প্রতিবেশী সাহিত্য
পাবলো নেরুদা-র কবিতা
(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী)
কবি পরিচিতি : পাবলো নেরুদা (১২-০৭-১৯০৪ – ২৩-০৯-১৯৭৩) চিলির বিখ্যাত কবি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
Clenched Soul (বিক্ষত
হৃদয়)
আমরা এই গোধূলির অস্তরাগে
হারিয়ে গেছি!
কেউ আমাদের এই সন্ধ্যায়
হাতে হাত ধরা দেখেনি!
পৃথিবীতে নীল রাত্রিও
নেমে এসেছে।
দূরের পর্বতশৃঙ্গে
অস্ত সূর্যের লালিমা
আমি দেখেছি জানালায়
বসে।
মাঝে মাঝে এক টুকরো
সূর্য
আমার হাতের মধ্যে
রাখা মুদ্রার মত
জ্বলতে থেকেছে।
আমি তোমাকে স্মরণ
করেছি--
আমার আত্মার বিষণ্ণতার
সাথে
তুমি জান!
তখন তুমি কোথায়? কার
সাথে আলাপরতা?
কেন সমস্ত ভালবাসার
আবেগ আমাকে প্লাবিত করল?
যখন আমি বিষণ্ণ হৃদয়ে
ভাবি--
তুমি অনেক দূরে!
আমার বই গোধূলিবেলায়
বন্ধ হয়ে যায়
আর আমার নীল সোয়েটার
আহত কুকুরের মত
আমার পায়ের তলায় লুটোপুটি
খায়।
সর্বদা - সর্বদা তুমি
স্মরণে আসো
যখন অস্ত গোধূলি--
ধীরে ধীরে মুছে ফেলে
মূর্তিগুলোকে!
I hunt a sign
for you (খুঁজে বেড়াই)
তোমায় খুঁজে বেড়াই…
সবার মধ্যে -
নদীর মতো বয়ে যাওয়া
এই নারীদের ভিড়ে!
লাজুক চোখে হাল্কা
পদক্ষেপে
অথবা ফেনায়িত ঢেউয়ে!
কিন্তু খুঁজে পাই
না
কারও মাঝে তোমার ছন্দ
তোমার আলো তোমার ছায়া,
যা তুমি নিয়ে আসতে
গহন বনের থেকে!
তোমার ছোট্ট কান কারোরই
যে নেই।
তুমি সম্পূর্ণ, সঠিক,
অনেকের মাঝে
এক অনন্যা!
তাই তোমার সাথেই ডুবি…
ভাসি
শুধু তোমাকেই ভালোবাসি
প্রশস্ত নারী, নদী
মিসিসিপির মতো!
The song of
despair (হতাশার গান)
তুমি সবকিছুই গ্রাস
করে নাও--
দূরত্বের মত, সমুদ্রের
মত,--
সময়ের মত!
তোমার ভেতর সবকিছুই
সমাহিত হয়ে যায়--
ঝগড়া অথবা চুম্বনের
আনন্দঘন মুহূর্ত--
স্মরণীয় অনুভবগুলো
-- যা কিনা
গভীর সমুদ্রের লাইট-হাউজের
মত জাজ্বল্যমান!
পাইলটের ভীতি, অন্ধ-সাঁতারুর
আশংকা-
ভালবাসার অন্ধকারাচ্ছন্ন
দূর্যোগ--
তোমার মধ্যে সব কিছুই
সমাহিত হয়ে যায়!
অনুবাদকের যত্নশীল মুন্সীয়ানায় বাংলা ভাষায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
উত্তরমুছুনহতাশার গান - বিশ্বরূপ দর্শন মনে পড়ে। খুব ভালো লাগলো। নতুন করে নেরুদা পড়লাম।
প্রাণ
প্রাণ
অনুবাদকের গুনে নতুনতর পাবলো নেরুদাকে জানলাম।
উত্তরমুছুন