কবিতার কালিমাটি ১৪০ |
অন্ত্যমিল ছেড়ে
(১)
আমাদের চার আঙুলে
তোমার সাত সতেরো
পাতার নৌকো
চোখ থই থই
চাঁদের লহমা
এবং অথৈ
গলছে ভাপের আগল।
রাত ইশারায়
আকাশ
এখন
মেঘনা পাইন
চাঁদ কপালে
চেনা ঘুঙুরের
অবাক শব্দ!
আর এই অমেয় তৃষ্ণা
সাদাঘাসের
আলপথ
ডুবে যেতে চায়
দুধেল মোহনায় …
(২)
খড়ের বাঁধন
আলগা হতেই
জলের শরীর।
এতো আশনাই
দেখো অজেয় পথের হৃদপিণ্ডে
এক আশ্চর্য
শুশ্রূষা লেগে।
আকাশ চাদর খুলে
আভাসের ফাঁকে
চন্দ্রকলা
গেয়ে উঠছে
একজীবনের ভাঙাছন্দ।
তো আমাদের শব্দকোষ
আবার এসে লন্ঠনে
অন্ত্যমিল ছেড়ে
আলোর ম্যাজিক দুইবে।
এখন বন্ধ কলের পাশে
শুয়ে বর্গমূল হয়ে
একরাশি তাঁতের অপেক্ষা …
(৩)
সেই মৌন পারাপারে
পুরনো চোখ লিখে
দেশি পায়রার ডানা
একটা রেলিং এঁকে ফেলে।
তার জ্যোৎস্নাপথের আলো
তার খণ্ড-বিখণ্ড
উড়ে উড়ে
দোলাকে দোলার রিংটোন।
এই ঝড় লাগোয়া
কীর্তনের রাগরাস্তা
নিটোলে বিছিয়ে
ভোরের বোলগুলো।
মূর্ছনার আর কোনও
জানলা নেই
দমকায় বেড়ে ওঠা
দুরন্ত বিজলী
উপোস নিয়ে।
আর একটা ঝুলে থাকা
নিঃসঙ্গের মায়া …
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন