কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
নাম নেই, শিরোনাম নেই
(১)
কবিতা কি
জলসত্র খুলেছে কখনো?
আমরা জানি
না। আচ্ছা, বেশ
যে হাসি
রাশিরাশি আর বাক্যি বর্ষণও
দিশা
হারালে আচমকা থেমে যাবে সব?
এ
মহাবিশ্বে সেটাও অসম্ভব
নীল আকাশে
তাই বিদ্যুৎ চমকালো
গান থেমে
গেলে থেকে যায় তার রেশ
'এ মহাশূন্যে
হারায় না তো কিছু'
এ
প্রতীতীই গ্রীষ্ম দুপুরজুড়ে সাজায় কালো
গাভীর মতো
গর্ভবতী মেঘের পিছু পিছু
(২)
আমাদের
যাবতীয় ওড়াউড়ি কবিতার পাতায় পাতায়
ভেবে দেখি
জলপথে যাতায়াতই ভালো
চোখের
আরাম হয়, নদীর উল্লাস
কাচশব্দে
ভেঙেছে বিভ্রম, দাঁতে দাঁত
তুমুল
বন্ধুতার শেষে কবিতা আশ্রয়
(৩)
কবিতার
দেখা নেই একমাস
আমার এই
মাপা অন্নের ধুলোজীবন
ভাজা
বাদামের থেকে বাড়তি নুন ঝরানোর মতো
সে যে
ফেলে গেছে এক টুসকিতে
তাকে আজ
খুঁজি কোন্ আঘাটায়?
নিজেকে
বিলিয়ে দিতে দিতে
আগুনের
চারপাশে পোকামাকড়ের শব
কোন্
নিষাদের তীরের অপেক্ষায়?
গাভীর মতো গর্ভবতী মেঘ / তুমুল বন্ধুতার শেষে কবিতা আশ্রয় / ভাজা বাদামের থেকে বাড়তি নুন ঝরানোর মতো - প্রতিটা কবিতা থেকে সবচেয়ে সুন্দর লাইনগুলো আজ আমি নিয়ে গেলাম - অরূপ
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ভাই
মুছুনদেবাশিস মল্লিকের স্বকীয়তা উদ্ভাসিত । নির্জনতম কবি । তাঁর কবিতায় খুব বেশি লোকজনের বসবার ব্যবস্থা নেই । "গাভীর মতো গর্ভবতী মেঘ / তুমুল বন্ধুতার শেষে কবিতা আশ্রয় ' এইসব চিত্তরূপময়তার মধ্যেই লুকনো তাঁর কবিতা ।
উত্তরমুছুনভালোবাসা!
মুছুনএকরাশ ভালোবাসা!
উত্তরমুছুনআপনার দুটো কবিতাই ভাল। কিন্তু তিনে গিয়ে কবিতা আমার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে। অবসাদ, ভাল না লাগা, ভয় এইগুলো কি অদ্ভুত শান্তভাবে কবিতায় মিশিয়ে দিয়েছেন। এইভাবে জীবনের উপমার দিকে তাকালে নিজেকে কি ছোট লাগে! অসাধারণভাবে দেখেছেন কবি। তার উপস্থাপনাও অতি কাব্যিক ও চমতকার - SB
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনগান, বন্ধুত্ব, আড্ডা জড়িয়ে আছে ধুলোজীবনের পরতে পরতে। তবে ঐ... "বেশি লোকজনের বসার ব্যবস্থা নেই", অতিমারীর যুগে তা না থাকাই বিধেয় বটে! - একান্ত পাঠক
উত্তরমুছুন