলবে জিও জিও
স্কুলের মাঠের গোলপোস্টে
দাঁড়িয়ে
গান গাইবে অর্চনা সোম
আজ সোমবার একলা বৈশাখ
নক্সামারা লালধুতি পরে
সেই যে যাই বলে চলে গেল
শৈবাল
আর এলো না ফিরে
পাকাবুড়ির নাকছাবিতে
ফুটল বকুল
আমাদেরও যাবার কথা ছিল
মধ্য সন্ধ্যায়
হাতের তালুতে ছিল একান্ত
স্বজন বাস্তুসাপ
Lekhaguli sabkati besh bhalo legechhe
উত্তরমুছুনLekhaguli sabkati besh bhalo legechhe
উত্তরমুছুন