কবিতার কালিমাটি ১০৭ |
মারী-কথা
একসময় দিশা
হারাতে হারাতে
সময় আর মহামারি
মুখোমুখি হয়
আমার বয়স কমেছে
প্রথম সন্তান
আর আমি
জানালার কাচে
চোখ রেখে
একসাথে প্রথমবার
না-ছোঁয়া মড়ক দেখছি
একসময় দিশা
হারাতে হারাতে
আমরা আর মহামারি
সমাপতিত, শূন্য-দূরত্ব।
দেশ
অসুখের শ্বাসে
রাতে হিম নামে
চোখ শাপলা শাপলা
হলে
ঘাস, তার নীচে
পৃথিবী, নিশ্চুপ
কথা কওয়া নেই
- প্রতীক্ষার জীবন
যারা বাস করে
নতুন কেউ, অচেনা
এসেছে গ্রহ
নয়, গ্রহের গলি থেকে নিরিবিলি
বাকি সব অবিশ্বাস
- অবিকল মানুষের মতো
নাবিকের মতো
হাঁক-ডাক
একদিন
সব মাটি কিনে
নিয়ে পৃথিবী বানাবে অন্য
ভাস্কর্য
খোদাইয়ের শব্দে
ভেসে ওঠে কাঠের শরীর
যেন চাঁদের
কলঙ্ক ফোটে
অপরূপ নিজস্ব
ভঙ্গি খোদাই করে গায়ে গায়ে
আব্রুহীন চোখের
মতো উন্মুক্ত স্তন
থানকুনি পাতার
মতো নরম গাল
বিশাল এক ডুবুরি
জাহাজ-দেহ
উদ্ভট সাইরেন
বুকে আকাশ ছোঁয়া মাস্তুল
বোঝাই হতে হতে
তবু বাদ পড়ে যায় অনেককিছু
একসময় নিজেকে
বানানোটা জরুরি হয়ে পড়ে
বাহ! সুন্দর। বিশেষত প্রথম দুটি।
উত্তরমুছুন