কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

অদিতি ফাল্গুনী

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৯




ধর্ষণের পর...

 

গণহত্যা ও মৃত্যুর পরেও

মেয়েটির ধর্ষণ থামে না...

তার দেহে কতটা ক্ষত...

কোথায় কতটা দাগ-

নখ ও দাঁতের!

পুরুষ দেহের কতটা কি অবশিষ্ট পাওয়া গেছে

মৃতার শরীরে?

সেটা বাস্তব অথবা কল্পিত?

একক অথবা গণ?

সিরিঞ্জে পুশ করা হয়েছিল?

মৃত্যুর আগে বা পরে?

এর সাথে শাসক দল জড়িত?

আন্দোলন অর্থ বিরোধীদের সুযোগ নিতে চাওয়া?

সব দলের সব পুরুষের মুখে শুধু পর্ণোগ্রাফি!

কেউ উড়িয়ে দিতে অভিযোগ আর

কেউ দৃঢ় করতে অভিযোগ...

মৃত্যুর পরও মিডিয়া সোশ্যাল মিডিয়ার নেক্রোফেলিয়া..

 

রাষ্ট্রপতি ও বিমান বন্দরগণ

 

ধরো, রাষ্ট্রপতিদের নামে বিমান বন্দর প্রায়শ:ই হয়ে থাকে...

আশির দশকের ঢাকায় জিয়াউর রহমান বিমান বন্দর থেকে

নিউইয়র্কের জেএফকে বা জন, এফ, কেনেডি বিমান বন্দর...

বিশেষত: যুবক বয়সেই যারা খুন হন।

কেনেডির স্ত্রী ছিলেন জ্যাকুলিন

আর অতগুলো বাচ্চা-কাচ্চা...

তারপরেও অমন রূপসী নায়িকার গলায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন!

মারা গেলেন অথবা খুন হলেন নায়িকা?

কে জানে? জিয়াউর রহমানকে নিয়ে

হাল্কা কোন কিংবদন্তী-

কোন অব্যর্থ গায়িকাকে জড়িয়ে?

একদা সেনা শাসকের সুর-মুগ্ধতা? কে জানে!

অতটা নিশ্চিত নয়।

কোন কোন জনপদে বিশ শতকের হেরে যাওয়া বীর

(সুভাষ বোস যেমন)

অথবা নামী যোদ্ধার (ছত্রপতি শিবাজী যেমন) নামে বিমান বন্দর!

রাষ্ট্র-নায়ক বা নায়িকাদের নামে বিমান-বন্দরগুলো...

বন্দরনায়েকে অথবা ইন্দিরা গান্ধি বিমান-বন্দর...

এঁদের অনেকেই নৃশংস খুন হয়েছেন।

লেনিন বা মুজিব গুঁড়িয়ে গেছেন বুলডোজারে...

ফাঁসি দেওয়া জারের পরিবার রাশিয়ার ডাকটিকিটে

ফিরে এসেছে সন্ত হিসেবে...

প্রতিটি বিপ্লবের পর প্রতি-বিপ্লবের হাওয়া,

সফলতম সিনেমার পর বক্স-অফিস ফ্লপ হয়

খ্যাতিকে দেখে ফেলা নায়িকারও ...

যখন তাঁর আর খ্যাতির দরকার নেই...

কোকিল-কণ্ঠী গায়িকাকে একরকম মৃত্যুর দিকেই

ঠেলে দিয়েছিল তাঁর গার্হস্থ্যে ঝিমিয়ে আসা তবু সহিংস বর?

তাঁর নাম না-ই বলি আজ!

সবই ত’ গুজব, কিংবদন্তী সম!

অথচ শেক্সপীয়র বা রবীন্দ্রনাথের নামে কোন বিমান-বন্দর কোথাও নিশ্চিত হয়নি!

দান্তে বা তলস্তয়ের নামে?

‘দূর ছাই- বিমান-বন্দর! এসব মাথায় গজগজ ভাবনা এলেই

কবিতা লিখবি আর দুম করে খুলবি ফেসবুক...

ইহকাল পরকাল ঝরঝরে হবে,

এত এত খুন-রাহাজানি-রাজনীতির খবর শেয়ার দিতে দিতে চাকরি হারাবি,

নতুন চাকরিও পাবি না।

এমনিতেও কারো বাপেরই অফিস ছিল...

বাপের অফিসে পুত্র কাজ জানুক না জানুক

সে-ই সব জানে...এসব ভুলতে নেই!’

তার উপর ফেসবুক খোলা এবং জামাত বিরোধী ফ্যাসিবাদী?

তার চেয়ে ফেসবুক বন্ধ রাখো-

খুললেও রাজনীতির পোস্ট বাদ।

দিলেও ’ফ্রেন্ডস ওনলি’ করো।

ইহ জীবনে তোর আর কোন ভবিষ্যত নেই।

ভবিষ্যত ভুত হয়ে পুরো ঝরঝরে!

সুতরাং পপ কর্ণ মুখে নিয়ে চিবুতে থাকো

আর ভাবো বিমান-বন্দর,

ভাবো অনেকটা সাধারণ বলে অন্তত:

হত্যাহীন পার হতে পারো একটি জীবন।

যদিও নির্বাসিত- যদিও সব কিছু হিমাঙ্কে ঠেকেছে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন