কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

অয়ন্ত ইমরুল




কতদূর বেজে গেল রিমিকি

ভাঙিয়ে সুঁইচোরা বিল উঠে এল
রাঙামাছ
একঝাঁক দুইঝাঁক ঝাঁকঝাঁক

কতদূর বেজে গেল রিমিকি
ঢেউটিন জানে তা

বহু ঝিরিঝিরি পরিণত দুলিয়ে যায়
বরজের ছায়াপ্রিন্ট শাড়ি 
কোথাও কারও চইচই লুকিয়ে রেখে হাঁসগুলো পালকে মাখছে ইরি
এ বেলা বাড়িও ভুলে গেছে তার নাগাল

কতদিন এইভাবে বৃষ্টি লুকিয়ে 
গাবকষে ডোবানো বেঁউতি ইলিশে গেছে!

অনেক  অ্যারিলা হয়ে আজ এই তারাগুলো প্রভাময় 
আজ এই রুপাঘোরে নুয়ে এসে
অসহ্য এক হার্পুন রেখে যায় হৃদয় 

একদিন ফিরে গেলে রুমাল খেলায়
আমিও চোর হই
যেখানে শস্যের পাইল করা ঘড়ি
গোলার বসন্তে দুলাতে থাকে পেন্ডুলাম

ভোরের শরীরে তখন উঁকি দেয়া 
ফোটা খই 
ডিঙিয়ে গেছে চুপবাতাস
কোন কোন রাইপাহাড় শরীরি ঢালে
খুব করে ঝরনা করে 
তখন সরুখালের সাঁকো পেরিয়ে 
ঘন বেউড়বন 
যেভাবে ছুঁয়ে থাকে নিখিলের উদার
যেভাবে বাড়ি ঘেঁষে লতিয়ে ওঠে 
ফার্নের স্বরগ্রাম
যেন জানালা ফোটাতেই জান্নাত
এসে বলে যায়
তোমাদের একীন পর্যন্ত দীর্ঘ রাখা এই হুরফুলের সৌরভ

যতদূর নিনু এই এমিগডালা
দূরের আরও দূরে রূহের রইরই 
কাফুরের নলকূপে ঢেউ দেয়

তখন তোমার কলিংবেল 
তখন তোমার ঝোঁক করা
বহুদূর হেঁটে আসা রঙিন উন্মুখ চোখ
একান্ত আকাশে এসে
টাঙিয়ে রাখে রংধনু

কতদূর বেজে গেল রিমিকি!

তিরির তুরুপ এসে টিপ দেয়
অ্যারিলার কপালে
ভেজা এই ঘুমকালে
মা থেকে মাবুদের বুকে 
কারও কারও ঘুম গাঢ় হয় 
তখন শিশুর আদলে 
আমারও চোখ জ্বলে দীর্ঘ তন্দ্রায়
খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায় গায়ের রাত


শিথিল শেমিজ

বৈঁচির ঝোপ শুধু ওড়ে
চোখ পেরিয়ে যায় কাঁটাবহরী
চোখ পেরিয়ে যায় শালগ্রামের
                               ট্রামগুলি

দূরের দূরে তুমি
বিপন্ন ঘড়ি জুড়ে ঘোল করে 
ঘরের জলবাগ

ভীষণ এক শিশিতে জহর হাসে
                           হাসে আয়না

তোমার চুল জড়ানো চিরুনী যেন এক
নীল টেলিগ্রাম 
আমি চুপচাপ পড়তে থাকি
শিথিল শেমিজ

প্রতিদিন ধূপগন্ধের সন্ধ্যায় আমি
প্রার্থী হয়ে থাকি
তুমি ওকূলের ঢেউ হয়ে থাকো
            হয়ে থাকো সুরের প্রোপেলার

তোমার অনগ্রসর পায়ের শীত 
ঘরে আসে
হাড় ধরে রাখে বিষম কাঁপন


ছুটি বারে

ভাবনা ফুঁড়া ডল
উজালা থিমপার্ক
ছুটি করা বৃষ্টির ঝুমঝুমি 

যে ভাবেই নাচাও তিতলির রঙ
অনুরাগে ভেজা তোমার দোহারা
ভেজা অই রশ্মি বোনা হাতের রেখা

তিরির ঢেউয়ে যাওয়া 
পেন্ডুলামের দোল এখন বরফ ও বরফি

দৃশ্যে কিছুটা কাঁপন রেখে
দাঁড় বাওয়া 
দাঁড়ের পাখিকে শেখানো উড়াল
বুলানো হল
চলছে দীন আর ক্লান্তির লে অফ 

সখি টেলিস্কোপে যাও
সখি শরসূনায় যাও

আমার সলতে নিভে যায় 
হাওয়ার কাপলিংয়ে
আমার কাহারবা উলটে যায় বাতা সেলে

খুব করে 
গান গায় ছায়ার স্ত্রী লিঙ্গ -- 


(১)

নগরে নাগর পড়েছে
হাওয়ায় উড়ছে সখিদের রুমালে আঁকা সুয়োপাখি

(২)

জামরুল বনে দুপুর ঝিম হয়ে থাকে-
শিশুরা গাছে উঠতে পারে না বলে
বাবারা সিঁড়ি হয়।

(৩)

ক্রিং ছড়িয়ে বালক চাকার পাখি
এই ভীষণ বিকেলে-
বালিকার টেবিলে নামা রক্তিম
কালোজাম
পুলকরাশির মধ্যে জুড়ে দেয় তোলপাড়



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন