ফ্ল্যাশব্যাকে থিয়েটার
পাঁচালি (# নটী বিনোদিনী মঞ্চ # মেচ দেশের কন্যা)
প্রতি,
থিয়েটারের অন্দরমহলে নটীদের অন্যতম বিনোদিনী। তখনকার অনেক নাট্য-ব্যক্তিদের মুখের কথায়, ডাকে - তিনি বিনোদ। তাঁকে এককথায় থিয়েটারের সচেতন শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করেছি সেই কবেই। তাঁকে সমাজ শোধরানোর প্রথম থিয়েটারের নারী বলেও চিহ্নিত করেছি প্রবন্ধে আলোচনায়। একান্ত ব্যক্তিসত্তায় তিনি চিরকালীন প্রতিবাদী এক শিল্পী। একরাত্তিরে তাঁর লেখা বইখানা পড়েছিলাম। তারপর ভাবনায় শান লেগেছিল। কলকাতা জুড়ে অনেক মঞ্চ তৈরি হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর। কিন্তু কোথাও তাঁর নামের মঞ্চ হয় না। স্টার ভেঙে নতুন কলেবরের আধুনিক মঞ্চ, প্রেক্ষাগৃহ আর প্রদর্শনী কক্ষ হল। এবারেও বিনোদিনীর ভাগে পড়ল প্রদর্শনী কক্ষ, তাঁর নামে নামকরণ হয়। এভাবেই থিয়েটারে তাঁর ঋণ সুদে আসলে বেড়ে রইল।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মরকত কুঞ্জ প্রাঙ্গণে তাঁর নামে মঞ্চ হয়েছে। থিয়েটারের পাঠরত শিল্পী কলাকুশলীদের কাছে এই মঞ্চ-নাম একটি বিশেষ্য পদ শুধু নয়। কারণ, থিয়েটারের নিখাদ পাঠশালায় অভিনেত্রী বিনোদিনীর নামের মঞ্চ টিকে থাকবে চিরকাল। এ হল শ্রদ্ধাঞ্জলি। নিপাট মাল্টিপ্লেক্স যুগে হুজুগে সংস্কৃতির ঘূর্ণিতে পাক খাচ্ছে থিয়েটার। সেই থিয়েটার, যা জীবন্ত মানুষের দ্বারা লাইভ। যন্ত্রের লাইভ তার বিশালত্ব ধরতেই পারে না। বৃষ্টি আসছে এমন এক দিনে-দুপুরে বিশেষ আয়োজন ছিল নাট্য-উপস্থাপনের। ঘটসজ্জা, পাতাসজ্জার পাশে নিবিড় টান রেখে সজ্জিত দর্শকের জন্যেই – নাট্য-দর্শক। চেনা উপকরণের সাজ পেরিয়ে প্রবেশপথ। এমন করে সাজানো যেন নাট্য-ভূমিকা তৈরি করা। সাজানো ফ্লেক্স বিজ্ঞাপনে লেখা – থিয়েটার রেপারটইয়ার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিবেদিত উত্তরবঙ্গের লোক কাহিনি অবলম্বনে নাটক 'মেচ দেশের কন্যা'। নাটক সৌমিত্র বসু। নির্দেশনা তরুণ প্রধান।
ভাল্লাগে তাই পা বাড়াই। কলকাতার অন্যান্য মঞ্চে থিয়েটার দেখা হলেও, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে নটী বিনোদিনী মঞ্চে নাট্য প্রযোজনা দেখা এই প্রথম। আয়তন হয়ত কম দর্শকস্থানের জন্যে। কিন্তু তাতে কি থিয়েটার মঞ্চ তো! পরিপাটী বন্দোবস্ত থিয়েটারের সাপেক্ষে। এখানে বেশিরভাগ দর্শক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপক-শিক্ষক। বিশিষ্ট আমন্ত্রিত দর্শক হয়ে আসন গ্রহণ করেছেন থিয়েটারের কুশীলবজন। যেমন, গ্রুপ থিয়েটার অভিনেত্রী ও নির্দেশক সীমা মুখোপাধ্যায়। বরিষ্ঠ আলোচক প্রাবন্ধিক ভবেশ দাশ। এবং আরও অনেকে। এরইমধ্যে আলো নিভে গেল প্রেক্ষাগৃহের। ততক্ষণে এসে আসন নিয়েছেন প্রফেসর সোমনাথ সিনহা। এসেছেন সহযোগী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী এবং তারই পাশে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক শান্তনু দাস। কিছু চোখ অপেক্ষায় চকচক করছে তেরচা আলোতে। আগেই নির্দেশক ও নাটক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরুণ প্রধান ঘোষণা করেছিলেন, দ্বিতীয় বেল পড়লে নড়াচড়া বন্ধ, ঢোকা বেরোনো বন্ধ করা হবে। তা অবশ্য করতে হয়নি। দর্শক জানেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যানুষ্ঠানে ইচ্ছেমতন ওঠাবসা চলে না। এই হল পরিশীলিত দর্শকের বোধকাঠি। এই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসন চেয়ার বেঞ্চ। যা ইচ্ছেমতো সরানো যায়, সাজানো যায় দর্শকের জন্যে। তাই করেই কোন কোন দু-চারটে মাথা খুব কাছে। ছায়া দেখলে মনে হবে যেন কারো চার মাথা। ওই পুরাণের বর্ণনা মতন। এবারে মঞ্চসজ্জা প্রসঙ্গ 'মেচ দেশের কন্যা'-র মঞ্চ ভারিক্কি সজ্জায় নয়। বরং দৃষ্টি নন্দন। কালো পর্দায় সাজা মঞ্চ, যেমন থাকে। তারই মধ্যেকার অংশে একেবারে ইয়া বড় এক কন্যার রেখা অবয়ব আঁকা। অনেকটা যামিনী রায়ের আঙ্গিকেই। ব্যস। আর কিছুই নেই।
দ্বিতীয় বেল। প্রেক্ষাগৃহের এক কানাচে ততক্ষণে চেয়ার নেওয়া হয়েছে। নজরে মঞ্চের বামধারে রয়েছে শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তৎপর নির্দেশক পড়ুয়া-শিল্পীদের ডাকতে পাঠালেন বিভাগীয় মান্য অধ্যাপককে। নাটক বিভাগের বরিষ্ঠ প্রফেসর ড. সোমনাথ সিনহাকে নিয়ে আসতে ছুটল সেই পড়ুয়া। মিনিটে হাজির তিনি। মানে, আগেই নেমে এসেছিলেন বিভাগ থেকে। থিয়েটারের মানুষ মানেই সময়ের বোধ বোঝা গেল।
ঘোষণা হল … 'মেচ দেশের কন্যা' নাট্যরূপ দিয়েছেন শিশির ভাদুড়ি অধ্যাপক সৌমিত্র বসু। তিনি একাধারে নাট্যকর্মী, অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক এবং নাট্যজন। নাট্য-নির্দেশক তরুণ প্রধান। তিনি একদিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যপক। যিনি এই নাট্যে যুক্ত কলাকুশলীদের প্রয়োজনমত শিক্ষা দিয়েছেন। থিয়েটারের অভিনয় ব্যতীত শারীরিক কসরত দেখানে দল… মিশিয়ে নিয়েছে অভিনয় আর কসরত। শব্দ প্রবল লাগে বিশেষত ওই প্রেক্ষাগৃহের জন্যে। কলাকুশলীদের মঞ্চ ব্যবহার বিশেষত মেচ কন্যার ছোটবেলা থেকে যুবতী হয়ে ওঠার দৃশ্যটি , একবারে চোখ বুজলেই ঝলকায়। রয়েছে অস্ত্র ব্যবহার সঙ্গে সঙ্গে নাচ। পোশাকের জন্যে মেচ দেশকে খুঁজতে ইচ্ছে করে। কত বৈশিষ্ট্যের ছয়লাপ পোশাকে। যেখানে মনেহয় উত্তরবঙ্গ নয়, মনেহয় মণিপুর বা এমন কোন পার্বত্য ভূমি হবে বা। পরক্ষণেই ফিরে আসা যায়, কারণ পোস্টার। সেখানেই লেখা ছিল, এ হল উত্তরবঙ্গের লোক কাহিনি।
যেমনটি হয়ে থাকে। বীর রাজপুত্তুর কেন হবে শুধু। রাজকন্যার বীরত্ব দেখেছে তো থিয়েটারের দর্শক। যথা, মাধব মালঞ্চী কন্যা-র সেই বীর কন্যের ভূমিকায় সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত। সেই বীর কন্যার কথা মনে এল হঠাৎই। রাজার ঘরে একমাত্র কন্যা সেই যে চিত্রাঙ্গদা। কন্যা হলেও অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করে রাজকন্যা। সেই আরেকটি কনার গল্প। সংলাপ অভিনয়ের চেয়েও বেশি করে তালিম দেওয়া শারীরিক দক্ষতার প্রতি। তরুণ প্রধান নিজে দক্ষ রূপকার তাই দলটির পারফরমেন্স এত ব্যঞ্জনাময়। আলোচ্য নাট্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী প্রাক্তন উপাচার্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আলো শান্তনু দাস। ব্রোসিওর পরিকল্পনা শুভাশিস হালদার। নামাঙ্কন শুভেন্দু সরকার। আবাহ শুভাশিস সরকার। নির্দেশনা সহযোগী অনির্বাণ সরকার। মঞ্চ সুপ্রিয় শুভজিৎ। শব্দ প্রক্ষেপণ সায়ক পোশাক পলান কুন্ডু। আলোক নিয়ন্ত্রণ ধনপতি ও বিশ্বজিৎ। অভিনয়ে শুভ্রাংশু অভিনন্দন অর্ণব সেনগুপ্ত অনুরন অনিরুদ্ধ সুশান্ত অর্ণব রায় পারমিতা ঈপ্সিতা নিকিতা সায়ন্তী পূজা প্রিয়াঙ্কা অনুসূয়া সুমনা সুপ্রভাত অর্ঘ্য দেবদাস প্রণয় বিক্রম সৌরভ সারূক আলি পরিতোষ শোভন হৃদয়জিত রঞ্জিতা সৌদীপ সৌমাভ অনির্বাণ। এরা সবাই দাপুটে এবং কসরত দেখিয়েছে মঞ্চের নাট্যগুণ অব্যাহত রেখেই। সাধুবাদ জানানো যায় একারণেই যে, নির্দেশক যে দীর্ঘসময়ের নাট্যচর্চায় রয়েছেন, তা বোঝা যায় এই নাট্যের দ্রুত লয় থেকে। রিদম বা তাল নাট্যের গতি ধরে রাখে, যা চেনাজানা একটা টেক্সট দেখতে আগ্রহী করে রাখে। এবং মঞ্চ উপযোগী প্রপসের ব্যবহার খুব স্বাভাবিকভাবে চলায়, বোঝা যায় নাট্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় কোন ত্রুটি রাখতে চাননি নির্দেশক। তিনি অভিনয়ের শেষে তো বলেইছেন যে, এই প্রযোজনার সব ক্রেডিট হল পারফরমারদের। তারা কুশলী এবং পরিশ্রমী। জনমাধ্যম ঘেঁটে বোঝা গেল যে, এই প্রযোজনার কল শোয়ের সংখ্যা কম নয়। শুধু এরই মধ্যে মনেহয় এটি রূপক কাহিনি হলেও নারীকেন্দ্রিক বলেও আলোচনা করা চলে।
ঘটনা বা কাহিনি বা নাটকের ভাষায় প্লট খুব জানা। লোককাহিনির পাতা খুললেই এমন গল্প মেলে। সরল কাহিনি। মেচ দেশের রাজকন্যার বীরগাঁথা। মনেহয় রূপক বীরত্বের কাহিনিটি যেন জল দিচ্ছে একুশ শতকের আরেকটি মেয়েকে। যে রাজার মেয়ে নয়।
এদেশের তীরন্দাজ কত মেয়ের মধ্যে সেও একজন। মেয়েটি, যার লড়াই একটি আধুনিক ধনুক কেনার জন্যে। দেশের নাম উজ্জ্বল করবেই সে। তীরন্দাজ মেয়েটির এখনকার ব্যবসা চায়ের দোকান। ঝাড়খণ্ডের হতদরিদ্র আদিবাসী পরিবারের এই কন্যাটির বাবা- মা দুজনেই দিনমজুর। চোদ্দ বছর বয়েস থেকেই সে স্কুল লেভেলের আর্চারিতে চ্যাম্পিয়ন। সম্বল বাবার বানানো বাঁশের ধনুক। সেটা দিয়েই দীপ্তি লড়াই করেছে স্টেট লেভেলে। জিতেছে ৬৬টি মেডেল। কিন্তু স্টেট লেভেলে তার সেই বাঁশের ধনুক চলবে না। তাই, দিনমজুর মা, ধার করেন দেড় লক্ষ টাকা। যা দিয়ে মেয়েটি প্রতিযোগিতার উপযুক্ত একটি আধুনিক ধনুক কিনে ফেলে। স্টেট লেভেল থেকে রেকর্ড সময়ে জাতীয় লেভেলে জিতে যায় দীপ্তি। জিতে নেয় আনুমানিক ৪০টি মেডেল। এক্ষেত্রে কেউই তাকে প্রশিক্ষণ দেয়নি সেভাবে। ভালো প্রশিক্ষণের জন্য দীপ্তি ডাক পায় ঝাড়খণ্ডের বিরসা মুন্ডা আর্চারি অ্যাকাডেমিতে। দীপ্তি আধুনিক ধনুক নিয়ে দু বছরের মধ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিযোগিতায়। সেখানে জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন কামালিকা বারিকে পরাজিত করে। দীপ্তি জিতে নেয় ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নের সোনার মেডেল। নাট্যে মেচ রাজকন্যা সাহায্য পেয়েছিল এক রাজ পুরোহিতের। যিনি ভবিষ্যৎ দেখে বলেছিলেন এই মেয়েই শত্রু বধ করে ফিরিয়ে আনবে রাজত্ব। গল্পে তাইই হয়েছিল। কিন্তু দীপ্তি নামের এই জাতীয় তীরন্দাজের জন্যে আরেকটি ধনুক নিয়ে যদি কেউ অপেক্ষা করত, তবে তার ফলাফল হত আশাব্যঞ্জক। অন্তত মেয়েটা লড়তে পারত। কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করার জন্যে একটা ধার করে কেনা ধনুক ভেঙে গেলে দ্বিতীয় উপায় – দীপ্তি জানে না। দীপ্তির মা সাড়ে চারলক্ষ টাকা ধারে ধারী। সেই ধনুক ভেঙে গেলে প্রতিযোগী দীপ্তিকে সাইড লাইনে বসে থাকতে হয়েছিল।
এখানে গল্পের রাজকন্যা মেচ দেশের পরের কোন দেশের শত্রু সংহার করে। এর দ্বারা একটি সামাজিক ব্যাখ্যা তো মিলল। যে, দীপ্তি আদিবাসী মেয়েটি চায়ের দোকানের উপার্জন থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা পারবে না জোগাড় করতে। তাতে পিছিয়ে থাকা মেয়েটির এগিয়ে আসাটি প্রশ্নচিহ্নে। তবুও কিছুদিন আগে একটি ভাইরাল খবর হয়ে উঠল, যে তীরন্দাজ মেয়েটি প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য চেয়েছে দেশের মানুষের কাছে। প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন কালিমাটি পত্রিকার সম্পাদক নিষ্ঠাবান সাহিত্যকর্মী কাজল সেন। এবারের লেখা কেমন যেন মিলে গেল। এক রূপকথার কন্যের ধনুক হাতে যুদ্ধ থেকে থেকে মনে করাচ্ছিল দীপ্তির কথা। দীপ্তির সঙ্গে কোন নির্দেশক নেই, যিনি ওকে উতরে দেবেন।
এই পরম্পরায় লিখিত কিস্তি নাট্যচর্চাও একুশ শতকীয় এক উপস্থাপনা শুধু নয়। এর চরিত্ররা আমাদেরই কাছাকাছি কোথাও যুদ্ধ করছে। কালিমাটি পত্রিকার মাননীয় সম্পদক লেখক কাজল সেন-এর সুবাদে নাট্য-সংস্কৃতি আলোচনা ও সমাজ-উপস্থাপনার এই যোগসূত্র। হয়ত কোন এক অজানা পাঠকের কাছে আন্তর্জাল পত্রিকার মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়বে। মরমগাঁথা মেচ দেশ হোক বা ঝাড়খণ্ড-এর বীর কন্যার কথা ধার নিয়ে লেখা গেল এইবার। ততদিনে আরও শো হোক থিয়েটারের। আর অন্যদিকে এগিয়ে চলুক ধনুকবিদ্যা পারদর্শী যত এদেশের কন্যা।
_
ইতি
একুশ
শতকের ফ্ল্যাশব্যাক সত্ত্বাধিকারী …
এমন ভাবেই আমাদের পাশে থাকুন। আপনাদের উৎসাহ আরো ভালো কাজ করতে আমাদের এগিয়ে দেবে।
উত্তরমুছুনশুভেচ্ছা হে নামহীন
মুছুনEkdom sothik boktobbo prokash peyeche aapnar lekhoni te Mou...sadhubaad janai aapnake...
উত্তরমুছুনAnanya Das
প্রাণিত হলেম @Ananya Das
মুছুন