মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

তৈমুর খান

 

কবিতার কালিমাটি ১৫০


অবোধ

 

তবুও বুঝিনি কিছু

সংকেত এসেছে বারবার

খালিহাতে ফিরে গেছে

দৈত্য একা শাসন করেছে শহর

 

এ শহরে আমাদের মিছিল

স্লোগানের বহু ঝড়

এ শহরে তবু রাতজাগা

শোকের প্রহর

 

বহু কম্পন পড়ে আছে

আর সিনেমায় দেখা রমণীরাও

হেঁটে গেছে আমাদের পাশে

হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছে আহ্লাদ

যদিও বহু রাস্তা, শ্মশান ঘাটের দিকে গেছে

 

কিছুই বুঝিনি আমি

মাথা নিচু করে চা খেয়েছি

রাস্তার ধারে বেঞ্চে বসে…

 

স্ব-উদ্যোগ

 

কাহিনি এসেছিল, উপকাহিনিও

নিরানন্দেরা হাত ধরেছিল আনন্দের

মাঠময় নেমেছিল কত বুলবুলি

সোনালি ধানের ক্ষেতে ওরা ডেকেছিল

চৈতন্যের পথে আমরাও হেঁটেছি সতত

 

বিশ্বাস-অবিশ্বাস, শালীন আর অশালীন

সবাই নির্মাণ করেছে যুগ

এ যুগে সবাই আপন আপন

কেউ কেউ বলেছিল — সতর্ক হোন

মেঘহীন আকাশেও আছে বজ্রবিদ্যুৎ!

 

বৈরাগ্যের দোকান থেকে কিছুটা বৈরাগ্য কিনে

পথের পাশে দাঁড়িয়ে আছি

এই গাঁথামালা নিজেকেই পরাতে হবে তবে!

সমস্ত বাঁচার ইতিহাসে নিজেরই শোকসভা

নিজেরই কাহিনি শুধু নিজেকেই বলে যাওয়া!

 

দৃশ্যের ভেতর

 

দৃশ্য বদলে যাচ্ছে

আমরা সংকটের ঘরগেরস্থালি সাজাচ্ছি

শূন্যতার আয়নায় মুখ দেখছি

আমাদের উঠোন ঘিরে স্মৃতির গোলাপি হাত

ভেসে উঠছে বারবার

 

ঘরের চৌকাঠে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে মা

মায়াপ্রদীপ এখনও নেভেনি

বাবা বাড়ি ফিরবে, ফিরবেই

আবহমান সমস্ত বাবা-ই বাড়ি ফিরবে একদিন

 

সামঞ্জস্যবিহীন দরজায়

আমাদের চৈতন্যের হাওয়া বয়ে যাচ্ছে

আশাগাছে ফুল আসতে শুরু করেছে

আর দৃশ্যের ভেতর লাল ঠোঁটওয়ালা পাখি

ডেকে উঠছে বারবার…

 

 

 


1 টি মন্তব্য: