কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
শব ও দ এর মাঝে সেতুটুকু ভেঙে দেওয়া
যাক
(১)
সদর দরজা খোলা
বারণ।
কাফন ব্যবসায়ী
আজ পরিমাপযোগ থেকে
ভাতৃবিয়োগে
গেছে।
ওদের ছুটির
নাই বালাই বাতলাই।
অবশ্য ছুটির
মত ঘন্টা বাজলো ঠিকই, মনে হলো।
তবু বলি, সদর
দরজা খোলা বারণ।
(২)
তফাতে দাঁড়িয়ে
আছে ঈশ্বরের মত কিছু চোখ
আড়াল বলতে তারা
'আড়'টুকু খুঁজে নিচ্ছে খালি।
আলপথ দিয়ে যত
সমবণ্টন পড়ে আছে,
আজকের মত থাক,
আবার কখোনো
যদি কাছাকাছি নিঃশ্বাস ফেরে,
আড় ভেঙে মানুষের
নৈকট্যের গল্প লেখা হবে।
(৩)
বাসি হয়ে আসছে
আজ ঘুমের ভেতর ঘুম।
চাদরের নিচে
স্তব্ধ, সমস্ত আদর, শব্দ
ফিকে হয়ে এলো
বলে, থেমে থেমে, শবটুকু দ।
মৃতের বিছানা
থেকে, এইভাবে,
মায়াটুকু ফেলে
যেতে হয়।
এমন নাম থেকেই কবিতার জন্ম হতে পারে।
উত্তরমুছুনস্বাদের কবিতা, অবসাদের কবিতা, ছেড়ে চলে যাওয়ার গান- সব কটাই এই লেখাগুলো থেকে আবার ফিরে পেলাম। আপনার লেখার ধরনাই আলাদা। ভাল আলাদা - SB
উত্তরমুছুন