ওয়ান ওয়ে
মিছিলটা যেদিকে যাবে, সেটা ওয়ান ওয়ে। নিজেকেই নিজে বহুবারের মতো আবারও একবার মনে করিয়ে দিল অভিষেক। গাড়িটা এবার বাঁক নেবে। বহুবার এ রাস্তায় ইউনিকর্নে চেপে উড়ে বেড়িয়েছে সে। কিন্তু আজ সকাল হতে না হতেই ইউনিকর্নটাকে বন্দি করে নিয়ে গেল সেপাইরা। রূপকথা হলেও শহরের নাম কলকাতা। এখানে ঢুকে পড়া যেমন সহজ বেরিয়ে যাওয়া তেমনি কঠিন। তবুও বেশ সহজ ভাবেই বেরিয়ে যাচ্ছে সে শহর ছেড়ে। নির্বাসনের আগে একবার রাজভবনের সামনে দিয়ে গড়িয়ে আসা ট্রাম লাইনটা দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল। ওইদিকটাও ওয়ান ওয়ে। তফাৎ একটাই, ওখান থেকে ফেরা যায়, যাওয়া যায় না। কলকাতার সমস্ত ওয়ান ওয়ে রাস্তাগুলো সেলাই করে দিতে ইচ্ছা করে ওর। ঠিক যেভাবে অভিষেক সেলাই করা আছে একটা ক্যাপটিভ লোকেশনের মতো। ও ওর মধ্যেকার মিছিলগুলোকে অনুভব করে মাঝে মাঝেই। যারা রোবটের মতো প্রোগ্রামড। ওদের রূপকথা নেই। গাড়িটা ব্রেক কষলো, জ্যাম! সামনে লোকসভা নির্বাচন। ফুটপাথে মোদি-গান্ধী ছেঁড়াছিঁড়ির মধ্যে আখের গোছাচ্ছে আম আদমি। হাওয়ায় যেসব কাগজ উড়ছে তাদের গায়ের রঙিন ছাপ লেগে যাচ্ছে অভিষেকের নতুন অভিজ্ঞতায়। সে এখন সাদায় সাদায় মুক্ত। রাস্তা ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে মিছিল। মিছিলের সবাই সিরিয়াস নয়, কেউ ছেলে কেউ বা মেয়ে আবার কেউ রাতাবি। অভিষেক যাত্রার শ্লথ গতি টের পেয়েছে অনেকক্ষণ। কলকাতাবাসী যাকে ভালোবেসে প্রগতি বলে। গতকাল সে-ও বলত। আজ ধারণা উল্টে পাল্টে গেছে -- পরিবর্তন। ওই মিছিলের সাথে সম্পর্ক নেই অভিষেকের। এই নির্বাসন ঘুরে দেখছে কলকাতার লোকে। কপালে টুকটুক করে ঠুকে নিচ্ছে হাত। এসি স্লিপার কনভয় নিয়ে ওয়ান ওয়ে ধরেছে অভিষেক। যে পথ দিয়ে যাওয়া যায়, ফেরা যায় না।
মিছিলটা যেদিকে যাবে, সেটা ওয়ান ওয়ে। নিজেকেই নিজে বহুবারের মতো আবারও একবার মনে করিয়ে দিল অভিষেক। গাড়িটা এবার বাঁক নেবে। বহুবার এ রাস্তায় ইউনিকর্নে চেপে উড়ে বেড়িয়েছে সে। কিন্তু আজ সকাল হতে না হতেই ইউনিকর্নটাকে বন্দি করে নিয়ে গেল সেপাইরা। রূপকথা হলেও শহরের নাম কলকাতা। এখানে ঢুকে পড়া যেমন সহজ বেরিয়ে যাওয়া তেমনি কঠিন। তবুও বেশ সহজ ভাবেই বেরিয়ে যাচ্ছে সে শহর ছেড়ে। নির্বাসনের আগে একবার রাজভবনের সামনে দিয়ে গড়িয়ে আসা ট্রাম লাইনটা দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল। ওইদিকটাও ওয়ান ওয়ে। তফাৎ একটাই, ওখান থেকে ফেরা যায়, যাওয়া যায় না। কলকাতার সমস্ত ওয়ান ওয়ে রাস্তাগুলো সেলাই করে দিতে ইচ্ছা করে ওর। ঠিক যেভাবে অভিষেক সেলাই করা আছে একটা ক্যাপটিভ লোকেশনের মতো। ও ওর মধ্যেকার মিছিলগুলোকে অনুভব করে মাঝে মাঝেই। যারা রোবটের মতো প্রোগ্রামড। ওদের রূপকথা নেই। গাড়িটা ব্রেক কষলো, জ্যাম! সামনে লোকসভা নির্বাচন। ফুটপাথে মোদি-গান্ধী ছেঁড়াছিঁড়ির মধ্যে আখের গোছাচ্ছে আম আদমি। হাওয়ায় যেসব কাগজ উড়ছে তাদের গায়ের রঙিন ছাপ লেগে যাচ্ছে অভিষেকের নতুন অভিজ্ঞতায়। সে এখন সাদায় সাদায় মুক্ত। রাস্তা ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে মিছিল। মিছিলের সবাই সিরিয়াস নয়, কেউ ছেলে কেউ বা মেয়ে আবার কেউ রাতাবি। অভিষেক যাত্রার শ্লথ গতি টের পেয়েছে অনেকক্ষণ। কলকাতাবাসী যাকে ভালোবেসে প্রগতি বলে। গতকাল সে-ও বলত। আজ ধারণা উল্টে পাল্টে গেছে -- পরিবর্তন। ওই মিছিলের সাথে সম্পর্ক নেই অভিষেকের। এই নির্বাসন ঘুরে দেখছে কলকাতার লোকে। কপালে টুকটুক করে ঠুকে নিচ্ছে হাত। এসি স্লিপার কনভয় নিয়ে ওয়ান ওয়ে ধরেছে অভিষেক। যে পথ দিয়ে যাওয়া যায়, ফেরা যায় না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন