প্রেমের কবিতা
চন্দ্রাবতী
বাঙালির কালো ইতিহাসে মোড়া
আলকাৎরায়
ওগো মেয়ে
স্মৃতিহীন হয়ে গেছি
তোমার বাবার লেখা বই আমি পড়েও
পড়িনি
তোমার নিজের লেখা খুঁজেও
খুঁজিনি
এমনকি যেসব প্রেমপত্র লিখেছি
ফি-হপ্তায় আসমানি সুন্দরীতমাকে
তাতেও লিখেছি শুধু জংধরা
কপাটের বোবাটে গোঙানি
জানো তুমি জানো
কেন ভাসছি ফুলে-ফেঁপে পচা শব ফুলেশ্বরীতে
কেন ভাসছি ফুলে-ফেঁপে পচা শব ফুলেশ্বরীতে
তরু দত্ত
আজও বিছানায় পড়ে আছে তোমার
আদরের সাটিন বালিশ
যেখানে আমাকে
চোখ মুখ ও পা বেঁধে ফেলে
রেখেছিলে
আমার পতনের সাংকেতিক প্রমাণের
গোছা হাতে নিয়ে
বলেছিলে তোমার সঙ্গে কোনো তর্ক
চলবে না
তুমি অতি পুরাতন শ্যাম্পেন
বোতল
তোমার আদেশ মতো
বর্গির শব থেকে শৌর্য চুরি করে
পায়ের গোছের ছিনে-জোঁক তুলে
তুলে
কন্ঠস্বর সুরেলা করেছি
কামিনী
রায়
দেখছেন বইয়ের আলমারি খুলে? বই নেই! খাতা-ডটপেন বলতে
ছাদে বাচ্চাদের ধুপধাপ মুখে
নিয়ে তাকে-তাকে
বাসা বেঁধে ঝুলে আছে খোঁচানে
বাদুড়
তা সত্ত্বেও
আপনি দু’হাত পেতে দিয়েছিলেন
ঘাসের ওপর থেকে গুটোনো সকাল
এখনকার রোগাটে-মোটাটে মেয়েদের
চেয়ে
আপনার চুমুতে ছিল শিখা বেয়ে
উঠে যাওয়া আগুনের সিঁড়ি
দেখালুম কব্জি চিরে আপনার
নামের স্পন্দন
প্রতিদানে বললেন
ঝড়ের শব্দের মতো বারবার চলে
এসো মাতৃভাষায়
বড় ভালো করলেন এদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে। 'আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে'/ পাঠাবেনা এদেরকে শুধু অপহ্নবে?
উত্তরমুছুন