নয়েজ কন্টিনিউড...
অলোকপর্ণা
সাতাশি, ছিয়াশি, পঁচাশি... ছাদের দরজাটা চুপচাপ আটকে দিচ্ছে বনি, তারপর পা টিপে টিপে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে নিচে, আমার ঘরের দরজায় টোকা দিয়ে ডেকে নিচ্ছে আমায়। আমি বোধ হয় ঘুমোচ্ছিলাম, এখন আর সে সব মনে পড়ে না।
...“বন্দী করে এসেছি ওকে”
বনির এক মুখ হাসি দেখে কিছুই বুঝলাম না,- “কেন বন্দী করেছিস?”
“এমনিই... দেখি না ও কি করে, বেশ মজা হবে!!”
আমরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
ষাট, ঊনপঞ্চাশ, আটান্ন... তিন দিন চলে গেছে। মেয়েটা ছাদে বন্দী এখনও, বন্ধ দরজার পাশে দাঁড়ালেই ওর কাউন্টডাউন শোনা যাচ্ছে। ও ভাবছে এখনও বুঝি লুকোচুরি খেলাটা জারি আছে, তাই চোখ বুজে বনির ডাকের অপেক্ষায় নিশ্চিন্তে গুণে চলেছে,- সাতান্ন, ছাপ্পান্ন, পঞ্চান্ন...
তেত্রিশ, বত্রিশ, একত্রিশ... ছদিনের দিন সন্দেহ হতে বনিকে জিজ্ঞেস করলাম, “হ্যাঁ রে, মেয়েটাকে ছেড়েছিস তো?”
আবার এক গাল নিষ্পাপ হেসে বনি বলল, “না না, ছাড়বো কেন? ও এখনো ছাদেই আছে”
বনির কথা শুনে আমার সারা শরীর ঘেমে গেল, “তুই পাগল! এতদিন ওকে ছাদে আটকে রেখেছিস! ও তো...”
আমি ছুটলাম সিঁড়ির দিকে, বনি আমার পিছন পিছন। ছাদের দরজা খুলতে দেখি যা ভেবেছি তাই... পাঁচিলে হেলান দিয়ে আমাদের দিকে পিছু ফিরে বসে আছে মেয়েটা, চোখ বন্ধ, সারা শরীর ইতিমধ্যে গলতে শুরু করেছে।
বনি ভয়ে নীল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার পাশে। পরিকল্পিত মৃত্যুকে সহায়তা করায় আমার যে শাস্তি হতে চলেছে, তা বুঝতে পারছি,- “এ কী করলি তুই!!”
বনি কোনো কথা বলছে না। ওকে ধরে ঝাঁকাতে থাকি আমি, তবু কিছুই বলে না ও। আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। আমার চাকরি, আমার লেখা, পড়া, কী হবে সব কিছুর!!
এগারো, দশ, নয়... সপ্তম দিনে ঈশ্বর ছুটি নিলেন। ছাদেই বসে আছি কাল থেকে, পাশে স্তম্ভিত দাঁড়িয়ে আছে বনি। আমি অবাক হচ্ছি,- মেয়েটা একবারও পালাতে চেষ্টা করল না এই ছদিনে! বা চিৎকার করে কাউকে ডাকতেও চাইল না! খুবই অবাক হচ্ছি এইসব ভেবে।
কী মনে হতে উঠে গেলাম মেয়েটার কাছে, তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে দেখলাম, আর কেউ না,- আমিই হেলান দিয়ে বসে আছি পাঁচিলে। হাত, পা, মুখ গলতে শুরু করায় কেমন আবছা হয়ে ঘেঁটে আছি। অবাক হয়ে বনির দিকে তাকাই,- “বনি, এটা তো, এটা তো আমি... তুই, তুই আমাকে বন্দী করে চলে গেছিলি!”
বনি কিছু বলে না। আমি ওর দিকে অপলক তাকিয়ে থাকি।
তিন, দুই, এক... মা ভেবেছিল আমার ডাক নাম রাখবে বনি, রাখেনি,
...শূন্য।
সাতাশি, ছিয়াশি, পঁচাশি... ছাদের দরজাটা চুপচাপ আটকে দিচ্ছে বনি, তারপর পা টিপে টিপে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে নিচে, আমার ঘরের দরজায় টোকা দিয়ে ডেকে নিচ্ছে আমায়। আমি বোধ হয় ঘুমোচ্ছিলাম, এখন আর সে সব মনে পড়ে না।
...“বন্দী করে এসেছি ওকে”
বনির এক মুখ হাসি দেখে কিছুই বুঝলাম না,- “কেন বন্দী করেছিস?”
“এমনিই... দেখি না ও কি করে, বেশ মজা হবে!!”
আমরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
ষাট, ঊনপঞ্চাশ, আটান্ন... তিন দিন চলে গেছে। মেয়েটা ছাদে বন্দী এখনও, বন্ধ দরজার পাশে দাঁড়ালেই ওর কাউন্টডাউন শোনা যাচ্ছে। ও ভাবছে এখনও বুঝি লুকোচুরি খেলাটা জারি আছে, তাই চোখ বুজে বনির ডাকের অপেক্ষায় নিশ্চিন্তে গুণে চলেছে,- সাতান্ন, ছাপ্পান্ন, পঞ্চান্ন...
তেত্রিশ, বত্রিশ, একত্রিশ... ছদিনের দিন সন্দেহ হতে বনিকে জিজ্ঞেস করলাম, “হ্যাঁ রে, মেয়েটাকে ছেড়েছিস তো?”
আবার এক গাল নিষ্পাপ হেসে বনি বলল, “না না, ছাড়বো কেন? ও এখনো ছাদেই আছে”
বনির কথা শুনে আমার সারা শরীর ঘেমে গেল, “তুই পাগল! এতদিন ওকে ছাদে আটকে রেখেছিস! ও তো...”
আমি ছুটলাম সিঁড়ির দিকে, বনি আমার পিছন পিছন। ছাদের দরজা খুলতে দেখি যা ভেবেছি তাই... পাঁচিলে হেলান দিয়ে আমাদের দিকে পিছু ফিরে বসে আছে মেয়েটা, চোখ বন্ধ, সারা শরীর ইতিমধ্যে গলতে শুরু করেছে।
বনি ভয়ে নীল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার পাশে। পরিকল্পিত মৃত্যুকে সহায়তা করায় আমার যে শাস্তি হতে চলেছে, তা বুঝতে পারছি,- “এ কী করলি তুই!!”
বনি কোনো কথা বলছে না। ওকে ধরে ঝাঁকাতে থাকি আমি, তবু কিছুই বলে না ও। আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। আমার চাকরি, আমার লেখা, পড়া, কী হবে সব কিছুর!!
এগারো, দশ, নয়... সপ্তম দিনে ঈশ্বর ছুটি নিলেন। ছাদেই বসে আছি কাল থেকে, পাশে স্তম্ভিত দাঁড়িয়ে আছে বনি। আমি অবাক হচ্ছি,- মেয়েটা একবারও পালাতে চেষ্টা করল না এই ছদিনে! বা চিৎকার করে কাউকে ডাকতেও চাইল না! খুবই অবাক হচ্ছি এইসব ভেবে।
কী মনে হতে উঠে গেলাম মেয়েটার কাছে, তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে দেখলাম, আর কেউ না,- আমিই হেলান দিয়ে বসে আছি পাঁচিলে। হাত, পা, মুখ গলতে শুরু করায় কেমন আবছা হয়ে ঘেঁটে আছি। অবাক হয়ে বনির দিকে তাকাই,- “বনি, এটা তো, এটা তো আমি... তুই, তুই আমাকে বন্দী করে চলে গেছিলি!”
বনি কিছু বলে না। আমি ওর দিকে অপলক তাকিয়ে থাকি।
তিন, দুই, এক... মা ভেবেছিল আমার ডাক নাম রাখবে বনি, রাখেনি,
...শূন্য।
তুমুল... অসাধারণ... ছত্রে ছত্রে গদ্যের গ্রোগ্রাস টের পাওয়া যায়... তবে তোর মনঃস্তত্ত অবসেসান থেকে একটু সাবধান এবারে...
উত্তরমুছুনachchha baby da.. mathay rakhbo..
মুছুন