প্রাপ্তবয়স্কতার পূর্বদিক
(১৬)
ওভারকোটের
বোতাম থেকে ছিটকে আসছে শীত। টেমস নদীকে করলা ভাবলেই আমি জলশহর,
কী ভীষণ ঘেউ ঘেউ
শুনছি রাস্তা জুড়ে, একটু একটু মরফিন বেহালাবাদক পেরিয়ে গেলো, অথচ আমার মাউথঅর্গ্যান শেখার শখটা গেল না, পৈতের মতো সরু
সরু আলো নেমে আসছে ব্রীজের নিচে
যেভাবে বসে আছি অল্প, কেউ রিপিট্ করছে আমায়। টেলিপ্যাথি।
এখন শীতল সন্ধ্য। বাবুঘাট থেকে অন্ধকার আহা কী অপূর্ব
চুরুটের গন্ধ প্রথম ধূমপানের স্মৃতিকে উসকে দিচ্ছে ডিয়ার ওয়াটসন–
(১৭)
এই
যে সকল মেঘ ধেয়ে যায় যেন সকল আকাশ, যেন নীলের ভেতর এক আশ্চর্য সাদা, ভাবো সাদারই নির্নিমেশ। মা আলমারি খুলে দিল, ঝটাক করে কিছু ন্যাপিথলিনের নেশা সাদা হয়ে আসে নাকে...
আঁচলে আঁচলে বেয়ে ডালের ছিটে লাগা শাড়িতে হয়ে ফিরে যায় মুখ ধোয়া জল - খুব ধীরে ধীরে সাদা ফিল্টার পরবর্তী পর্যায়
যেমন হলদেটে... বিছানার চাদর...
আয়নার ভেতর
দিয়ে মায়ের টিপ সরে যাচ্ছে,
খাটের বাজু বেয়ে কত সুন্দর নেমে এসেছে টিউব আলোর সাদারা...
টেলিফোনের
এপারে যতটা আমি ওপারেও তুমি ততটাই দাঁড়িয়ে থাকো।
দিদিমারা বরাবর সাদা থান পড়ে থাকে নকশালবাড়ীর আগুন যতটা ছড়ায়নি ততদূর থেকে
‘জল বেশি ঘেঁটো না, জ্বর আসবে’র
মতো ভালোবাসা
ছড়িয়ে যায়।
(১৮)
ন’টার ভোঁ পড়ে গেলো এইমাত্র মানে বাবার ব্যাস্ততা, মায়েরও। আর আমি, আধ খাওয়া সিগারেটে কিছু অদ্ভুত স্বপ্ন দেখবো বলে চূড়,
চশমা খুলে সকাল দেখছি অনেকক্ষণ ধরে
ডেকে যাওয়া পাখি
যাকে দেখা যায় না
কোনোদিন, স্মিত হাওয়ায় পর্দার দোল খাওয়া,
যেন পাখির ডাকে এই পর্দা দুলে উঠছে,
পড়শীর কড়াই কিছু রান্না ছেড়েছে চেনা শব্দে, জলের ট্যাঙ্কি ভর্তি হয়ে মাটির বুকে যে গহ্বর-
পুষ্করিণীর
মতো প্রতিবিম্ব
চলকে উঠে ভেঙে যায়... চশমার বাইফোকালে টেবিল জুড়ে যেসব লেখনী
আমারই সন্তান বড় হয়ে উঠছে, এমনই অক্ষর প্রেম।
যে বিছানা এখনো তোলা হয়নি,
গত রাতের সমস্ত
গন্ধ লেগে আছে, এইভাবে টাইমমেশিন আবিষ্কার করে ফেলি
আর তুমি সময়ের ওপারে দাঁড়িয়ে ব্যাগ গুছিয়ে দাও চটপট।
নতুন আমের মুকুল তার গন্ধ ছড়াচ্ছে দরজায় এভাবেই আমরা সকলে সত্যি হয়ে আছি-
ফ্রেশ লাগ্ল, রঙ্গন। ভাল... বেশি লেগেছে আমার, দ্বিতীয় টি। ভাল থেকো ভাই@ অভিষেক
উত্তরমুছুনধন্যবাদ অভিষেক দা
মুছুনবাঃ সুন্দর ফ্রি স্টাইলে শব্দেরা এল গেল
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দিদি
মুছুন