কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১ জুলাই, ২০১৮

অয়ন্ত ইমরুল




দূর


কিছু কিছু দূর
চিরকালীন বিউগল, ভিতর-
শিহরণে কাঁপায়, 
ক্রমশ করুণ সে বাবা-বাবা বোল
অনন্ত শূন্য হয়ে

যখন লাওহে মাহফুজে প্রতিধ্বনিত,

মেঘের কুমকুম হয়ে ঝরে 
           তোমার নামের প্রসন্নতা, 
দূরত্বের ডালিম আরও 
লাল হয়ে ফেটে যায়।
           আমি আলোর উৎসে 
তোমায় প্রতিফলিত পেয়ে রিকোন করি  
আনচান ঘুড়ির সুতো
         তখন ঐ হাওয়ার ঢেউ,
অই নীল নির্জন বনে আছড়ে পড়ে
      আর দুপুরেয় ঘুঘুর উৎকন্ঠা
                দূর কোনো
ধানমাড়াইয়ের কল ও ফলে
         স্পন্দিত হতে থাকে 
অপেক্ষার আলো ও আলেয়ায়
                 কখন যে 
ঘুমিয়ে যায় লাঙল ও জোয়াল!
   ফেরত আসার আ'লে
   একা পড়ে থাকে মাথাল ও লাল গামছা-



উপসংহার


সে এক মহুয়ার হাওয়া 
তীব্রগন্ধা
গান ও গণিতে 
কোথাও গাঢ় হয়ে আসে 
নাশপাতির রস সব
জ্যাম আর জেলিতে আমার ঘন শিহরণ 
তুমি টের পাও
অথচ হাতের বেগুনী রেখায়
কিরিচ করে রাখা সব 
কাঞ্চনমালাদের গাঁও 
মিউকাসে বাড়ি ফিরে!

এইই উপসংহার

ঠোঁটের শুকপাখি লাল হয়ে গেলে
অমা ও বর্ষায় 
হাওলাতে লীন হয় নক্ষত্রের- 

প্রকাণ্ড কালোয় কোথাও নিভে যায়
উদয়ের অমূল স্বর

এ এক এক চুপধ্বনির শহর-
প্রধান ফটকে 
একলা দাঁড়ানোর ভঙিমায়
কিছু রক্তজবা মুহূর্ত 
এফোঁড় ওফোঁড় করে-



বিষয়


মেঘের আরক নিয়ে রোদভোলা ঘড়ি,
বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিল 
করুন সন্ধ্যার ন্যাপকিনে
স্যাঁতসেঁতে হাওয়ায় যতটা উন্মোচিত
চাঁপাডাঙার বৌ
তারও অধিক অনিবার্য
চাঁপাফুলের ঘ্রাণ ও উষ্ণতায়
প্রতিক্রিয়ার রঙ আসে 
লোহিতসাগর থেকে 
তারপর,
ঋতুমতী ঘড়ির পেন্ডুলাম-
দোলাকে বিষয় করে পদক্ষেপ রাখে
সর্বস্ব ধারায়;

একাকার ধানতলা,
আহারে মাঠ, ব্যাখ্যানত 
অভিধান খুলে যখন বিশ্লেষণে যাব
তিরপলের পাড়ে ঢেউ দিয়ে যাবে
লোহিত সাগরের জল
তখন নির্ঘাত কম্পন রাখবে 
ঈষ ও শিষ
আর জেনে যাবে 
যে কোনো কম্পনই দ্রোহ



কাঁটা


কাঁটা ফুটে বোবা এই গানের সুরে
বিপুল ঢেউ তার-
কারও কারও ভিটে ভেঙে সে এক নদী 
ঘনিয়ে আসে,
দুরস্ত কাঠকয়লার দিনে দিগন্ত কাঁপিয়ে 
থকথকে মেঘের কুমকুম 
যেন বা জমিয়ে দিয়ে যায় সুষমার 
দোলের দুপুর
কোথায় সুষমা!
বেণীবন্ধনের ছায়ায় 
খেলে যায় হুলময়-
হলুদ রঙের সামাজিক পতঙ্গ সব
কেন যে তবু মনোহারিতা,
বেণী খোলা ভুলে 
বোলতার ঘরের পূর্ণিমায় এসে সিঁথান
উজ্জ্বল করে রাখে 
কুহক ডাকা নির্ণীত সন্ধ্যায়!



চাকার পাখি


ঘুমভোলা এ গাঁও 
শশীর এ্যারোমায় ওড়ায় চাকার পাখি
উতলা এই জোয়ারে 
ক্রিমসন হাওয়া ফোটনের ফুলে ফুলে
কথা কয়
ভিটে ভেঙে এগিয়ে আসা নদী
বুক উঁচিয়ে দেখায়
ভরা বর্ষার জলজিলাপি-
যদি পাতালঘর সাজায় মহুয়ায়,
ভাঙা জাহাজের পাটাতন ছুঁড়ে দিও
আলেয়ায়
কূলমুখী হবো বয়ঃসন্ধির জলে ভেসে
তখনো, বালিঘড়ির বৌভাত,
চোরাবালির চপচপ আমাকে 
রেখে দিলে কৌতূহলে-


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন