মাধুকরীর
কড়ি - ১
একটু নিচেই, ফসকানোগুলো পড়ে যাচ্ছে
ধর ধর, ধুস শালা, আরেকটু নিচে
পড়ে যাচ্ছে পড়েই যাচ্ছে শেষ নিচটার আগে
হাত দূরে দূরে
নাচে
কত মুদ্রা ঘুড়ি ওড়ালো
নূপুরে
কত শীৎকার কত চল চল
থকথকে কত্থক গবাক্ষ হয়ে যায়
হয়ে যায় নিচে পড়ে যাওয়া মেঘ
সুর
খেয়ে খেয়ে বাতাস মোটা
আফোটা ফুলেদের নুয়ে পড়া ঘন
পড়বে পড়বে, কোথাও পড়বে তার মৃত ঘ্রাণ
কোথাও সাজি ভর্তি রক্ত
নিচে নামতেই
থাকবে
ধরা
অধরার মধ্যে নামতে থাকা ফসকানোগুলো
হাসতে হাসতে বিনা চিনিতে চুমুক দিতে
থাকে...
মাধুকরীর
কড়ি -
২
প্রেম এসেছে, সকলেরই কি একটা ডাইরি থাকা জরুরী!
ভুল এসেছে সেজেগুজে, সমস্ত সিরিয়াল সাবধান থাকুক
ফাঁদ, ও ফাঁদ তুমি গলবে বলেই
ডাইরির পাতা থেকে সিরিয়ালে
ড্রামবিট
রে
রে রে আর তো মনে পড়ছে না মঞ্চের
আলো কি মুখ ধুতে গেল!
প্রম্পটার, প্রম্পটার! এখানেই অতি শারীরিক সিনটা ছিল যে
একটানা সেতারের ঝালা
পর্দা
সরতে গিয়ে আচমকা দাঁড়িয়ে লাল
যাও প্রেম প্রসেনিয়াম বেয়ে
ভুল যাও, আহা যাওই না
মজাকি ছাড়াই...
ফাউ
থেকে যাচ্ছে ওরা
অর্ধেক দেখা যায়
এবারে
পর্দাটা হাত দিয়ে টেনে সরাতে হবে
বন্ধ পর্যন্ত...
মাধুকরীর
কড়ি -
৩
জুড়িয়ে
যাচ্ছে চা ও চোখ
চুমুক দিতে পারো
বন্ধ চোখে আহা লেখা হচ্ছে
গলছে,
বরফ আর মাংস
কার্বনকপি ধরে রাখো গলনের তাপ
লীন হয়ে থাকার তরিকাগুলোয়
পোড়া দহনও একবার ওহো বলে
পাশ ফিরতে পারে
ঘুমোচ্ছে
সার্কাসের মেয়ে ট্র্যাপিজে, দুলছেও
নিচে জাগা জাল ধরে রাখো
উড়তে শেখেনি পড়তে শিখেছে শরীর
পড়তে পড়তে পড়ে
যাওয়াগুলি
উপভোগের চোর পুলিশ
বন্ধ
চোখের পাশে খোলা চোখ
মাংসের পাশে রক্তরস
জাগা শরীরের পাশে ঘুমোনো শরীর
আলালের ঘরে দুলাল হতে চাইলে
বাধা দিও না
বাধা
দিও... ব্যথা দিও না...
আমরা মাধুকরীর কড়ি কুড়োবার টানে জীবনপালন করি ।অন্তরায় আসে, ভুল বেজে ওঠে, ঘরকন্না বীতরাগ, অভিমানও ।
উত্তরমুছুন