কাচ
কাচের ওপর ধুলো জমেছে
কাচের ওপর বৃষ্টির ছাঁট
অন্ধ ঝুঁকে রয়েছে, অন্ধের চোখে সমগ্র
পৃথিবী, পৃথিবীর আলো; কাচ কি মুখচ্ছবি?
নিরাভরণ ছায়া? আমার ভেতরেও স্বচ্ছ কাচ
কাচের টুকরো টুকরো স্ফটিক জল। আর ওই দেখ
কেমন দ্বিধাহীন আলো, আলোর বিপ্রতীপ বিন্যাস!
একদিন জরা এসে ফিরে যাবে; হয়তো
একদিন শাশ্বতীরাও বলে ওঠবে, বাহ! তখন মনে পড়বে
আগুন বড় অগ্নিদায়ক— রাতের চে’ও, কাচের
চে’ও অমসৃণ, অনুদার...
সঙ্গত
কারণেই
সঙ্গত কারণেই ব্যাপারটা চেপে
যাচ্ছি।
অনেকেই মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে
অনেকে তাকিয়ে আছে এ ওর দিকে
কারও কারও চোখে মুখে অনন্ত
জিজ্ঞাসা
তারপরও - সঙ্গত কারণেই তা ভুলে
যাচ্ছি, ভুলে
যাই। আমিও জানি বড়
ইমপ্র্যাক্টিকেল সে কাজ, বড়
আনইতিক্যাল, তবুও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি, মুখ ফিরিয়ে নিই...
কি করব, কি করার আছে আমার— আমাদের?
সময়টা যেন বড় আনপ্রিডিক্টিবল, বড় আনজাস্টিফাইড।
অথচ দেখ, সারাক্ষণ হলুদপাতা ঝরে যাচ্ছে
বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে জীবনের
পাণ্ডুলিপি অবিরাম; তাই
ঝরাপাতা হাতে নিতে নিতে -
ঘাসের কাছে, অপূর্ণ বিকেলের কাছে
জমা রেখে যাচ্ছি, জমা রেখে যাচ্ছি ঝোপেঝাড়ে, প্রকৃতির সবখানে
অমেয় দীর্ঘশ্বাস...
কেউ কি
জানে
মরতে মরতে একদিন যারা বেঁচে
যায়
আর যারা বাঁচতে বাঁচতে মরে পড়ে
থাকে
যারা নৃত্যগীত শেষে ধূলো ওড়ায়
আর দিগন্তের
দিকে মেঘ করে আসে...
মাটি ভাগ হয়ে গেলে কি থাকে
সেখানে?
চোখ ফেটে রক্ত যখন আসে তখন জল
কি মেশে
একীভূত হয়ে? বড়শিতে মাছ গেঁথে নিয়ে এলে চন্দনারা
অমন কেঁদে ওঠে কেন? বাড়িই কি সব, শহরের একটি
বাড়িই কি সব? আমি কিছু না, মানুষ কিছু না? কত পথ
মাড়াতে মাড়াতে এলাম। কতদূর
থেকে এলাম- তবু দূরই
থেকে গেল গন্তব্য আমার!
কাঙালের বাঁশি থেকে কত আর রাত
ঝরে পড়বে
কত আর অন্ধকারের দিকে হেঁটে
যাবে দিকভ্রান্ত উলঙ্গ কিশোর?
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনকালিমাটি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল সাহিত্য পত্রিকা। এর প্রতিটি সংখ্যাই আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকি। এতে যারা লিখেন তারা প্রত্যেকেই আমার অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন। কালিমাটির বিশেষ বিশেষ সংখ্যাগুলি যদি হাতে পেতাম ভাল লাগত, স্মৃতি হিসেবেও সংখ্যাগুলির আলাদা মর্যাদা রয়েছে বলে মনেকরি। সম্পাদক মহোদয় যদি বিষয়টি ভেবে দেখতেন ? শুভ কামনা।
উত্তরমুছুন