![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৫০ |
ধূর্ত শেয়ালেরা
আজকাল ধূর্ত শেয়ালেরা ওত পেতে থাকে
খুন ও ধর্ষণজনিত শোকের প্রেক্ষিতে।
ওদের ভিতর থেকেই রাজনৈতিক ভেকধারী
কোনো শেয়াল আড়াল ভেঙে এসে সান্ত্বনা দিয়ে বলে
:
যে চলে গেছে সে তো আর ফিরবে না!
শান্ত হও, ভুলে যাও এসব বিষাদ, অশ্রুকথা।
আমাদের কথা মেনে চলো।
রাষ্ট্র তোমার পাশেই আছে।
চাকরি হবে। অঢেল ক্ষতিপূরণ পাবে।
চিরতরে মুছে যাবে অভাবের চিহ্ন।
লোভের টোপ গেলার অপেক্ষায় থাকে
অবশিষ্ট শেয়ালের দল ...
অসমীকরণের আভাস
আমি এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
একটা স্বপ্নপূরণ হতে না হতেই
দ্বিতীয় একটা স্বপ্নের ভিতরে ঢুকে পড়ি,
ফলে অসমাপ্ত স্বপ্নটা নানান বিভ্রান্তি নিয়ে দিক
হারায়।
এভাবেই তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম ... স্বপ্ন সংক্রান্ত
বিচিত্র সব খেলার মধ্যে
আয়ুরেখা বয়ে চলে তির তির করে...
এও এক ধরনের অংক
এইসব আজব অংক কষতে গিয়ে
বারে বারে ভেসে ওঠে তোমার বিষণ্ন মুখ
যে মুখে শুধুই অসমীকরণের আভাস ফুটে ওঠে।
অন্তর্বর্তী শীতকথা
নিজে বিনির্মিত হতে চাই বলেই কি
ঘন ঘন সমুদ্রের কাছে চলে যাই!
ভোরের সমুদ্রতটে ছোটাছুটি করি!
কুড়িয়ে আনি ঝিনুক ও সমুদ্রের ঢেউ!
কিংবা পাহাড়ের কাছে ছুটে যাই
খাঁড়া পথ বেয়ে কুড়িয়ে আনি রঙিন নুড়ি আর আশ্চর্য
পৃথিবী!
আজও স্পষ্ট নয় কোনোকিছু নিজের কাছে।
তবু, অনাবশ্যক কথা সমাপ্ত হলে
ঝরে পড়া বাদামি পাতায় ভেসে ওঠে
তোমার মনখারাপের ঝাপসা বেলা
সম্পর্কের অন্তর্বর্তী শীতকথার যৌথ সংসার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন