কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত




অন্য হাওয়ায়  

আজ কোথায় যেতে পারি
কে দাঁড়াবে দুয়ারে 
ডেকে নেবে অভ্যন্তরে
এই উষ্ণ দিন
একাকীত্ব বড় গ্রাস করে
বৃষ্টি থেমে গেলে 
ভেবেছি কোথাও যেতে হবে
অনর্গল কোন প্রাসাদে
লাগোয়া বাগানে
অজস্র পাখিরা
নিরলস গায়
অনেক উঁচুতে কোনো ঘুড়ি
সুতো ছিঁড়ে উড়ে যায় অন্য হাওয়ায়

উচ্চকিত শহরে  

তোমাদের উচ্চকিত শহরে
হে ঈর্ষা আমাকে গ্রাস করো
আমি যেন স্বর্গ আর নরকের মাঝে
বৈতরণীর পাশে
কাঁপতে থাকি দারুণ জ্বরে
হে শহর চূড়ান্ত উন্মুক্ত করো আমার রক্তে
সমস্ত অ্যাড্রেনেলিন হরমোন  
হে ঈর্ষা তুমি জাগাও কুণ্ডলিনী
উদাত্ত শোনাও মন্ত্ররাজি

আমি ধ্বংসের মহারাজ হবো
কাঁধে সতীদেহ বাজবে ডম্বরু
তোমাদের উচ্চকিত শহরে
আমাদের কোন প্রেম নেই
আস্তিনে আছে শুধু ছুরিকার উৎসব

ঝড়

কাকে বলা যায় বৃক্ষহীন নগরীর অনুচ্চারিত মানুষের কথা!

প্রবল দুঃখদিনে উড়ন্ত মৌমাছি খুঁজে ফেরে ফুল্লকুসুমিত
অধ্যায়সমূহ!

বিভক্ত মনে আছি আমি, পাখির ডানা শব্দ শুনি না আর,
যতোটা উদ্ধার হয়েছে পর্বত, ততোধিক নিহিত কালের গহ্বরে।

কিছুটা কিংবদন্তী আর কিছুটা লোককথা, খ্যাতি ছড়িয়েছে
মুখে মুখে, অথচ আমরা জানি প্রবল বাত্যায়
নুয়ে পড়েছে ঋজু বৃক্ষেরা, হাহাকার গায়ে মেখে
পানশালার দেয়ালে হেলানো রয়েছে গুঁড়িগুলো।

এইসব ছিন্নদেহ  বৃক্ষ ও মানুষেরা
পড়ে আছে অনন্ত সরণি জুড়ে

তুমিই অংশ ঈশ্বরের

বারবার অরণ্যের কাছে যাও, কারণ অরণ্য
ফেরায়নি কখনও, ঝরনাও বার বার
ডাকে, পাহাড়ের শরীর থেকে নেমে আসে,
গাছের আড়ালে লুকোন মৃদু জলশব্দ
স্পষ্ট হয় যত কাছে যাও তুমি।

তখন কী বিশাল ব্যাপ্তি ভাবো তোমার
সম্মুখে, ভাবো কী নিরলস ঝরনা ক্রমাগত
নেমে আসে; কী তার অবিরাম কলকাকলি,
জলকেলি করতে থাকো তুমি, পায়ের কাছে
অজস্র নুড়ি; অতঃপর নদী সমতলে।

এই ঝরনা নদী অনন্ত পাহাড় তোমাকে
এক অদ্ভুত শক্তি দেবে-বারবার বোঝাবে
বৃহত্তর বিশ্বে তুমি অংশ অসীমের; ব্রহ্মাণ্ড
জুড়ে তোমার উপস্থিতি- তুমি অংশ ঈশ্বরের।

স্তবকের মায়া

স্তবকের মায়ায় আচ্ছন্ন আমি, ডুবে যাচ্ছি আদিম
জলাশয়ে জ্বলছে কন্যাশ্রয়ী আগুন; পুড়ে যাচ্ছে
মাতামহী বালিকা এবং যাবতীয় নারী

খুব সন্তর্পণে ভেসে উঠেছি, শব্দ হারিয়ে গেছে,
মাথার মধ্যে হাতুড়ি ঠুকছে স্তন যোনি ঋতুস্রাব
ধর্ষণ পুরুষাঙ্গ- এই সব কথা জোর করে সুড়সুড়ি
 অর্বাচীনতা চর্বিত চর্বণ- সকলেই মল্লিকা সেনগুপ্ত নয়,
নারীবাদেরও কিছু ব্যাকরণ থাকে- থাকে শালীনতা

এই ভাগ্যেও জুটছে হাততালি, একেও হাততালি
দেবার জন্য কিছু লোক আছে- কোকশাস্ত্র কামশাস্ত্র
বটতলা সংস্করণপ্রিয় বাল্যখিল্য হাততালি;
আছে ভাম অবদমিত কাম।   

স্তবকের মায়ায় আচ্ছন্ন আমি, কষ্টে জ্বলে যাচ্ছি,
জ্বলছে কন্যাশ্রয়ী আগুন; সবাইকে হাততালি
দিতে পারি না আর




















Top of Form


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন