কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
কিছুই লাগে না ভালো আর
কিছুই লাগে
না ভালো আর
জিহ্বায় সাদা
বিস্বাদ
ডালপালা মেলে
বাড়িঘর
মাথা ফুঁড়ে
শিকড় ছড়ায়
হাত তোলো
যারা যারা চাও
হাত পাতো জলদি
দাঁড়াও
লাইনের দুই
দিকে মুখ
আমিও লাইন দাঁড়াই
এখন কপালে জোটে
ভালো
কপালে বাদাম
চেরা চোখ
কণ্ঠে আগুন
আজ ঢালো
আমাদের গয়া
পিন্ড হোক
আমাদের জ্যোৎস্নার
রাত
আমাদের মুখ
শোঁকাশুঁকি
পেছনে বাদাম
গাছ গাড়ো
আমাদের সকলি
হারালো
ভেবে আজ খুলেছি
দেরাজ
শাদা পাতা ডটেড
কলম
রজনী গভীর হলে
শোক
খোলা থাকে
নির্ঘুম চোখ
আজ সখি পূর্ণিমা
রাত
রাস্তায় ট্রাফিক
পুলিশ
হাত নাড়ে গাড়ি
উড়ে যায়
ঘরে এলে দুয়ার
খুলিস
জেগে থাকে থালা
চাপা ভাত
সাদা দাঁত আমাকে
শাসায়
আলো নেভে ভীরু
রাজপথ
দরজায় একা
ফিরে যায়
ফিরে যায় কুম্ভের
ভাই
কতদিন কতকাল
আগে
তুই আমি বসে
বিছানায়
চাঁদ দেখে হেসে
মরে যাই
মনে পড়ে এই
অবেলায়
কিছুই লাগে
না ভালো বাল
আজকের দিন চলে
যায়
আমাদের দিন
চলে যায়
দরজা
আমাদের চিরকাল
অন্য এক ঘরে নিয়ে যায়
একদিন সকল দরজা
দিয়ে কেউ না কেউ হারিয়ে গিয়েছে
তাদের ফেলে
রাখা চটি জামা কিছুকাল সাজিয়ে রেখেছি
সকল দরজায় একদিন
অসময়ে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে থেকেছে
আমরা একদিন
আত্মহত্যার কথা ভেবেছি
উঁচু অফিসের
জানলায়, অসংখ্য দেশলাই বাক্স আর
পিপীলিকা দেখে
ভেবেছি বৃষ্টির কথা
মোবাইল টাওয়ার
গায়ে কালো মেঘ দাঁড়িয়ে থেকেছে
তাড়াতাড়ি ফিরে
এসেছি
পায়ে পায়ে ঘুমিয়ে
পড়েছি পথে কেউ কেউ কোনোদিন
সমস্ত দরজা
একদিন বেজে ওঠার অপেক্ষা করেছে
প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি প্রিয় কবি আর কি ই বা বলব
উত্তরমুছুনDuto durokom kobita. Ektake sokale pora bhalo ar ekta govir raate... Boichitrahinotay porte hobena ar emon ekgheye din guloy
উত্তরমুছুনSuchetana
'কিছুই লাগে না ভালো আর ' লেখাটি আমাকে শ্রী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কৃত মন ভাল নেই মন ভাল নেই মন ভাল নেই / এখন আমার ওষ্ঠে লাগেনা কোনও প্রিয় স্বাদ , এমন কি নারী , এমন কি সুরা , এমন ভাষা " লেখাটিকে মনে করালো , কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতাটি যথেষ্ট খাজা , শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ঢের উজ্জ্বল কবি । দরজা কবিতাটিও বহুদিন মনে থাকবে ।
উত্তরমুছুনachcha pore poRa dhorbo
মুছুনHaha darun bolechen Abhijit apni. Sohomot... Lekha bhalo laglo - (Tilak)
উত্তরমুছুনপ্রতিটা লাইন ই পোস্টার হতে পারে, প্রতিটা লাইনই স্টেটমেন্ট হতে চায়। এই বন্দীথাকার দিনগুলোয় এমন সব কবিতা নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। কবি তার লেখার সাথে আমরা শব্দ টা বলে আমার মত পাঠককেও লেখার মধ্যে টেনে নেন। এবং ভাবতে বাধ্য করেন। পড়তে বাধ্য করেন। অনেক ভাললাগা জানিয়ে গেলাম। -SB
উত্তরমুছুনদুটো কবিতাই বিভিন্ন মাত্রায় দরজাকে আবিষ্কার করতে চেয়েছে। রে দরজা থেকে একা ফিরতে হয়, আবার সব দরজা দিয়েই একদিন কেউ না কেউ হারিয়ে যায়, সেইসব দরজায় অপেক্ষায় থাকে কেউ আবার কখনো দরজাগুলো বেজে ওঠার অপেক্ষা করছে, এই অপেক্ষা কবির, পাঠকেরও। আমরা সবাই সেরে ওঠার অপেক্ষা করছি, সুসময়ের জন্য অপেক্ষা করছি। ভালো থাকুন কবি। -দেবাশিস মল্লিক
উত্তরমুছুনদুটো কবিতাই বিভিন্ন মাত্রায় দরজাকে আবিষ্কার করতে চেয়েছে। রে দরজা থেকে একা ফিরতে হয়, আবার সব দরজা দিয়েই একদিন কেউ না কেউ হারিয়ে যায়, সেইসব দরজায় অপেক্ষায় থাকে কেউ আবার কখনো দরজাগুলো বেজে ওঠার অপেক্ষা করছে, এই অপেক্ষা কবির, পাঠকেরও। আমরা সবাই সেরে ওঠার অপেক্ষা করছি, সুসময়ের জন্য অপেক্ষা করছি। ভালো থাকুন কবি। -দেবাশিস মল্লিক
উত্তরমুছুনদুটো কবিতাই বিভিন্ন মাত্রায় দরজাকে আবিষ্কার করতে চেয়েছে। যে দরজা থেকে একা ফিরতে হয়, আবার সব দরজা দিয়েই একদিন কেউ না কেউ হারিয়ে যায়, সেইসব দরজায় অপেক্ষায় থাকে কেউ আবার কখনো দরজাগুলো বেজে ওঠার অপেক্ষা করছে, এই অপেক্ষা কবির, পাঠকেরও। আমরা সবাই সেরে ওঠার অপেক্ষা করছি, সুসময়ের জন্য অপেক্ষা করছি। ভালো থাকুন কবি। -দেবাশিস মল্লিক
উত্তরমুছুন