সতেরো ফেলে, আরও দশ যাওয়ার পর
আঁখের রস থেকে চিনি শুষে খায় পৌষের রোদ
গেলাশের মানুষ কাগজ বিছিয়ে, ক্ষুদ্র বেঁচে থাকা
মোছে।
চকের শরীর বেয়ে, ধুলোয় পৌঁছে যাওয়ার আগেই
বর্ণ চটানো বাড়ির জানলায়, কেউ নতুন রঙের,
মর্ম বোঝে।
শুধু আমিই বুঝি না, তালিমে এত ব্যথা কেন হয়
যতটুকু বাতাসে হলে, গান হয়ে যায়, তপ্ত বিদ্যুতের
চিড়িক করে আলো কেন এখনও এতটাই ঝলসে দেয়
নতুন হওয়া ময়ূর পালকে, গুটিয়ে রাখা বর্ষা ছুটে
লোহার গায়ে আছড়ে পরে,
পরে আমার পেরে খাওয়া আকাশ থেকে অনেক লাইন
সবাইকে তাই সাবধানেতে নিজের থেকে,
কাছে দূরে
লুকিয়ে রাখি।
যাতে তারা বুঝতে পারে,সময় মত খুঁজতে পারে,
ব্যথা আমি করি নি তোমায়,
ব্যথাতে তুমি এমন করলে,
আমিও তখন সবই ভুলে
এরূপ আচরণ করতে থাকি।
সমস্ত স্পর্শে কাঁটা
দেয় না গায়ে
এই এক চামড়ায়, আমাদের
দুঃখ এসে বসে।
কাঠ কাঠুরের সব কাঠ কেটে নিয়ে গেছে
ঝড়।
ধাড়ালো অস্ত্রআঘাতেও আমাদের লজ্জা
কাটেনি,
শুধু কেটে গেছে কুয়াশা, আজ
রোদ ওঠার পর...
মাটির উপর মাটি দিয়ে, সরস্বতীর
বিদ্যে ঢাকা
হয়েছে
বুদ্ধি সেলাই হবে না বলে, মুচি
সেলাই করে মন
জোনাকি পর্দা, সরে
গিয়ে অন্ধকার ঘর পাওয়ার
আগেই
ছায়ান্তরে আমি লিখেছি চিঠি,
সেই সব ভয়ংকর
আত্মগোপন,
কীভাবে তোমার তালুর নীচে, উনুন
আঁচে, সেঁকেছে
ঢিল
সমস্ত খেয়েছি, আদর্শ
স্বপ্ন ভ্রমরের কামড় খাওয়া
যশে...
দেখেছ তুমিও, সেই
একই স্পর্শ, কতটুকু কাঁটা তোলে
আর গায়ে,
আমাদের চামড়াও এখন একখানা,
বুঝি তখনই, যখন
দুঃখ এসে বসে।
মন ছুঁয়ে গেলো।
উত্তরমুছুন