ফিকশন
অরুণাভ ঘোষ
লাইব্রেরীর এই কোণাতে সব ফিকশন। কল্পসাম্রাজ্য। পুরনো বা নতুন লেখকের পুরনো বা নতুন বই। তাদের প্রচ্ছদ নানা রঙের। একটা বইয়ের প্রচ্ছদে একটা মেয়ের সিল্যুয়েট, তার পাশে একটা আধখোলা বই, তার উপর কালচে হয়ে যাওয়া কতগুলো শুকনো ফুলের পাপড়ি। বইটার নাম ‘খানিক শূন্য মাপে’।
বইখানা নেড়েচেড়ে দেখে আদিত্য। দু’এক লাইন যা চোখে পড়ে, তাতে বোঝা যায়, প্রেমের উপন্যাস। বিষাদবিধুর। রেখে দেয় সে। কল্পনার স্বভাবই হলো বিভ্রান্ত করা।
র্যাকের উল্টোদিকে একটা মেয়ে তন্ময় হয়ে একটা বইয়ের ভিতরের পাতা পড়ছে। তার ঠোঁটের কাছে একটা সূক্ষ্ম বাঁক। মেয়েটা আনমনে হাসছে। দু’মিনিট দৃশ্যটা দেখে আদিত্য। মেয়েটাও নিশ্চল। ঠোঁটের সূক্ষ্ম বাঁকের কোনো পরিবর্তন হয় না। উপরের আর নিচের তাকের মাঝখানে বইয়ের সমান্তরাল ফাঁকে মেয়েটাকে অসাধারণ লাগছে। অপূর্ব ফ্রেমে বন্দী সে।
হঠাৎ সেদিক থেকে ‘প্রবন্ধসাহিত্যে’র দিকে এগোয় আদিত্য। ফিকশন তার আর ভালো লাগে না।
অরুণাভ ঘোষ
লাইব্রেরীর এই কোণাতে সব ফিকশন। কল্পসাম্রাজ্য। পুরনো বা নতুন লেখকের পুরনো বা নতুন বই। তাদের প্রচ্ছদ নানা রঙের। একটা বইয়ের প্রচ্ছদে একটা মেয়ের সিল্যুয়েট, তার পাশে একটা আধখোলা বই, তার উপর কালচে হয়ে যাওয়া কতগুলো শুকনো ফুলের পাপড়ি। বইটার নাম ‘খানিক শূন্য মাপে’।
বইখানা নেড়েচেড়ে দেখে আদিত্য। দু’এক লাইন যা চোখে পড়ে, তাতে বোঝা যায়, প্রেমের উপন্যাস। বিষাদবিধুর। রেখে দেয় সে। কল্পনার স্বভাবই হলো বিভ্রান্ত করা।
র্যাকের উল্টোদিকে একটা মেয়ে তন্ময় হয়ে একটা বইয়ের ভিতরের পাতা পড়ছে। তার ঠোঁটের কাছে একটা সূক্ষ্ম বাঁক। মেয়েটা আনমনে হাসছে। দু’মিনিট দৃশ্যটা দেখে আদিত্য। মেয়েটাও নিশ্চল। ঠোঁটের সূক্ষ্ম বাঁকের কোনো পরিবর্তন হয় না। উপরের আর নিচের তাকের মাঝখানে বইয়ের সমান্তরাল ফাঁকে মেয়েটাকে অসাধারণ লাগছে। অপূর্ব ফ্রেমে বন্দী সে।
হঠাৎ সেদিক থেকে ‘প্রবন্ধসাহিত্যে’র দিকে এগোয় আদিত্য। ফিকশন তার আর ভালো লাগে না।
Ekadhikbaar poreo ek e rokom bhalo lage
উত্তরমুছুন