কবিতার কালিমাটি ১২১ |
অনিচ্ছার ভ্রুণ
(১)
ফেলে দেওয়া
চাঁদের ওপিঠে
একটা মুহূর্তের
নাম
ছোট হতে হতে
নিঃস্ব।
চাঁদের পাথর
নাভি থেকে নেমে
শ্বাসটুকু পেরিয়ে
নিঃশ্বাসে লাগে।
শূন্যের পর
আরও
ঝুলে পরমায়ু
ঝুলে আলোকি
তমা
মা মা করে।
ডুবে যাচ্ছে
হাওয়া
ডুবে জল
দুলে দুলে
মাঁচার সংসার।
অনিচ্ছার ভ্রূণ
পড়ে যায়
পড়ে পড়ে যায়
টুপ থেকে
টাপ থেকে।
(২)
নামতে নামতে
শূন্যের ভেতর
একটা সিঁড়ি
টুকে রাখছে
নুড়ি জীবনকে
টুকে রাখছে
অন্ধপাথর।
ঝরাপাতার মুখ
দলে দলে।
পাতার ঘর
ঘরে পাতা।
বিবর্ণ উড়ছে
ফর ফর
পুড়ছে
পুড়ে যাচ্ছে
মেঘের দেওয়াল।
শুনশান মেপে
কিছুটা দূরত্বে
রাখি
মৃত মানুষের
অবাকগন্ধ।
(৩)
ভাঙা চোখের
ছই ফেলে
অনিচ্ছার ঘাট
কমলা।
বয়স পেরোলে
কোয়ার নদী।
পেরোলে
একটা আদর
গলিয়ে
ভেজা শুশ্রূষা।
পদ্ম জ্বলছে
জলের ঔরসে
সারাদিন মোমের
পুতুল
সারাদিন
ইচ্ছে নাচ
ছেঁড়া চিঠির
কান্না
ঘুমিয়ে পড়লে
মুদ্রাগুলো
আলোর হাত।
ঘাটের পাশে
চোখ জ্বলে
চোখজলে
পথ আর
ফুরোতেই চায় না।
টুপ ও টাপের চিত্রকল্পের তুলনা নেই।
উত্তরমুছুনআহা খুব ভালো...বারবার পড়তে ইচ্ছে হয়
উত্তরমুছুনসবগুলোই অসাধারণ। কিন্তু (৩) এর লেখাটা ভীষণ ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে।
উত্তরমুছুন