মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

সুদীপ দাস

 

কবিতার কালিমাটি ১৫০


নেপথ্যের গান

 

স্মৃতির খোলস

ভিতরে বাসি ফুলের গর্ব

অসংখ্য বিকল্পে বিভ্রান্ত তবু ষোলোআনা জেদে

ছিটকিনি পড়ে যাওয়া ঘর, কী গুমোট, কী যে এলোমেলো, ফাঁপা

একদিন তো খিল্লির মুখোমুখি হবেই

শেষ হবে ভুল মানুষের কানে ভুল নাম বলা

সমস্ত স্যাটায়ার তখন বিলাপ

যেন হেরে যাওয়া স্বপ্নের ভেতর

কিছু আদর, কিছু প্রত্যাখ্যান, একটু মৃত্যুর পূর্বাভাষ আর

বিরাট একটা গোল চাঁদ

একলা মানুষের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটে

মাথার ওপর ওড়ে বাসা হারিয়ে ফেলা পাখি

কোনও এক নেপথ্য সংগীত শুনে তার নৌবহর

ভেসে যায় আদিগন্ত জ্যোৎস্নার নদীতে

 

কাদায় নামার প্রস্তুতি

 

নিজের ভিতরে একটা এলাকা উন্মুক্ত করতে গিয়ে

বাধ্য হয়েছো পুড়ে পুড়ে সংকুচিত হতে

ক্রমশ পাখির পা জড়িয়ে গেছে ফাঁদে

 

বহুদিন টেবিলের ওপর ঝুঁকে দাঁড়িয়েছিলে

দুপায়ে ছিল কাদায় নামার প্রস্তুতি, চোস্তা প্যান্ট, গামবুট

তখনই তো সেই অপ্রস্তুত ধরপাকড়!

উল্কা থেকে স্লথ, শেষে কদ্ছপ হয়ে একে একে ফিরে আসা!

শূন্যে এবং ভ্রমে!

 

বহুদিনের বকেয়া ঘুম চুকিয়ে এভাবেই একদিন টের পেলে

নিজের স্পর্শময় হাতে যেন কার দস্তানা!

সেই দস্তানায় কাদের যেন অধিকারের ভস্ম, ভাঙা কলমের কালি!

 

ধৈর্যের নাকি সহ্যের বাঁধ

 

কে যেন প্রশ্নের সম্মুখীন হলে

বিয়াল্লিশ বই সাড়ে একুশ আর্টিকেল হা হা করে ছুটে আসে

তার এই উদ্ধারপর্ব মোটেই নিছক টানেল নয়,

পাহাড় ফুটো করা হাইওয়ে, পাক খেতে খেতে

পাথরের, গাছের, মেঘের বন্ধুতা নষ্ট করে ছুটে পৌঁছে যায়

শত্রুর চোয়ালের কাছে। এই মহান যুদ্ধে

উচিত কথার স্রোতে হাবুডুবু খেতে খেতে

প্রশ্নকর্তা তখন সামান্য প্রশ্নটুকুর লজ্জায় ক্ষীণ

মুখ লুকিয়ে ঢুকে পড়ে নিজের ভঙ্গুর চিত্রকল্পে

যেখানে কল্পতরুর ছায়া

অনন্তকাল থেকে এই পবিত্র কাঁচামালের অস্তিত্ব

আর অপর্য়াপ্ত ঈশ্বর

মহাশূন্য থেকে অবতরণের দীর্ঘ অপেক্ষায় -

সমস্ত খেলা একে একে উধাও হয়ে যায়

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন