চারটি কবিতা
রত্নদীপা দে ঘোষ
রত্নদীপা দে ঘোষ
জলসত্র
লেডিস হস্টেলের গায়ে
কতো রঙের নদী...
ছলাতছল
ময়ূর, আয়নায় গোলাকৃতি চাঁদ
বেচাকেনার
গ্রীবা...
ঘড়া
ভর্তি দৃশ্যকুসুম... শুধু তোমাকে দেখি... সাঁতারের পোশাকে
রাশি মিথুনের আকাশ। তুমি আরও ভেতরে এসো, এতো ভেতরে যেন বাইরে যাওয়ার
শীতঘুম ফেটে দু’ভাগ হয়ে যায়...
জ্বরতৃপ্ত
হও, হস্টেলের শিরায় কাছিমের
গোলাপি। খোলস খুলতে থাকো... বুনে নাও উপকূলহাসি, দক্ষতার নূপুর, পেয়ালা যেন মরুভিক্ষু না থাকে...
অন্তর্বাসের
ঝুমঝুমিতে বাজুক তাবৎ নদীর জলসত্র...
শীতেলেখা
বাঁশী শহরের চোখ
গানের গন্ধে টুপ করে শীত
গানের গন্ধে টুপ করে শীত
সোয়েটাররোদের আদল
কমলালেবুতে ঝুলে আছে গ্লোব
কমলালেবুতে ঝুলে আছে গ্লোব
পাখিগাছের দুপুর
সামান্য হাতার আড্ডা
ফুলহাতা হবার বায়নায় নামছে সন্ধ্যে
সামান্য হাতার আড্ডা
ফুলহাতা হবার বায়নায় নামছে সন্ধ্যে
বাঁশী শহরের মেয়েরা অংক জানে না
ঐচ্ছিক থেকে বেরিয়ে পড়ছে উলঝুড়ি
খালি পা... লাল রঙের বল
গোলকিপার রুখতে পারছে না ভোরবেলা
জোনাকি পেরিয়ে চলে যাচ্ছে ডেনিম
নদীর মাফ্লার উড়ছে নিষেধডানা
নদীর মাফ্লার উড়ছে নিষেধডানা
ঠোঁটে ডুবছে থার্মোমিটার
সমস্ত জ্বর অধিকাংশই শিফন
পতঝর বাদামী শীতসিগার
পতঝর বাদামী শীতসিগার
শূন্যতার পুলউড়াল
নি ঝুম ঝুম
জন্মদিন
প্রথমরাতে পরস্পরের
হাত ছুঁই। আমি আর জন্মদিন।
দ্বিতীয়রাতে
আমাদের পায়ে নদীর সারং, বৃন্দাবনী সোনালি তরল। তৃতীয় রাতে দুজনের মাঝখানে ফার্ন
প্রজাতির অর্কিডসাগর, অচেনা মনে হলো লঞ্চ রঙের আকুলতা।
জলকণার
দিকে হাঁটতে হাঁটতে চতুর্থ রাত। জন্মদিন জানালো, আমার মতো সেও এক পর্যটক, আঙুররসে জারানো সূচিশিল্পটি... নিজেদের
রোপণ করে খেয়াল খুশির জমিতে মোমবাতির চাষ করলুম দুজনে। আর্দ্র রেবতী জুড়ে কৃত্তিকার মোহময় ভূমি... ঝরন্ত অন্ধকারে
বেদুইনের ফলন আশ্রয় দিল
আমাদের।
পঞ্চম
রাতে গাণ্ডীবকিশোরীরা খুলে ফেললো রাজস্ব, মসৃণ পাথরের দেরাজ... নীবিবন্ধ... নিনাদ,
মার্বেলমূর্তির নির্মাণে গোপন ঝরাটি... সামান্যই আলো... যত ভেতরে যাই বুঝি আরও ভেতরে রয়েছে বিধাতার গায়ের
ধুলো...
প্রবল
ষষ্ঠ রাতে আমি আর জন্মদিন জেনে গেলুম... অই যে জবার ভেতরে
ফুটে আছে আগুন, সে আগুন ছাড়া অন্য কোথাও আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই... আমরা দু'জনেই লক্ষ্যভেদের অব্যর্থ
নিশানা।
চাঁদ
যখন বেদুইন
অনিশ্চিত মৌলবাদ তর্জমা আঁটে প্রতি কিস্তিতে। ফিরিস্তি ঝরে প্রতিটি মেনুবোর্ডে। ওয়ারশ তো এখন দেশে দেশে ... সিরিয়া লেবানন
সিরিয়া, মধ্য আরব জুড়ে তপ্ত পেনিনসুলা ... ওখানেই রাত্রিবাস
ওখানেই সুখস্মৃতি, ওখানেই রক্ত ওম পছন্দসই তীর্থযাত্রা তারিয়ে
তারিয়ে স্বাদলেহন, স্বমোহনী প্রেমরসদ
জমে ক্ষীর ... যন্ত্রসঙ্গে ঝনঝন
শেকলের উল্লাস । হঠাৎ ছন্দপতন । বেমানান পিওনের হুইসিল ... ফের্বার পতঙ্গের
কর্দমপতন বিলাসে ।
যৌনকলস ভরা ঢলো যুবতীর
স্তন মৃত্যুর মৌলনিষেক । একরাতে আফগানে বিনষ্ট হাজার সামরিক ট্র্যাক দারিদ্ররেখার
ওপরে দেশনির্মাণ নয়কো কোথাও , কোনোখানে ...
রণে বনে জলে জঙ্গলে সমস্ত
খুনী ও ধর্ষকের গলায় লোকনাথবাবার লকেট, সমস্ত লুম্পেনের কণ্ঠে একটাই স্বর ... অভিশপ্ত অমৃত কুড়ে
অনেকানেক কলোনি ... আইসবার্গের মহাকাশযানের একুশনারী শিলালিপি । রক্তের সমুদ্র কত কেদার হলে পা চাটা ঈশ্বরের
কুকুর চণ্ডীদাস পড়ে আবার কলিতে ফেরে ঈশ্বরের নতুন নারদ ... বিবমিষার কারাগারে ...
অতিকথন হয়ে গেল রত্নদীপা। মূল কবিতা অনেক কথার মধ্যে হারিয়ে গেছে।
উত্তরমুছুনতৃতীয় লেখাটি বেশ সুন্দর...
উত্তরমুছুন