চেয়ার
চেয়ারটির নাম
ক্লান্তপাখি হতে পারে। এটির সঙ্গে রায়ার সম্পর্ক বহু বছরের।
চোখ ফোটার পর
থেকে। প্রচুর হর্ষ
বিষাদ রোদ বৃষ্টি সন্ধে সকাল জড়িয়ে রয়েছে চেয়ারটিকে ঘিরে। এখন যদিও চেয়ারের আকার
নিয়েছে। তবে সূচনায় ছিল বেশ বড় আকারের কাঠের বাক্স। কিছু পরে চারটে পা লাগিয়ে ওপরে
তক্তা পুঁতে ডেস্ক ও টেবিল দুটোই। এর আগে একটা
সময়ে নাকি রায়াকে বেঁধেও রাখা হতো। ওপরের তক্তা একসময়ে ভেঙে যাবার পর বইয়ের বদলে
পুতুল রাখা হতো। পুতুলের সাজগোজ পুরো না হতেই রায়া হয়ে উঠল বাবা মায়ের হাতের পুতুল।
সিদ্ধান্ত হলো রায়ার বিয়ে দেওয়া হবে, আর রানীর জন্য ইস্কুল।
পিঠোপিঠি বোন
রানী। দুই মেয়ে, এই ভেবে একটা ছেলে দেখা হয়। বাড়িতে
ছুতোর আসে। কাঠ
নিয়ে। বিয়ের খাট আর
রানীর পড়ার চেয়ার টেবিল। টুকরো কিছু কাঠ পড়ে থাকে। সেগুলো কাজে লাগিয়ে রায়ার পুতুলবাক্স দিয়ে দোলনা
চেয়ার। দিনভর ঠুকঠাক।
রায়া শব্দবাহকের কাজ করে।
তখন নবম ক্লাস।
রায়া তখন দোলনা। দুলতে দুলতে অন্য বাড়ি। জগৎ তখন
সুখ। সুখময় রায়।
বড় ঘরের ছেলে। ঐ যে কথায় আছে না, ওপরওয়লা সবদিকে ভাতে মারে না! হলোও তাই। যেন সবটাই অবাস্তব। সুখ ঝরল আজীবন। বারান্দায়
দোলনা চেয়ার দোলে। হাওয়ায় সুখের ঘ্রাণ। চল্লিশ
বছরের সংসার। রায়া সুখে দোলে। গাল
বেয়ে গড়িয়ে পড়া লালাভগুলো গলে পড়ে। চুলের পাকে সুখের রক্তাভ হাত। সুখময় চিমটি কাটে। আহ্লাদে আটখানা হয়ে সুখের বুকে মুখ চুবিয়ে রাখে।
চেয়ার দোলে আবার।
হাওয়ায় মধু।
একমাত্র ছেলে রনি
দেখে মায়ের সুখ। বেঁচে থাকা স্বপনের সাথে। উপভোগও করে।
এবার মায়ের ওষুধ
দরকার। ভাবে। এবার মনে হয় ডাবল দিতে হবে ভেবে ডাক্তারকে ফোন করতে ওঠে।
রায়া জড়িয়ে থাকে
দুলতে থাকা চেয়ার। যুগলে দোলে। কাঁপে। ভাসে। হাসে। অবিরাম। ক্লান্তিহীন।
পড়লাম,অনবদ্য একটি চিত্র ফুটে উঠলো চোখে,সাথে সাথে খুব সুন্দর শব্দের বাঁধন
উত্তরমুছুনদীপ রায়
ভালো লাগলো ।অভিনন্দন ।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো ।অভিনন্দন ।
উত্তরমুছুনদিদি আপনি খুব সুন্দর চিত্রকল্প ফুটিয়ে তুলেছেন এই গল্পটিতে, খুব সুন্দর
উত্তরমুছুনচেয়ার আর চেয়ারের সাথে দুলে ওঠা জীবন..একটা দোলনা পরিণতি
উত্তরমুছুনচেয়ার আর চেয়ারের সাথে দুলে ওঠা জীবন..একটা দোলনা পরিণতি
উত্তরমুছুনDarun laglo...
উত্তরমুছুনVasar ki aporup Bandhan...
Avinandaan...aro lekha hok...
Suvechya roilo...
Darun laglo...
উত্তরমুছুনVasar ki aporup Bandhan...
Avinandaan...aro lekha hok...
Suvechya roilo...
সুন্দর একটা লেখা পড়লাম।রিমি দে বাংলা কবিতা চর্চার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল নাম।রিমির কবিতা যারা পড়েছে তারা জানে সেখানে থাকে একটি সুন্দর চিত্রকল্প।কবিতার কোনও প্রকৃত অর্থ হয় না সে ভাবে।
উত্তরমুছুনবারকয়েক পড়লে কবিকে বোঝা যায়।দিক্ষিত পাঠক
কবিতার কাছে একটু একটু কোরে পৌছোতে পারে।আমি এই লেখা পড়ে আমার ভেতরে কবিকৃতির একটা
ছবি পেয়েছি।যা আনন্দ ও বেদনা।আমার ভেতরে বিপরীত বোধ সুষ্টি হয়েছে।রিমি তোমাকে ধন্যবাদ।আরও
লেখো।শুভেচ্ছা নেবে।ভালো থেকো।
সুন্দর একটা লেখা পড়লাম।রিমি দে বাংলা কবিতা চর্চার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল নাম।রিমির কবিতা যারা পড়েছে তারা জানে সেখানে থাকে একটি সুন্দর চিত্রকল্প।কবিতার কোনও প্রকৃত অর্থ হয় না সে ভাবে।
উত্তরমুছুনবারকয়েক পড়লে কবিকে বোঝা যায়।দিক্ষিত পাঠক
কবিতার কাছে একটু একটু কোরে পৌছোতে পারে।আমি এই লেখা পড়ে আমার ভেতরে কবিকৃতির একটা
ছবি পেয়েছি।যা আনন্দ ও বেদনা।আমার ভেতরে বিপরীত বোধ সুষ্টি হয়েছে।রিমি তোমাকে ধন্যবাদ।আরও
লেখো।শুভেচ্ছা নেবে।ভালো থেকো।