নাপাখি
চারা দাঁড়ানোর পাদানি চিনতাম
না
তারা সোজা হলো মনে-মনে গাছের
দিকে
সেই স্ট্যান্ডে পা
চিনত না
ঘর্ঘরিত চাক থেকে মর্মরিত টবে
ও’ কুমোর
রাখি বা না রাখি
পাখি বা নাপাখি
কিনতাম আর পুষতাম
সব ঋতুর মলম হয়ে ওঠা হাত
মরশুমের মা হয়ে ওঠা
চারা ভোলানোর জলরং
মোহক মঞ্জরী
মঞ্জিরাও ভোরের সুলুক নিতে এলে
আমি তার লুকে থামি
ফুল তুলে ধরি
তার পল্লবের চলনে
চারা টব পার হয়ে
চিনি-চিনি করা মন বাজতে থাকে
কুমোরপাড়ায়
তুঁহু মম
আসবে সেতার রাস্তাটি বানিয়ে
বানিয়ে
জ্বলা তারার মরণ পণ করেছে
প্রাণ করেছে চোখ ছুপানো পৌষে
জানো নাই তুমি
কেবল ঘুটির তারসপ্তক
যখন ক্যারমবোর্ড নেই
যখন ছুটি হয়ে গেছে স্কুলে
সিতারার বন্দিশ
আকাশী গলা
পণ করেছে পাথরকুচিতে
বেলচায়
প্রাণ বলতে জল জানতাম
গাছ জানলাম পরশু দিন
ভাবো নৌকায় স্কুবায়
মগডালের এক ধাপ নিচে
ফোটা পিচের গন্ধ
রোলারের বোল
সেতারের ঝালা
সিতারার
জানো নাই
পথ আসছে স্কুলব্যাগে
দ্বিধাতুর কুয়াশার সেলাই
মেশিনে
Duranto Ranjan, as usual ...
উত্তরমুছুননাপাখি টা দুরন্ত লাগল
উত্তরমুছুনদারুণ! দুর্দান্ত কবিতা দুটি। বার বার পড়ছি...
উত্তরমুছুননীতা বিশ্বাস