আলো, অন্ধকার ও ছায়া
আলো আর অন্ধকারের মধ্যে ছায়াটুকুই দেখি। দেখি ছায়ার রূপ, তার চলন, তার ক্রমশ বদলে যাওয়ার গতি প্রকৃতি। ছায়ার বড় হয়ে ওঠাও কি দেখি না? বড় হতে হতে আকাশকে কেমন ছেয়ে ফেলছে, কত দ্রুত বদলাচ্ছে তার আকার! আলো বলে চলেছে, আমি আছি বলেই ছায়া আছে। অন্ধকার বলে – ছায়া আমারই আবিষ্কার! দ্বন্দ্ব দেখেছ? কেমন দেওয়াল বেয়ে বেয়ে উঠছে! আমি নিশ্চুপ দর্শক। তুমি বা তোমরাও তাই।
নদীকে চেন? চিনবে বইকি! আমাদের এই নদীমাতৃক দেশে নদীর নাম তো অনেক। কখনও গঙ্গা, কখনও মেঘনা, যমুনা, খঞ্জনা। নদীর আড়ভাঙ্গা দেখেছে খুব কম জন। এক মুখ থেকে আর এক মুখে কেমন করে যেন সে বদলে যায়! এক বাঁক থেকে আরও এক বাঁকে হারিয়ে যেতে থাকে, অথচ হারায় না। নদীর তো ছায়া পড়ে না। ছায়াহীন, কায়াহীন তার শরীরে অশরীরী জলছাপ লেগে থাকে।
অন্ধকার কী যেন বলছে... কান পেতে শোনো... সে কি একাকীত্বে ভোগে? একলা যদি হয় সে তাহলে তার ছায়া এসে কেন ভিড় করে পলাশ বনে? অন্ধকার জানে তার আত্মপরিচয়। সেই জানে তার স্বরূপ। কতটা কান পাতলে তবে তার পায়ের শব্দ শোনা যাবে, জানে আলো।
আলো তো নিজেই একাই একশ হয়ে আছে এই ক্ষণকালের জীবনে! তার অনেক মোসাহেব, তার অনেক ফ্যান ফলোয়ার। রাজার আসনে বসে অন্ধকার আর ছায়াকে পাত্তা দেবে কেন সে? রোজ সূর্য ওঠে, রোজ সূর্য অস্ত যায়... আলো এসে চলে যায়, অন্ধকারকে সাক্ষী রেখে। অথচ এই সরল সত্যটাকে আলো অস্বীকার করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। অন্ধকার মুখ গুঁজে থাকে অভিমানে। আর ছায়া দ্বিধায় দোলে, কার সে কার? আলোর না আঁধারের!
নদী কি বলে শুনেছ কখনও? ওই যে উঁচু পাহাড় থেকে দুরন্ত কিশোরীর মতো নেমে আসছে খলবল করে, একটু বাদেই কেমন মন্দ্র সাজে সাজবে সে! এক মানুষীর পরিণতি পেয়ে হয়ে উঠবে ধীর স্থির মৃত্যুগামী। এক জীবনে নদী অনেক কথা বলে, তারও বেশি বহন করে চলে মুখ বুজে। সে মৃত্যুগামী কিন্তু মরণশীল নয়। মাটির নিচেও তার বয়ে চলা অবিরাম। ফল্গুস্রোতের ছুটি হয় না, অমরত্ব লাভ তার নিয়তি।
আলোর উল্লাস, অন্ধকারের একাকীত্ব, ছায়ার বিভ্রম যদি মিলে মিশে যায় কোনো একদিন, হাড়ের উল্লাসে বেজে উঠবে নদী। এক অজানা ভাষার কুলকুল শুনব, বুঝে কিম্বা না বুঝে অকারণ হাততালি দিয়ে উঠবে চরবাসী। রাতের আকাশে তারাগুলো একইভাবে টিমটিম করবে, জোনাকিরাও সেই পথে হেঁটে চলেছে, দেখব আমরা।
আলো আর অন্ধকারের মধ্যে ছায়াটুকুই দেখি। দেখি ছায়ার রূপ, তার চলন, তার ক্রমশ বদলে যাওয়ার গতি প্রকৃতি। ছায়ার বড় হয়ে ওঠাও কি দেখি না? বড় হতে হতে আকাশকে কেমন ছেয়ে ফেলছে, কত দ্রুত বদলাচ্ছে তার আকার! আলো বলে চলেছে, আমি আছি বলেই ছায়া আছে। অন্ধকার বলে – ছায়া আমারই আবিষ্কার! দ্বন্দ্ব দেখেছ? কেমন দেওয়াল বেয়ে বেয়ে উঠছে! আমি নিশ্চুপ দর্শক। তুমি বা তোমরাও তাই।
নদীকে চেন? চিনবে বইকি! আমাদের এই নদীমাতৃক দেশে নদীর নাম তো অনেক। কখনও গঙ্গা, কখনও মেঘনা, যমুনা, খঞ্জনা। নদীর আড়ভাঙ্গা দেখেছে খুব কম জন। এক মুখ থেকে আর এক মুখে কেমন করে যেন সে বদলে যায়! এক বাঁক থেকে আরও এক বাঁকে হারিয়ে যেতে থাকে, অথচ হারায় না। নদীর তো ছায়া পড়ে না। ছায়াহীন, কায়াহীন তার শরীরে অশরীরী জলছাপ লেগে থাকে।
অন্ধকার কী যেন বলছে... কান পেতে শোনো... সে কি একাকীত্বে ভোগে? একলা যদি হয় সে তাহলে তার ছায়া এসে কেন ভিড় করে পলাশ বনে? অন্ধকার জানে তার আত্মপরিচয়। সেই জানে তার স্বরূপ। কতটা কান পাতলে তবে তার পায়ের শব্দ শোনা যাবে, জানে আলো।
আলো তো নিজেই একাই একশ হয়ে আছে এই ক্ষণকালের জীবনে! তার অনেক মোসাহেব, তার অনেক ফ্যান ফলোয়ার। রাজার আসনে বসে অন্ধকার আর ছায়াকে পাত্তা দেবে কেন সে? রোজ সূর্য ওঠে, রোজ সূর্য অস্ত যায়... আলো এসে চলে যায়, অন্ধকারকে সাক্ষী রেখে। অথচ এই সরল সত্যটাকে আলো অস্বীকার করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। অন্ধকার মুখ গুঁজে থাকে অভিমানে। আর ছায়া দ্বিধায় দোলে, কার সে কার? আলোর না আঁধারের!
নদী কি বলে শুনেছ কখনও? ওই যে উঁচু পাহাড় থেকে দুরন্ত কিশোরীর মতো নেমে আসছে খলবল করে, একটু বাদেই কেমন মন্দ্র সাজে সাজবে সে! এক মানুষীর পরিণতি পেয়ে হয়ে উঠবে ধীর স্থির মৃত্যুগামী। এক জীবনে নদী অনেক কথা বলে, তারও বেশি বহন করে চলে মুখ বুজে। সে মৃত্যুগামী কিন্তু মরণশীল নয়। মাটির নিচেও তার বয়ে চলা অবিরাম। ফল্গুস্রোতের ছুটি হয় না, অমরত্ব লাভ তার নিয়তি।
আলোর উল্লাস, অন্ধকারের একাকীত্ব, ছায়ার বিভ্রম যদি মিলে মিশে যায় কোনো একদিন, হাড়ের উল্লাসে বেজে উঠবে নদী। এক অজানা ভাষার কুলকুল শুনব, বুঝে কিম্বা না বুঝে অকারণ হাততালি দিয়ে উঠবে চরবাসী। রাতের আকাশে তারাগুলো একইভাবে টিমটিম করবে, জোনাকিরাও সেই পথে হেঁটে চলেছে, দেখব আমরা।
সপ্রতিভ গদ্য, এবং কাব্যিক।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ প্রণবদা
উত্তরমুছুন