![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৫০ |
প্রকৃত আঁধার দেখি
তুমি দূর্গঅন্ধকারে
অনিবার্য স্তব্ধ হয়ে থাকো
মানুষ আসবে শ্বাপদ-প্রবন যারা
নিংড়ে খাবে মেদমজ্জালালা
তোমার অবোধ মুখের উপর মৃত্যু কেন আসে
তোমার তো নেই বাউল-বসন্ত
দিবারাত্রি ছায়ার উপর মৃত্যু নজরানা
আমি মুগ্ধ কাপুরুষ
স্বমেহিত অন্ধকারে তোমার সাথে করছি প্রতারণা।
রাত ও জীবন, ক্ষয়িষ্ণু প্রবল
ক্ষয় হয়ে গেছে জীবনের সব উপলভ্য
নিজে নিজে খুন হয়ে ঝুলে থাকি
ঈশ্বরের হাতে
যদি থাকে অনিবার্য অমৃতের জল
ইচ্ছে আছে পরকালে অমর হবার
তদূপরি মেঘ আসে বজ্র যার ছুরির মতন
অন্ধকার হয়ে আসে হিমঘন ক্ষীণ মহাদেশ
অহেতুক মানুষের শাপগল্প নিয়ে
উড়ছি ধোঁয়ার মতো, রক্তপাত অতিঘনতর
সারাদেহে বাষ্পীভূত জলের প্রকারে
সাদাদেহে হেঁটে গেছি, পার হই নক্ষত্র ধবল।
দূষিত দূরত্ব
তোমাকে পৃথক রাখি
আকাশ ও মেঘের কলুঙ্গিতে
তুমি ধীর ও নিরাপদ, এবং স্থাণু হয়ে থাকো
বাতাসে হিলুক যত প্রাচীন প্রশাখা
জলে-জংলায় প্রায়শ দেখি
নিরিবিলি মিহি তৎপরতা
যেহেতু জলজ তুমি
অতএব মরুজলে বিকেল কাটুক
রাতভরে ডুব দিও গহীনে গহ্বরে
রাতজাগা প্রাণীগুলো তোমার সন্ধানে
হয়তো এগিয়ে যাবে দিবস-পেয়ালা হাতে
যে দিবস জরায়ুতে অন্ধকার দেখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন