আগুন আবিষ্কার
অর্ঘ্য দত্ত বক্সী
--আলেয়া, পরশু আমি আর অনিন্দ্য মিলে তোমাকে ধর্ষণ করব।
--তাই!
--সেদিন হাল্কা চিকেন স্টু গোছের কিছু খাবে, ভাত খাবে না মোটেই। তার আগে এই দুদিন তোমাকে ‘আলো তুই’ বলে ডাকব, ঠিক করেছি।
--So sweet of u!
--আলো, gimme gimme, gimme gimme give me more, তোকে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের মতো বলতে ইচ্ছে করছে, লাইক ব্রিটনি বিচ্ ইটস্ আলো বিচ্!
--এই ২৮ বছরের হেরে যাওয়া বেকার জীবনে টম অ্যান্ড জেরির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব যদি বুঝতিস আলো!
--আলো, আমি, আমি আমার মায়ের নাম ভুলে গেছিলাম। বিস্মৃতির অতল থেকে রাখাল রাখলো এনে তার মিঠে খুনসুটি বাঘ। মাকে তো আমরা ‘মা’ বলেই ডাকি, তাই না! তবু ভয়াল ট্র্যাজেডির সর্বাপেক্ষা প্রিয় নারী চরিত্রটির ফিল্মিক নাম দ্যোতনার সাথে মায়ের নামের মিল আবিষ্কার করে শিহরিত হই। অথচ বরাবরই মায়ের প্রিয়তম রবীন্দ্রসঙ্গীত সেই ইন্ডিকেশন দিয়ে এসেছে, কী মূর্খ আমি, গোধূলি গগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা।
--আলো, মেয়েদের, যে কোনো প্রমীলা মহিলার সঙ্গ করলে কথোপকথন চালিয়ে যাই মাত্র, বিকৃত জোকার, তাদের নিম্নাঙ্গের ঠোঁট, থুড়ি যৌন এলাকার কথা বারবার মনে পড়ে। আর সেই ঠোঁটের কোণে উদ্ভিদ জন্মায়। বিরাট এক ব্যঙ্গোক্তির মুচকি হাসির মতো ঠোঁটের কোণ ক্রমশঃ নাভি থেকে পেট ছুঁইয়ে ক্লিভেজে গিয়ে শেষ হয়। হ্যালুশিনেশনের যৌনাঙ্গ দৈর্ঘ্য ঢেকে দেয় শরীর। ক্রমে সেই বিরাট হাঁ ছাড়া নারীদেহের আর কিছুই থাকে না।
--আলো, আমি একবার আগুন আবিষ্কার করেছিলাম।
--হাসালে, দিনে অন্তত পঞ্চাশটা সিগারেট খাও!
--সেখানেই তো লাইজ দ্য মজা। দৈনন্দিন প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্ক কত কম ব্যবহার করে এ অনন্ত উর্বরতার সম্ভাবনাকে। অভ্যস্ততা এক বেয়াদপ ব্যাধি।
যাজ্ঞ্যবল্ক বলিলেন, বৎস অগ্নি কি কি কার্যে ব্যবহৃত হয়?
শিষ্য বলিল, যজ্ঞার্থে, আলোক প্রদানার্থে, রন্ধনকার্যে, খাদ্য পরিপাক করে জঠরাগ্নি, শৈত্যে উষ্ণতা প্রদানকার্যে, শুষ্কপত্র পুতিগন্ধময় আবর্জনা দহনকার্যে ইত্যাদি...
মুনি বলিলেন, বৎস তুমি দৈনন্দিকতা দ্বারা আক্রান্ত, তুমি শিবচরিত মনন করো।
পরবর্তী দিবসে ঊষা লগ্নে শিষ্য বলিল, গুরুদেব গঞ্জিকা ও ধূমপান কার্যে অগ্নি ব্যবহৃত হয়ে প্রীতি প্রদান করে।
মুনি বলিলেন, বৎস তুমি বড়ই স্থূল মস্তিষ্ক, তোমার জীবনধারণ অনাবশ্যক। তুমি রামনাম স্মরণপূর্বক যূপকাষ্ঠে ছাগসদৃশ আত্মহনন করো।
কিয়ৎদিবস পরে শিষ্য বলিল, গুরুদেব আমি বিস্তর চিন্তিয়া নিজেকে উপযুক্ত প্রমাণ কার্যে সীতার ন্যায় অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। আপনি আদেশ করুন।
যাজ্ঞ্যবল্ক বলিলেন, বৎস এতৎকালে তুমি বুঝিলে, আত্মহননার্থেও অগ্নি ব্যবহৃত হয়। বিনাশ ও সর্বগ্রাসেই অগ্নির যথার্থতা। তোমার শিক্ষা পূর্ণ হইয়াছে।
--আচ্ছা, লেখাটা লেখার সময় কি প্রচুর মদ খেয়েছিলে?
--জানি না। বলতে পারি না। চারঘন্টা আগে ধরলে, হ্যাঁ। দু’ঘন্টা আগে ধরলে, না। সুতরাং...
--আলেয়া, পরশু আমি আর অনিন্দ্য মিলে তোমাকে ধর্ষণ করব।
--তাই!
--সেদিন হাল্কা চিকেন স্টু গোছের কিছু খাবে, ভাত খাবে না মোটেই। তার আগে এই দুদিন তোমাকে ‘আলো তুই’ বলে ডাকব, ঠিক করেছি।
--So sweet of u!
--আলো, gimme gimme, gimme gimme give me more, তোকে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের মতো বলতে ইচ্ছে করছে, লাইক ব্রিটনি বিচ্ ইটস্ আলো বিচ্!
--এই ২৮ বছরের হেরে যাওয়া বেকার জীবনে টম অ্যান্ড জেরির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব যদি বুঝতিস আলো!
--আলো, আমি, আমি আমার মায়ের নাম ভুলে গেছিলাম। বিস্মৃতির অতল থেকে রাখাল রাখলো এনে তার মিঠে খুনসুটি বাঘ। মাকে তো আমরা ‘মা’ বলেই ডাকি, তাই না! তবু ভয়াল ট্র্যাজেডির সর্বাপেক্ষা প্রিয় নারী চরিত্রটির ফিল্মিক নাম দ্যোতনার সাথে মায়ের নামের মিল আবিষ্কার করে শিহরিত হই। অথচ বরাবরই মায়ের প্রিয়তম রবীন্দ্রসঙ্গীত সেই ইন্ডিকেশন দিয়ে এসেছে, কী মূর্খ আমি, গোধূলি গগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা।
--আলো, মেয়েদের, যে কোনো প্রমীলা মহিলার সঙ্গ করলে কথোপকথন চালিয়ে যাই মাত্র, বিকৃত জোকার, তাদের নিম্নাঙ্গের ঠোঁট, থুড়ি যৌন এলাকার কথা বারবার মনে পড়ে। আর সেই ঠোঁটের কোণে উদ্ভিদ জন্মায়। বিরাট এক ব্যঙ্গোক্তির মুচকি হাসির মতো ঠোঁটের কোণ ক্রমশঃ নাভি থেকে পেট ছুঁইয়ে ক্লিভেজে গিয়ে শেষ হয়। হ্যালুশিনেশনের যৌনাঙ্গ দৈর্ঘ্য ঢেকে দেয় শরীর। ক্রমে সেই বিরাট হাঁ ছাড়া নারীদেহের আর কিছুই থাকে না।
--আলো, আমি একবার আগুন আবিষ্কার করেছিলাম।
--হাসালে, দিনে অন্তত পঞ্চাশটা সিগারেট খাও!
--সেখানেই তো লাইজ দ্য মজা। দৈনন্দিন প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্ক কত কম ব্যবহার করে এ অনন্ত উর্বরতার সম্ভাবনাকে। অভ্যস্ততা এক বেয়াদপ ব্যাধি।
যাজ্ঞ্যবল্ক বলিলেন, বৎস অগ্নি কি কি কার্যে ব্যবহৃত হয়?
শিষ্য বলিল, যজ্ঞার্থে, আলোক প্রদানার্থে, রন্ধনকার্যে, খাদ্য পরিপাক করে জঠরাগ্নি, শৈত্যে উষ্ণতা প্রদানকার্যে, শুষ্কপত্র পুতিগন্ধময় আবর্জনা দহনকার্যে ইত্যাদি...
মুনি বলিলেন, বৎস তুমি দৈনন্দিকতা দ্বারা আক্রান্ত, তুমি শিবচরিত মনন করো।
পরবর্তী দিবসে ঊষা লগ্নে শিষ্য বলিল, গুরুদেব গঞ্জিকা ও ধূমপান কার্যে অগ্নি ব্যবহৃত হয়ে প্রীতি প্রদান করে।
মুনি বলিলেন, বৎস তুমি বড়ই স্থূল মস্তিষ্ক, তোমার জীবনধারণ অনাবশ্যক। তুমি রামনাম স্মরণপূর্বক যূপকাষ্ঠে ছাগসদৃশ আত্মহনন করো।
কিয়ৎদিবস পরে শিষ্য বলিল, গুরুদেব আমি বিস্তর চিন্তিয়া নিজেকে উপযুক্ত প্রমাণ কার্যে সীতার ন্যায় অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। আপনি আদেশ করুন।
যাজ্ঞ্যবল্ক বলিলেন, বৎস এতৎকালে তুমি বুঝিলে, আত্মহননার্থেও অগ্নি ব্যবহৃত হয়। বিনাশ ও সর্বগ্রাসেই অগ্নির যথার্থতা। তোমার শিক্ষা পূর্ণ হইয়াছে।
--আচ্ছা, লেখাটা লেখার সময় কি প্রচুর মদ খেয়েছিলে?
--জানি না। বলতে পারি না। চারঘন্টা আগে ধরলে, হ্যাঁ। দু’ঘন্টা আগে ধরলে, না। সুতরাং...
চমৎকার! মুগ্ধতা শব্দটি কখনো কখনো ওজন হারাতে থাকে...
উত্তরমুছুন