মৃণাল বসুচৌধুরী
ঘৃণা
তুমি
বিদায় নেবার ঠিক পরেই সে
এল
এক স্বর এক উচ্চারণ
একই রকম সেই নিজস্ব
ভঙ্গিমা
মায়াবী কথন
এমন কি...
বললাম বোসো
বইপত্র পোশাক-আশাক
যেখানে যা আছে সব
ঘুরে ঘুরে দ্যাখো
কি কি পারি আর কি পারি না
কথা বলো প্রয়োজন নিয়ে
যদি রসায়ন তৈরি হয় থাকো
তা না হলে যাও
দ্রুতপায়ে হেঁটে যাও
বাহির উঠোনে
এ বয়সে
এত ঘৃণা আমি আর জমাতে
পারি না
সে জানে
কুয়োতলা থেকে
যে পাখিটা উড়ে উড়ে নিয়ে
আসে
সমস্ত খবর
আমি তাকে দেখিনি কখনো
সে জানে কোথায় কোন
বেগবান নদী
চাষবাস
পর্যাপ্ত ফসল
কোথায় নতুন বউ
সমস্ত উঠোন জুড়ে সামিয়ানা
শোলার টোপর
তরঙ্গে লুকানো চিঠি
রূপোর নূপুর
কোথায় জোয়ারভাঁটা
কোথায় প্রাচীর
কখন প্রণাম আর কোথায় কুর্নিশ
আমি নয়
সে জেনেছে
গোলাপবাগান থেকে একটু
দূরেই
তোমাদের আনন্দ বিতান
সে এবার
সোনালি সূর্যাস্ত নিয়ে
কথা উঠলেই
তুমি
সুদীর্ঘ চুম্বন আর
বনভোজনের কথা বলো
দ্বিতীয় সেতুর নিচে
কিলবিল সাপ আর
শুকনো কাঠের কথা বললেই
তুমি দোলনচাঁপায়
ভ্রমরের
আগুনের
বীজাণুর
কিংবা ছেড়া আলোয়ান নিয়ে...
শোকগাথা বন্ধ করে যে
সূর্যবংশীয় ছেলেটি
সামনে দাঁড়ালো
তাকে ঘিরে বুনোপাখি নয়
উড়োমেঘে রামধনু
উত্তরের
ঝড়
বেদাগার
চন্দনের গন্ধমাখা অনাবাসী আলো
সাত ঘোড়া রথ নিয়ে
সে এবার ফিরে যাবে
চলো
শেষবার তর্কহীন মুগ্ধতা জানাই
অনবদ্য, অন্যরকম, শেষ কবিতাটি আমার প্রিয়
উত্তরমুছুন