কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

তৃষ্ণা বসাক

সমকালীন ছোটগল্প



 

বর্ডারলেস

‘কবরখানায় পৌঁছে আমি লক্ষ্য করলাম মাটির নিচে শুয়ে থাকা মৃতেরা নির্ভয়ে বিরামহীন গল্প করে চলেছে।

খুন হবার ভয় করার দরকার নেই তাদের’।

(পি কে পারাক্কাদাভু)

 

(১)

ক্যাথারিন বলল, ‘এটা একবার দেখে এসো, আমি গাড়িতে বসছি’।

আমি কোন উৎসাহ পেলাম না। আমার মনে হচ্ছিল ক্যাথারিন নেমে দেখে আসুক না! ওদের দেশ, ওরাই চেনে বেশি। ভেবেই মনে মনে জিভ কাটি।  আমিও এখন এ দেশের নাগরিক। কিন্তু দেশের ধারণাটা এত গভীর প্রোথিত যে এখনো দেশ বলতে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা সেই ভূখণ্ডকেই মনে হয়।

বাবুলকে আমি কোনদিন দেখিনি। মুনাব্বর হোসেন বাবুল। সে আমার অনেক আগেই এ দেশে এসেছিল। আমি এসে থেকে তার নাম শুনতাম খুব। ইউরোপের এই ছোট শহরে একদম প্রথম দিকে আসা বাংলাদেশীদের মধ্যে সে একজন। একটা গবেষণা সংস্থায় গবেষণা করতেই এসেছিল সে। তারপর এই শহরেই চাকরি নিয়ে নেয়। আর দেশে ফেরেনি। হয়তো গেছে মাঝে সাঝে। কিন্তু পাকাপাকিভাবে ফিরে যায়নি। এ বিষয়ে তার একটা থিয়োরি ছিল শুনেছি। দেশে চাকরি নেই। সেখানে গিয়ে আরেকজনের ভাত না মেরে দূর থেকে দেশের কাজ করা অনেক শ্রেয়। সেই কাজই করছিল সে। শুধু চাকরি করলে তার নাম এত ছড়াত না। বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা করে অনেকেই। কিন্তু বাবুল বাংলার সঙ্গে এই দেশকে মেলাতে চেয়েছিল। তার বিশ্বমেলা সঙ্গীত অকাদেমিতে বাংলা লোকগানের সঙ্গে স্থানীয় লোকগানের মিল, অমিল নিয়ে কাজ চলত। ঠিক ফিউশন না, সমান্তরাল দুটো গানের ধারা, কোথায় মিলতে পারে, সেটা খুঁজেপেতে দেখা। বাবুল এদেশে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে চলে যেতে এদেশের লোকেরাও অনেক শোকসভা করেছিল শুনেছি। তবে এদেশের লোকেদের বা বাঙালিদের কোন শোকসভাতেই আমি যাইনি। যদিও সরাসরি কেউ ডাকেনি,  তবু এসব জায়গায় তো সবার জন্যেই অবারিত দ্বার থাকে। আর এদেশে দেখেছি একদম অচেনা কেউ, যার নাম কার্ডে ছাপা নেই বক্তা হিসেবে, সেও যদি বলে তার কিছু বলার আছে, তাকে সানন্দে বলতে দেওয়া হয়। তাই ইচ্ছে করলে আমি এরকম একটি সভায় স্বেচ্ছায় বিনা আমন্ত্রণে গিয়ে বাবুলকে নিয়ে দু’চার কথা বলে আসতেই পারতাম। কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমার বলার বেশি কিছু ছিল না। বাবুলের কবিতা আমি পড়েছিলাম কিছু দেশে থাকতেই, ভালো কবিতা, ঐ অব্দিই। আমাকে আপাদমস্তক নাড়িয়ে দেবে, সেরকম নয়। আসলে বিদেশে আসার আগের আর পরের বাবুল - দুটো আলাদা মানুষ যেমন, তাদের সৃষ্টিতেও বিরাট তফাত হয়ে গেছিল। ওর কবিতার একটা বিরাট ভাঙচুর হয়েছিল, শুধু  তাই নয়, ও সারা পৃথিবীর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। দেশে থাকতে যেন সেটা ঠিক হচ্ছিল না। মানুষ অনেকটা গাছের মতোই। সব পরিবেশে নিজেকে মেলতে পারে না। একটা বীজ পোঁতা হল একটা মাটিতে, বছরের পর বছর কিছুই হল না, হঠাৎ একদিন টবটা ছাদে দেওয়া হল, বা বাগানের মাটিতে পুঁতে দেওয়া হল, অংকুর গজাল অমনি। বাবুলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। তার মধ্যে একটা অসম্ভব বদল এসেছিল, ভালোর দিকে। সে নিজেকে এক ঈর্ষণীয় উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিল। এই যে কথাটা - ঈর্ষণীয়। আমি সেসময় বাবুল সম্পর্কে একটা ঈর্ষাই অনুভব করেছিলাম। ভেবেছিলাম, কে হে তুমি, দু’কড়ির কবিতা লেখো, এখানে কী এমন তালেবর হয়ে উঠেছ? তাই  বাবুলকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবার সৌজন্য দেখাইনি আমি। তাছাড়া এটাও ঠিক,  সেইসময় আমি রুজিরুটি নিয়ে ভয়ানক ব্যস্ত, সংস্কৃতি চর্চার সময় নেই শুধু না, আমি মনে করতাম সেটা একেবারেই বিলাসিতা। যাইহোক আস্তে আস্তে আমি এদেশে পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেলাম, শুধু নিজের পেশা নয়, নেশাতেও। বাংলা গান নিয়ে কাজ শুরু করলাম, একটা ব্যান্ড, যার নাম দিলাম মাটি। সেই মাটি দিনে দিনে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠল। আমরা অনেক জায়গায় ডাক পাই, ইউরোপ আমেরিকা থেকে, যেখানে বাঙালি আছে, সেখানে তো বটেই, বিদেশিরাও আমাদের গানের ভক্ত হয়ে উঠল। বছরে একবার আমরা মাটি ফেস্টিভাল করি, সেখানে গান গাইতে আসে কত বিখ্যাত মানুষ। গতবছর এই ফেস্টিভ্যাল হল অনলাইনে, অতিমারীর কারণে। আর তখনি কেভিনের সঙ্গে আলাপ। সে সেতার বাজায়। আমাদের এখানে বাজাবে। ও-ই প্রস্তাব দিল বাবুলের কবরে ফুল দেওয়া উচিত আমাদের মাটির তরফ থেকে। আমি রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু সহজ শুনতে লাগলেও বেশ কঠিন ব্যাপারটা। কোথায় সেই কবর? সেটা খোঁজার দায়িত্ব অদ্ভুতভাবে আমার ওপর এল। কীকরে বার করব আমি? কিছুই জানি না এই ব্যাপারে। তখন কে যেন বলল, ক্যাথারিন নিয়ে যাবে  তোমাকে। বাঁশি বাজায় যে মেয়েটা, ওই তো ক্যাথারিন। ও জানে হয়তো।

 

(২)

আসলে সবাই গুগল টুগল ঘেঁটে জেনে গিয়েছিল বাবুল আর আমি একই এলাকা থেকে এসেছি, আর সেটা আমাকে যখন বলা হল, আমি তো অবাক। আমি  জানতাম না আমি আর বাবুল একই জায়গার মানুষ। ধলেশ্বরী নদীর ধারে আসমানিগঞ্জ, আমার বাড়ি। আম্মা আর ছোটভাই এখনো সে বাড়িতে থাকেন, আব্বা শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন এখানে। আর বাবুলের বাড়ি আসমানিগঞ্জের পাশের গ্রামে সইদুল্লাপুরে। সেটা প্রথম জানলাম। আমাদের কখনো সামনাসামনি দেখাই হয়নি, আলাপ হওয়া তো দূরের কথা। এই দেশে একবার ওকে একটা প্রোগ্রামে দেখেছিলাম, আমি দর্শক আসনে, ও মঞ্চে। অদ্ভুত না? অথচ আমি আসমানিগঞ্জের, ও সইদুল্লাপুরের। ছোটবেলায় একটা মেলায় যেতাম প্রতি রথে, বাবুলও নিশ্চয় আসত। হয়তো আমরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ভেঁপু বাজিয়েছি, পাঁপড়ভাজা খেয়েছি, জানিই না। আমাদের দু’গাঁয়ের মাঝে একটা মেলা হয়,  সইদুল্লাপুরের জমিদার শশিভূষণ রায় চৌধুরীদের বংশের আয়োজনে রথের মেলা। লোকের মুখে মুখে সেটার নাম চৌধুরীদের মেলা। সেই চৌধুরীদের কেউ আর নেই, সাতচল্লিশে বেশিরভাগ লোক চলে গেছিল। সেই সময় আগাম খবর পাওয়ায় মোটামুটি ভালভাবেই ওরা কলকাতায় চলে যায়। ওখানে বিরাট বাড়ি ছিল আগে থেকে। কোন অসুবিধে হয়নি। এখানে সইদুল্লাপুরের অতবড় বাড়িতে বুড়ি চৌধুরানী, তার ছোট ছেলেকে নিয়ে থেকে গেছিল। সে ছিল আর্টিস্ট। ধলেশ্বরী নদীর ধারে ঘুরে বেড়াত আর ছবি আঁকত, বিয়ে করেনি। বাড়িতে ফাইফরমাশ খাটতে আসত জুলেখা, তার কালো চোখের মায়ায় আটকে গেছিল। জুলেখাকে বলেছিল, তোর ছবি আঁকব। জুলেখা হ্যাঁ বা না কিছুই বলেনি, বড়  বড় চোখে চেয়েছিল, তারপর এক দুপুরে এসে দাঁড়িয়েছিল ধলেশ্বরী নদীর ধারে। একটা পাকুড় গাছের নিচে বসেছিল ছেলেটা, ইন্দ্রভূষণ। জুলেখাকে আসতে দেখে দু’চোখ তুলে চেয়েছিল ইন্দ্র, ইশারায় ওকে স্থির হয়ে দাঁড়াতে বলে ক্যানভাসে  দ্রুত তুলি চালাতে থাকে। এত দ্রুত যে, মনে হচ্ছিল, ছবিটা ওর মাথাতেই আছে বহুকাল ধরে, জুলেখা না এলেও আঁকা হত। তাহলে জুলেখার আসার কি দরকার ছিল? জুলেখা হয়তো সেরকমই ভাবছিল। কিন্তু ওর কালো দুই চোখের নিচে, ওর নরম পায়রার বুকের মতো বুকের নিচে যে মন, তাতে কী ভাবনা চলছিল খোদায় মালুম! ও গাছের গায়ে হেলান দিয়ে ধলেশ্বরীর দিকে উদাস চোখে তাকিয়ে ছিল। নদীর বুকের ওপর গাঢ় মেঘের ছায়া নেমে এসেছে, যেন কিছু বলতে চায়, ওরা কেউ খেয়াল করেনি। ইন্দ্র চোখ আঁকা শেষ করে এনেছিল। সেই দীর্ঘ আঁখিপল্লবের ওপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ল। ক্যানভাসের চোখ চমকে উঠল। বৃষ্টি পড়ল জুলেখার লাল কালো ডুরে শাড়ি দিয়ে ঢেকে রাখা স্তনে। ওর শরীর থেকে সোঁদা গন্ধ উঠল। মাটি ভিজে উঠলে যেমন বেরোয়।  

শুনেছি ফরাসিরা একরকম সুগন্ধ তৈরি করেছে, তাতে অবিকল নাকি সোঁদা মাটির গন্ধ। বিশেষ  মানুষের সঙ্গে ডেটে যাবার সময় মেয়েরা সেই সুগন্ধ মাখে, যার নাকি সঙ্গীকে পাগল করে তোলার ক্ষমতা আছে। সেদিন জুলেখার শরীর থেকে কোন বিদেশি কম্পানি নয়, প্রকৃতি সুগন্ধ ছড়াচ্ছিল। ইন্দ্র আঁকা শেষ করে জুলেখার দিকে এগিয়ে এসেছিল ধীরে ধীরে। জুলেখা চিত্রার্পিতের মতো দাঁড়িয়ে ছিল। ইন্দ্র এসে ওকে চুমু খায়নি, জড়িয়েও ধরেনি, কেবল ওর বুকের আঁচল সরিয়ে নাক ডুবিয়ে সুগন্ধ নিয়েছিল। ওর নাকের দুপাশে ধলেশ্বরীর ঢেউয়ের মতো জেগে থাকা দুটি স্তনের দিকেও তাকায়নি, ওর দুটি হাত দিয়ে দলামোচড়া তো দূরের কথা। যেমন মানুষ বরষা ভেজা জুঁই বা বেলফুলের সুগন্ধ নেয়, তেমনই। সুগন্ধ নিয়েই চলে গেছিল সে। ফুলের গন্ধ থেকে রক্তের গন্ধ কতদূর আর? বৃষ্টিভেজা মাটির ওপর  রক্তের ফোঁটা পড়লে গন্ধ কতটা পালটে যেতে পারে? সে গন্ধ যখন আমাদের নাকে সে পৌঁছয়, তার নিচের স্তরে থাকা  জুঁই বা বৃষ্টির সুবাস, নদীর সুবাস কি বুঝতে পারে কেউ? পরের দিন দুজনের লাশ পাওয়া গেছিল নদীর তীরে। ইন্দ্র আর জুলেখার। তাদের রক্ত মিশে গিয়েছিল ধলেশ্বরীর জলে।

 

(৩)

সেই গ্রাম থেকে এসেছিল বাবুল? নিশ্চয় ইন্দ্র আর জুলেখার গল্প ওর ছোট থেকে শোনা! প্রেমের, ভিন্ন ধর্মের প্রেমের পরিণতি কেমন হয় তা ওর জানা ছিল।   অবশ্য প্রেমের নব মুকুল তো ফোটার সুযোগই পায়নি ইন্দ্র আর জুলেখার মধ্যে। তাতেই এত ভয় পেয়ে গেল সমাজ কর্তারা? ইন্দ্র তো মাটির সোঁদা গন্ধ নিতে চেয়েছিল, যার মধ্যে তো কোন সম্প্রদায়ের চিহ্ন ছিল না, ভয় পাবার মতো কোন চিহ্ন। তবু সমাজ ভয় পেয়েছিল। ইন্দ্র আর জুলেখার গ্রাম থেকে এসেছিল বলেই কি বাবুল এত ছড়িয়ে পড়তে চেয়েছিল?

ক্যাথারিন হঠাত গাড়ি থামিয়ে বলল, ঐ যে বাবুল শুয়ে আছে।

-তুমি যাবে না?

ক্যাথারিন কোন জবাব দিল না। আমি ভাবলাম, এই পশ্চিমীগুলো ভারি কাঠ  কাঠ। এদের কোন আবেগ নেই। এত দূরে কষ্ট করে ড্রাইভ করে নিয়ে এল। কিন্তু নামতেই চাইছে না।

আমি  নেমে হাঁটতে লাগলাম। সেদিন আমার এক বন্ধু, ইন্ডিয়ান, ফেসবুকে পোস্ট করেছিল বেড়াতে গিয়ে। দেরাদুনের কাছে ধলৌটি বলে একটা জায়গা। পাইন বনের মধ্যে দিয়ে নির্জন পথ। এই পথটাও সেই রকম। ভিজে ভিজে। একটু আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে। এর আগে  কখনো আমার বাবুলের জন্য কষ্ট হয়নি। আজ এই  অজানা ভিজে ভিজে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমার ভেতরে কী একটা ভাঙচুর হচ্ছিল। ধলেশ্বরীর পারের ছেলেটা কত দূরে, কোন অজানা জায়গায় একা একা শুয়ে আছে!

বন পেরিয়ে আচমকা একটা খোলা জায়গা, পার্কের মতো। মৃত মানুষের পার্ক, ক্যাথারিন বলে দিয়েছিল, বাঁদিকে থার্ড রো। খুব বেশি খুঁজতে হয়নি। আমি পেয়ে যাই। একটা ছিমছাম কবর, যার ওপর ফুলের তোড়া নামিয়ে রাখতে গিয়ে আমি চমকে উঠি।  পরিষ্কার বাংলায় লেখা আছে-

‘জুলেখার ভাই, ক্যথারিনের স্বামী, ধলেশ্বরী নদীতীরের ছেলে বাবুল এখানে শুয়ে  আছে’।

লেখা তো আমি পড়ছি, কিন্তু একই কথা বাংলায় শুনতে পাচ্ছি কী করে? এই ছোট্ট গ্রাম কিডলিংটনের নির্জন কবরখানায় নিশ্চয় অডিও সিস্টেম চালু নেই।  চমকে তাকাই, দেখি আমার ঠিক পেছনে মাটির ওপর হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছে ক্যাথারিন আর জোরে জোরে বলছে ওই শব্দগুলো। আমিও বসে পড়ি মাটির ওপর। যে বাবুলকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল এমন একটি মেয়ে, তার সঙ্গে জীবনে না দেখা হওয়ার জন্য এই প্রথম আক্ষেপ হয় আমার। যার শরীরে জুলেখার রক্ত আর ইন্দ্রের তুলির রঙ লেগে আছে, চৌধুরীদের মেলার গন্ধ আর ধলেশ্বরীর ঢেউ মিশে আছে, জীবনে প্রথমবার তাকে ছোঁয়ার জন্যে আমি ক্যাথারিনের পাশে বসে পড়ি, আর ইন্দ্রের মতোই হয়তো, আমি ওর মাথাটা বুকে টেনে নিয়ে ওর সোনালি চুলের ঘ্রাণ নিই। আমাদের ওপর দিয়ে বয়ে যায় কোন সুদূরের ধলেশ্বরীর বাতাস!

 

 

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন