![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৫০ |
কী বলবো আমার ঘোড়ারোগ আছে
ফিরে এসে তোর সঙ্গে কথা তোর সঙ্গে এক্সটারনাল ক্যারাভানসারি
ফিরে এসে
আমার যমুনা নদী আমার যমুনা জল ডায়াসপোরিক কিশলয়
মরমীয়া বীজক্ষেতে জল ঘন হয়ে আসে
আমিও সবার মতো কাজ আর কাজ দুঃখবাদীদের কোয়ারেন্টাইনে
মেঘ হয়ে উড়ে যায় আকাশের কুচি কুচি শ্বাস
চিড়িয়াখানায় না গিয়ে সূর্য এসে উঠোনে দাঁড়াক
চাঁদ এসে বারান্দায় ঘুরে ফিরে দেখুক শহর
হাড়ের গর্তের কাছে এসে ইচ্ছে করে জবাকুসুম ঘুম
মিকেলাঞ্জেলোয় অন্য এক শতাব্দী কল্যাণ
বিকালে রাস্তায় জল আর জল কেউ কি ঢেলেছে সূর্যমুখী
তেল
কী যেন ভাসছে নির্বিকার জল
ইচ্ছে হলে বিড়ালের সঙ্গে বিড়াল হয়ে যা
কঙ্কুবাইন কঙ্কুবাইন যুবরাজের মা
তিনভাগ জলে খুঁজে নেবো বিড়ালের ব্যক্তিগত অন্ধকার
লোম
ছাতা কোথায় কী করবো ছাতা
মহীনের ঘোড়াদের ক্যাফেটেরিয়ায়
আয় বৃষ্টি আয় পাহাড়ের তীব্র টেরাকোটা
মুনাফা
দারুণ না ইসলামিক কম্যুনিস্ট?
হ্যাঁ,
উনি তাই।
হেসো না, ব্যাপারটা অতো সহজ না,
এই ইসলামিস্ট
আবার কম্যুনিস্ট
হওয়াটা!
কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব ডিয়ার মার্কস?
ওরা তো কম্যুনিস্ট মেনিফেস্টো পড়েছে,
পড়ে
তানা তানা করেছে।
আর এখন
সাম্রাজ্যবাদ আর কর্পোরেটের
অবাধ মুনাফা তৈরির মেশিন হতে
ওরা অসঙ্কোচ!
ডিনার
টেবিলক্লথটা পুরনো আর জীর্ণ হয়ে গেছে বেশ আগেই
ওর রিপ্লেসমেন্ট দরকার
কিন্তু এই সহজ কাজটা করবে কে
এখন
কে স্বস্তি পাবে নিজের ঠোঁটের লালা আর রক্ত
পিরিচে রাখতে
প্রত্যেকেই কিছু না কিছু হারিয়েছে
প্লেট
পিরিচ
হুইস্কির গ্লাস
এরা কে কোথায় গেছে কে জানে
সুরবাহার
অন্নপূর্ণাকে আমি একবারই দেখেছি
তখন ও রেওয়াজ করছিল
একাকী
সুরবাহার কোলে
ও জানতো না যে আড়ালে ওকে আমি শুনছি
আশংকা আর বেদনা
দুটোই আমি অনুভব করলাম
আমি জেনে গেলাম
ও একা
কোন চিৎকার চেঁচামেচি পারবে না
কেড়ে নিতে ওর একাকীত্ব
কেবল ওর কোলের ওপর
বুকের কাছে
থেকে যাবে সুরবাহার
ডিম
মুরগিরা কেন ডিম পাড়ে দিনের পর দিন
এটা ভাবো
সেই ডিম সেদ্ধ করে আমরা খাই
আর সুস্বাদু ওমলেট বানাই
ডিম আমরা খাই
কিন্তু মুরগিগুলো তো থেকে যায়
দিনের পর দিন মুরগিরা ডিম পাড়ছে
কোন উচ্চবাচ্চ না করে
ব্যাপারটা কিন্তু আমার কাছে
বিশেষ সুবিধার মনে হচ্ছে না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন