কবিতার কালিমাটি ১২৯ |
আবহ
হিমজলের বুকে
যখন উন্মোচনের কথা বলে রোদ
উপলব্ধির দোরগোড়ায়
জল ছিটিয়ে যেন খুলে যাবে ভিজে তরবারি
হাতায় জীবন
তুলে লাট্টু খাবে ঘুরপাক
মনে পড়বে দীর্ঘ
যাত্রাপথ, দীর্ঘের লালসায় পড়ে থাকা বাঁশী
ছায়ার সঙ্গে
মিশে চুরমার
সেতুর নিচে
যার স্নানঘর
শ্রেষ্ঠ আগাছা
ঘিরে রাখে তাকেই
কাঠামোর সারাংশ
খুঁজতে গিয়ে আমি তার
হাড় পাই না,
মাংস পাই না
এভাবেই প্রতিজন্মের
আবহে শুয়ে থেকে
নামিয়ে রাখছি
পরিচিত ছিটকাপড়ের পতাকা
সমার্থক
বেড়ালিনীর হামিতে
শীতের গুঞ্জন নেই
সমার্থক শব্দ
খোঁজা নিয়ে এ দৃশ্যের কাছে
রুমালেরও কোনো বশ্যতা নেই
দর্শকের খুপড়িতে
তার পাগলামির ধেনু
মনের শিকল খুলে
দিলে এইসময় হাজারবাতি জ্বলতে পারে
তাকে যতটা প্রহসন
মনে হবে
ততটাই খেলনাপুতুলের
প্রেমিকসাজা
গোলযোগের আড়তদারি
শেষ হলে যেমন
কুয়াশার ছায়
বন্ধনের স্পর্শ
এভাবে সরে যাবে
পরিণত বেড়ালিনী
থেকে হেঁটে শামুকের দিকে
বার সাবানের মাহাত্ম্য
পাখির নামে
লেখা গোলাপের স্মারকচিহ্ন
জিভ থেকে অনবরত
খসা প্রলাপ
আর যা কিছু---
এতদিনে পরিণত
হয়েছে পাক দেওয়া এক দানাদার
ঝোলানো ক্যালেন্ডারে
ঝোলানো দিন এবং হাতা খুন্তির আনুষ্ঠানিকতা
মনে হয় মাত্রাযুক্ত
হ্যান্ডলুমের চাহিদা নিয়ে দাঁড়িয়ে
পাশাপাশি এক
উড়োজাহাজের প্রতিষ্ঠান
গর্তের বন্ধুত্ব
যখন গজায় ছাই রঙে
তখন দেখতে হবে
সিকি পয়সার ঘুম কতটা দাগ কাটে বরফে
তারপর তো প্রযোজক
বদলাবে
বদলাবে হাঁসের
বাচ্ছা...
ওরা যেন জানতে
পারে বার সাবানের মাহাত্ম্য
চমৎকার কবিতা
উত্তরমুছুনবাহ্। খুব ভালো লাগল। কত তীব্র অনুসঙ্গের ছেঁকা এসে লাগে।
উত্তরমুছুনআপনার মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করে। ধন্যবাদ
মুছুন