কবিতার কালিমাটি ১৩১ |
ফিরতে ফিরতে
(১)
এই গ্রাম পথ মন্দির মসজিদ ঘর
গাছের শরীরে কাঠবিড়ালি ও কাঠ
পিঁপড়ে
জল তুলে নিয়ে গেল এক ঘর বউ
সিমেন্টের বেদীতে বসে বিড়ি ফুঁকে কাশছে পুরুষ
লুঙ্গিতে তার উড়ে পড়ে আগুন আর ছাই
(২)
রাস্তার আর্ধেক নিয়ে ঘুমিয়ে কুকুর
লাউলতা চাল ধরে উঠে গেছে পাশের বাড়িতে
তালগাছে শুধু এক বিষন্ন চিল
সামনের জলা
শ্যাওলায় তার
শিকার ঢেকেছে
নির্জনতা মেখে রেখে গেল কেউ ডাহুকের ডাক
বাঁশঝাড়ে পড়ে আছে তার ভেজা তেলচিটে গামছা একখানি
(৩)
এই গ্রাম পথে পাশে পাশে টগরের ঝোপ
চোখে সাদা লেগে যায়
একটি রঙ ওঠা নীল সাইকেল
মা ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়া মেয়েকে
ঘন্টা বাজে, মাইকে আজানের ডাক
বর্ষার পরে আকাশে কে এঁকেছে
সাতটি রঙের রামধনু
গোধূলির গন্ধ ক্রমশ ছড়ালো
(৪)
বিড়ালটি রাস্তা পেরোলে
কোথাও একটা গল্প তৈরি হয়
ভিজে পাতা থেকে কান্না
নামে রৌদ্রের
এইসব ভাবনা বাইক বোঝে না
তার গতির কাছে এসে পড়ে ঈশ্বরী পাটনী
আর কারা যেন কুকথায় পঞ্চমুখ
(৫)
রাস্তার বাঁকে একটি শ্মশান
বিকেলের আগুন ধরে
ন্যাংটো বালিকা চান করে রোজ
ছাই তবুও উড়ে উড়ে আসে
দিগম্বর শুয়ে শুয়ে সেই ছাই
মাখতে মাখতে শোনে পাগল পাগল
নেভা আগুনে কে খোঁজে না-পোড়া নাভি
ভাল লাগলো লেখা স্যর
উত্তরমুছুনভালবাসা
মুছুন